বিদেশে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কাজ করে না চীন: লি জিমিং
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সামরিক কোনো সরঞ্জাম তৈরির কাজ করে না চীন। তবে কোনো দেশ চাইলে সামরিক সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতা করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রবিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকার চীনা দূতাবাস আয়োজিত 'স্প্রিং ডায়লগ উইথ চায়না' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। জাপানের 'নিক্কেই এশিয়া' সাময়িকীর প্রতিবেদন নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত একথা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাব। এ ধরনের কিছু কোনো দেশে আছে কি না, আমার জানা নেই। রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা থাকতেও পারে।
জাপানের প্রভাবশালী সাময়িকী নিক্কেই এশিয়ার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল (সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল) রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করছে চীন। তবে কোথায় এটি হচ্ছে সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।
ঢাকা বা বেইজিং কোনো পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে মিসাইল রক্ষণাবেক্ষণাগার প্রতিষ্ঠার কথা স্বীকার না করলেও ‘নিক্কেই এশিয়া’র কন্ট্রিবিউটিং রাইটার নীতা লাল ওই প্রতিবেদনে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ নিয়ে নয়াদিল্লি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাদের উদ্বেগের বড় জায়গা হচ্ছে- বাংলাদেশের মতো ভারতের পুরোনো মিত্রদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করে চীন ওই সব দেশের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলছে। চীনের এ তৎপরতাকে ‘বাড়াবাড়ি’ হিসেবেই দেখছে ভারত।
বিশেষভাবে ডিজাইন করা এবং ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সারফেস টু এয়ার মিসাইল (স্যাম) যা গ্রাউন্ড টু এয়ার মিসাইল জিটিএএম বা সারফেস টু এয়ার গাইডেড উইপন (স্যাগউ) নামে পরিচিত। এ মিসাইলকে আধুনিক যুগের বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হয়।
আরইউ/এসএন