স্বাস্থ্যখাতে ২০ হাজার নিয়োগ
চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও টেকনোলজিস্টসহ দেশে শিগগিরই আরও ২০ হাজার নিয়োগ দেওয়া হবে। সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মহামারি এবং এফসিফিএস পাসকৃত নতুন ইন্টার্নদের অভিনন্দন’ শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যে আমার সময়ে যে নিয়োগ হয়েছে, দেশের ইতিহাসে এত নিয়োগ হয়নি। সবচেয়ে বেশি নার্স, চিকিৎসক আমার সময়ে হয়েছে, সবচেয়ে বেশি পদোন্নতি আমার সময়ে হয়েছে। যদি প্রমাণ চান, তাহলে পরিসংখ্যান দেখুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শূন্য থেকে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা শুরু করেছিলাম আমরা। একটি ল্যাব থেকে ৮০০টি ল্যাব হয়েছে। দিনে ২০ থেকে ৫০ হাজার টিকা দেওয়ার সামর্থ্য তৈরি হয়েছে। কোভিড অবস্থার মধ্যে একসঙ্গে ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ১৮ হাজার কোভিড বেড রয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার বেডেও চিকিৎসাধীন কেউ নেই। এর মানে হলো ৯৫ ভাগ খালি রয়েছে। নয় কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে আর কখনো মাস্ক খুলে কথা বলিনি। যেহেতু এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে তাই আজ মাস্ক খুলে কথা বলছি। এখনো মাস্ক খোলা যুক্তিযুক্ত মনে করি না। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় আছে এবং বাংলাদেশে এখন সংক্রমণের হার অনেক কমে গেছে। তাই কিছুটা স্বস্তিতে আছি। আমি মাস্কটা খোলার সাহস করছি। তবে মাস্ক খুলে চলার এখনো সময় হয়নি। মাস্ক পরিধান করতে হবে। তাহলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ড. এ বি এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবিরসহ মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা।
/এসএ/