ফ্লাইট বাতিল: সোমবার আসতে পারে হাদিসুরের মরদেহ
আবহাওয়াজনিত কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় আজ নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় আসছে না ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ। পরিবর্তিত ফ্লাইটে আগামীকাল দুপুরে এ বাংলাদেশি নাবিকের মরদেহ আসবে বলে জানা গেছে। রবিবার (১৩ মার্চ) মার্চেন্ট মেরিন অ্যাসোসিয়শনের সেক্রেটারি ক্যাপ্টেন সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তুরস্কে ভারী তুষারপাতের কারণে হাদিসুরের মরদেহবাহী ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকাগামী কার্গো ফ্লাইটটি বাতিল হয়। বাতিল হওয়া কার্গো ফ্লাইটের পরিবর্তে মরদেহ পরিবহনের জন্য তুরস্ক থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী ফ্লাইট বরাদ্ধ নেওয়া হয়েছে।
ক্যাপ্টেন সাখাওয়াত হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকাগামী টার্কিশ এয়ারের ফ্লাইট নম্বর টি কে ১০৪৬ বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তিত ০৭২২ ফ্লাইটে আগামীকাল দুপুর ১২টায় আসছে হাদিসুর রহমানের মরদেহ।
এর আগে, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে হাদিসুরের মরদেহ রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মরদেহ ফেরানোর জন্য এরই মধ্যে পরিবারের সম্মতিপত্র হাতে পেয়েছে রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত ২ মার্চ ইউক্রেনে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিট বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-তে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। হামলায় জাহাজের ব্রিজ ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেষ্টায় ওই জাহাজের বাকি ২৮ নাবিক গত ৯ মার্চ দেশে ফিরলেও আসেনি নিহত হাদিসুরের মরদেহ। বিমানবন্দরে ভাইয়ের লাশ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাদিসুরের ভাই-মাসহ স্বজনরা।
ওই সময় জানানো হয় হাদিসুরের মরদেহ আসতে সময় লাগবে আরো কয়েকদিন। সবশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেনের বাংকার থেকে শুক্রবার মলদোভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মরদেহ শনিবার সকাল নাগাদ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছেছে। সেখানে কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে আজ ঢাকার পথে রওনা দেবে হাদিসুরের মরদেহবাহী বিমান।
হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে। তুরস্ক থেকে রওনা হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর জলসীমায় নোঙর ফেলে জাহাজটি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। জাহাজটি ২৯ জন নাবিক ও ক্রু নিয়ে সেখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে। আর সেখানেই রকেট হামলা হলে নিহত হন হাদিসুর।
কেএম/এসএ/