টিসিবির পণ্য কিনতে সচিবালয়েও দীর্ঘ লাইন
নিত্যপণ্যের জন্য দীর্ঘ লাইন এখন সচিবালয়ের ভিতরেও। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা টিসিবির পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সচিবালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে রেশনিং পদ্ধতিতে কার্ডের মাধ্যমে।
রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুর একটায় সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষ থেকে টিসিবির পণ্য দেওয়া হয়।
লাইনে দাঁড়ানো পরিবেশ বন মন্ত্রণালয়ের মো. আরিফ হোসেন জানান,গত মাসের (ফেব্রুয়ারি) ২৪ ও ২৭ তারিখে দুই দফা দেয়া হয়েছে। আজ (রবিবার) তৃতীয় দফা দেয়া হচ্ছে।
আরিফ বলেন, তিনি আজকে প্রথমবারের মতো লাইনে দাড়িয়েছেন। আর আগে যারা নিয়েছে তারা আজকে পাবেনা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী শাহাবুদ্দিন জানান, লাইনে দাড়িয়েছেন অনেকক্ষণ। কিন্তু যেভাবে মানুষের ভিড় তাতে শেষপর্যন্ত মাল পাবেন কিনা তা নিয়েই তিনি সন্দিহান।
পিডব্লিউডির কর্মচারী রাজিয়া বেগম বলেন, তিনি লাইনের শুরুর দিকে ছিলেন। এ কারণে তার পণ্য পেতে সমস্যা হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ইশরাত জাহান জানান, তিনি ৬১০ টাকা দিয়ে তেল, পিঁয়াজ, ডাল ও চিনি নিয়েছেন। আজই প্রথম নিয়েছেন জানিয়ে বললেন আবার কবে দিবে জানি না। এই তেলে মাত্র ১০ দিন যাবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্মচারী শিবলাল রবি দাস বলেন, নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে আমাদের মত স্বল্প বেতনের কর্মচারীদের টিসিবি ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
সচিবালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্মচারীদের মধ্যে নিত্যপণ্য বিক্রির লক্ষ্যে সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড টিসিবি থেকে পণ্য এনে কর্মচারীদের মধ্যে বিক্রি করছে। এই পণ্য বিক্রির জন্য কর্মচারীদের কার্ড করা হয়েছে।
সচিবালয় বহুমুখী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম জানান, ইতিমধ্যে তারা প্রায় ২ হাজার কার্ড করা হয়েছে। এই কার্ডের ভিত্তিতে টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এক দিনে ২০০ জনকে দেওয়া হবে। প্রথম দফায় সবাইকে একবার পণ্য দেওয়ার পর দ্বিতীয়বার আবার দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান প্রথম ধাপে সবাইকে দেওয়ার পর তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে দুই ধাপে গত ২৪ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি কর্মচারীদের মধ্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হয়।
সচিবালয় বহুমুখী সমিতির একাধিক নেতা জানান, আগে ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য সচিবালয় কর্মচারীদের মধ্যে বিক্রি করা হতো। এদিকে সমিতির কয়েকজন নেতার অভিযোগ, বহুমুখী সমিতির বর্তমান কমিটির নেতারা ব্যবসা করার জন্য টিসিবি থেকে পণ্য এনে বিক্রি করছেন। আগে কার্ড না থাকলেও নতুন করে কার্ড করা হয়েছে। এই কার্ড করতে জনপ্রতি ২২০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এখানেও ব্যবসা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এনএইচবি/কেএফ/