যুক্তরাষ্ট্রের ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার’ পেলেন রিজওয়ানা হাসান
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক সম্মাননা ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার’ (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) পেয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ৮ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ১৪ মার্চ একটি ভার্চুয়াল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের মন্তব্য থাকবে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ২০২২ সালের পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১২ নারীর মধ্যে রিজওয়ানা হাসানের নাম সবার প্রথমে রয়েছে। সেখানে তার সম্পর্কে বলা হয়–
রিজওয়ানা হাসান একজন আইনজীবী। তিনি পরিবেশ রক্ষা এবং প্রান্তিক বাংলাদেশিদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে তার কর্মকাণ্ডে ব্যতিক্রমী সাহস ও নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। গত ২০ বছরে যুগান্তকারী সব আইনি মামলার মাধ্যমে তিনি পরিবেশগত ন্যায়বিচারে কাজ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিশীলতা পরিবর্তন করেছেন।
জনস্বার্থ বিষয়ক আইনি সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি বন উজাড়, পরিবেশ দূষণ, অনিয়ন্ত্রিতভাবে জাহাজ ভাঙ্গা এবং অবৈধ ভূমি উন্নয়নের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সব মামলা করেছেন এবং জিতেছেন। ২০০৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক বিশ্বের ৪০ জন ‘এনভায়রনমেন্টাল হিরোস’ এর তালিকায় তার নাম ছিল।
নিজের কাজের জন্য ২০১২ সালে তিনি র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
এর পরের বছরগুলোতে, তিনি শক্তিশালী স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিরোধ এবং নিজের ও পরিবারের উপর সহিংসতার হুমকি সত্ত্বেও পরিবেশগত অবক্ষয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের স্থানীয় প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আদালতে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো চালিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার বা ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি বছর প্রদত্ত একটি পুরস্কার, যা বিশ্বজুড়ে সেই সব নারীদের প্রদান করা হয়ে থাকে যারা বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব, সাহসিকতা, দক্ষতা এবং অন্যদের জন্য আত্মত্যাগের ইচ্ছা দেখিয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ পুরস্কারটি দিয়ে আসছে। প্রত্যেক মার্কিন দূতাবাস একজন নারীকে এ পুরস্কারের জন্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করতে পারে। দূতাবাসগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
এসএ/