আগামীর বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে এশীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
আগামীর বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে এশীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
তুরস্কের আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত ২য় আন্তালিয়া কূটনীতি ফোরামে ‘এশিয়া এনিউ: ফর সাসটেনেবল রিজিওনাল গ্রোথ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
হাই-প্রোফাইল এ গোলটেবিল বৈঠকে এশিয়ার আরও বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (১২ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে উদীয়মান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ মোকাবিলায় এশীয় দেশগুলোকে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের নীতি এবং আগামী দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার কীভাবে নীতিমালা বাস্তবায়ন করছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সকল দেশের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রিন টেকনোলজি নিশ্চিত করার গুরুত্ব এবং লাভজনক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
ড. মোমেন এশিয়ার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি দক্ষিণ-দক্ষিণ ফোরামের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেন যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর জন্য ধারনা ভাগ করে নেবে এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলোকে প্রচার করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বর্তমান সংঘাতের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রচারিত শান্তির সংস্কৃতির ধারণার পতাকা তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য টেকসই এবং বাসযোগ্য বিশ্বের জন্য সহনশীলতা ও সহানুভূতি অপরিহার্য বলে জোর দেন।
রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
আরইউ/এমএমএ/