পশ্চিমা মিডিয়ার ‘প্রোপাগান্ডা’ রুখতে সামরিক অভিযানের ব্যাখ্যা দিলো রাশিয়া
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সংবাদ পরিবেশনে পশ্চিমা মিডিয়া প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। সেই সংবাদই বাংলাদেশের অনেক মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের পাঠকের কাছে ভুল বার্তা পৌছাচ্ছে। একারণে বাংলাদেশি পাঠকদের উদ্দেশে ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাস এক বার্তা দিয়েছে।
রবিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটাস্কি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে ইউক্রেনে রুশ অভিযান নিয়ে রাশিয়াবিরোধী মনোভাব গড়ে উঠছে মানুষের মধ্যে। এক্ষেত্রে অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করে রুশ দূতাবাস।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণ হিসেবে রুশ দূতাবাসের ব্যাখ্যায় যা বলা হয়েছে, ৪ টি উদ্দেশে এই বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এগুলো হলো-
১. ইউক্রেনে বসবাসরত রুশভাষী বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা। এসব রুশভাষী গত আট বছর ধরে ইউক্রেন সরকারের নিপীড়নের শিকার।
২. নব্য ফ্যাসিবাদ নির্মূল করা।
৩. ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করা এবং
৪. ইউক্রেনে ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি স্থাপন বন্ধ করা।
এক্ষেত্রে রাশিয়া ৫টি করণীয় উল্লেখ করেছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এগুলো হলো-
১.ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা এবং এবং নাৎসি মতাদর্শ থেকে মুক্ত করা।
২. ইউক্রেনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা নব্য ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটানো।
৩. রাশিয়া সীমান্তে সামরিক হুমকি দূর করা।
৪. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য হুমকিস্বরূপ ইউক্রেনের আগ্রাসী সত্ত্বাকে নিরস্ত্র করা।
৫. রাশিয়ার আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষ ও রাশিয়ার নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং শাস্তি দেওয়া।
৬. রাশিয়ার পার্লামেন্টের অনুমতি নিয়ে জাতিসংঘের সনদের অনুচ্ছেদ ৫১ (অধ্যায় ৭ ) অনুসারে এবং দোনেতস্ক ও লোহেনস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহায়তার চুক্তি বাস্তবায়ন করা।
এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্যই মস্কো ইউক্রেনে এই বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
আরইউ/