সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করাতে এসে যুবকের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে রাহিব রেজা (৩১) নামক এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্বজনদের অভিযোগ, ল্যাবএইড হাসপাতালে পরীক্ষার রিপোর্ট না দেখেই রাহিব রেজাকে অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করা হয়। শারীরিক জটিলতার মধ্যেই এন্ডোস্কোপি করা হয়। যে কারণে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহিব রেজার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যার কারণে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল।

রোগীর স্বজনরা জানান, রাহিব রেজাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খালিপেটে ল্যাবএইড হাসপাতালে আসতে বলা হয়। যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে এলেও এন্ডোস্কপি শুরু হয় রাত ১১টার দিকে। এর দেড় ঘণ্টা পরও রোগীকে বাইরে না আনা হলে একজন জোর করে এন্ডোস্কোপি রুমে ঢুকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। এরপর অবস্থা জটিল হলে রাহিব রেজাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

স্বজনরা বলেন, রাহিবের মৃত্যুতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও টিমের গাফিলতি ছিল। নয়তো সাধারণ একটা পরীক্ষা করতে গিয়ে তার এমন মৃত্যু কোনোভাবেই হতো না। বিশেষ করে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না। অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি রিপোর্ট না দেখে অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক তার সব রিপোর্ট ঠিকভাবে না দেখেই জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করেছেন। এতে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে।

রাহিব রেজার স্ত্রী তাসমিয়া আফরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, এন্ডোস্কোপির আগে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছিল। কিন্তু ডা. স্বপ্নীল দেরি করে এসে সেই পরীক্ষার রিপোর্টগুলোও দেখেননি। তিনি তাড়াহুড়ো করে রোগীকে অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে এন্ডোস্কোপি শুরু করে দেন।

তিনি বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর পরীক্ষার রিপোর্টগুলো অন্য চিকিৎসককে দেখালে তারা জানান, রাহিব এন্ডোস্কোপির জন্য ফিট ছিল না, বরং তার বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ছিল। কিন্তু সেগুলো না দেখেই ল্যাবএইডে অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে এন্ডোস্কোপি করা হয়েছে। এ কারণেই তার হার্ট ফেইলিউর হয়েছে বলে অন্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

তাসমিয়া আফরোজ বলেন, ডা. স্বপ্নীল আমাদের সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চেম্বারে আসতে বলেছিলেন এবং এন্ডোস্কোপির আগে ৮ ঘণ্টা কিছু না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু চেম্বারে এসে দেখি তিনি নেই, এমনকি তিনি এসেছেন ১০টার পর। আর এন্ডোস্কোপি করেছেন ১১টার পর। রাহিব দীর্ঘসময় বসে থেকে একবার বলেই ফেলেছিল, এভাবে আর কিছুক্ষণ না খেয়ে থাকলে আমি মারা যাব। তিনি যদি দেরি করেই আসবেন, তাহলে একজন মানুষকে এতক্ষণ কেন খালিপেটে বসিয়ে রাখা হলো? ১২/১৩ ঘণ্টা তাকে না খেয়ে থাকতে হয়েছিল। এরপর আবার অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয়েছে।

রাহিব রেজার স্ত্রী বলেন, পরদিন (শুক্রবার) আইসিইউতে নেওয়ার পর তাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। লাইফ সাপোর্টে থাকাকালে রাহিবের প্রচন্ড জ্বর আসে। ১০৪ ডিগ্রি জ্বর, অথচ তখনো চিকিৎসকের কোনো খোঁজ নেই।

তিনি বলেন, যখন ১০৬ ডিগ্রি জ্বর, তখন আমাদের জোরাজুরিতে তাদের টনক নড়ে, এরপর নানা চেষ্টা করে তাপমাত্রা কমানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। আমার স্বামীকে শুধু ভুল চিকিৎসাই দেওয়া হয়নি, বরং চিকিৎসায় অবহেলাও করা হয়েছে। আমার দুই বছরের ছোট্ট শিশুটিকে এতিম করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রোগীকে কোনো অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ডা. স্বপ্নীল । তিনি এসব অভিযোগ মিথ্যা ও মনগড়া বলে দাবি করেন। ডা. স্বপ্নীল বলেন, আমরা ওই রোগীকে কোনো অ্যানেস্থেশিয়াই দিইনি। তাকে ঘুম পাড়িয়ে আমরা এন্ডোস্কোপি করেছি। এন্ডোস্কোপি করার সময়ও সে নরমাল ছিল। এরপর যখন তাকে এন্ডোস্কপি রুম থেকে অন্য রুমে নেওয়া হয়, তখন নার্স জানান তার অবস্থা খারাপ হচ্ছে, পালস পাওয়া যাচ্ছে না, অক্সিজেন সেচুরেশন পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে তখন তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আমরা তার স্বজনকে সার্বিক অবস্থা জানাই এবং আইসিইউতে নেওয়ার কথা বলি। তাদের সম্মতিতে আইসিইউতে নেওয়ার পর তার দ্বিতীয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।

রাহিব রেজার সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারহান ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ডা. স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে প্রায়ই শুনতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীদের বসিয়ে রেখে এদিক-সেদিক চলে যেতেন। তারপরও রাহিব যেহেতু তাকে আগে দেখিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কাছেই এন্ডোস্কোপি করবে, তখন আমিও সেখানে যাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমরা সেখানে উপস্থিত হই এবং ডা. স্বপ্নীলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। ১০টার দিকে তিনি আসেন। এরপর তাড়াহুড়ো করে রাহিবের পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট না দেখেই এন্ডোস্কোপি করাতে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এন্ডোস্কোপি চলাকালে আমরা বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। এরপর দেড় ঘণ্টা পার হলেও তাকে বাইরে আনা হচ্ছিল না। একরকম জোর করেই আমি ভেতরে ঢুকে যাই এবং তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পাই। তখন চিকিৎসকরা জানান তার অবস্থা জটিল, আইসিইউতে নিয়ে যেতে হবে। এরপর সোমবার সকালে তার লাশ আমাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, চারদিন আগে একটা সুস্থ-সবল মানুষ হেঁটে ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কপি করার জন্য গেল। এরপর সেখান থেকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলো। সবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হলো। এটা আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই অভিযুক্ত যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। আমি আমার বন্ধু হত্যার বিচার চাই।

 

Header Ad

ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত মিসরের

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে দখলদার ইসলাইলের সঙ্গে যে কটি দেশ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে তাদের মধ্যে অন্যতম মিসর। গত ৬ মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইল যে গণহত্যা চালাচ্ছে এতে মিসর চুপ ছিল। এবার সেই মিসর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সরাসরি ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। দাবি তুলেছে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধবিরতীতে আসতেই হবে ইসরাইলকে।

জানা যায়, গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোয় ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে যোগ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছ মিসর। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসন বাড়ার প্রেক্ষাপটে তারা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আরও জানা যায়, মিসরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হামলার আরো বর্বরতা এবং ব্যাপ্তি বাড়ার ফলে এই সিদ্ধান্ত নেয়। ইসরাইল সরকারি বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে, উপত্যকার অবকাঠামো ধ্বংস করছে, ফিলিস্তিনিদের পালাতে বাধ্য করছে।

এদিকে মিসর জানায়, দখলদার শক্তি হিসেবে বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য সে মিসরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে এবং আইসিজের ইস্যু করা অন্তর্বর্তী পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের দাবি করছে। আইসিজে ইসরাইলের প্রতি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজা উপত্যকায় মানবিক সুবিধা বাড়ানো, ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা। এতে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা না করতে ইসরাইলি বাহিনরি প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে মিসর আবারো গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়।

রাফায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত। ইসরাইল রোববার গাজায় হামলা চালিয়েছে। রাফায় ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালানোর আদেশ দেয়ার পর তারা এ হামলা চালালো।

এদিকে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এ নগরীতে ব্যাপক অভিযান চালানো হলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি রয়েছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরে রোববার ইসরাইলের চালানো এক বিমান হামলায় দুই চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এদিকে এএফপি’র এক সংবাদদাতা গাজা নগরীর কাছে ইসরাইলি হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক হামলা চালানোর কথা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরাইলি বাহিনী শনিবার মিশরের সাথে লাগোয়া ক্রসিংয়ের কাছে রাফাহ নগরীতে হামলা চালিয়েছে। এএফপি’র প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে শহরটির আকাশে ধোঁয়া উঠছে।

ইসরাইলি সেনারা এই সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিরোধিতার তোয়াক্কা না করে শহরটির পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে এবং সাহায্য সরবরাহে ব্যবহার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

সেনাবাহিনী এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে শহরটি থেকে লোকজন চলে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পর সেখান থেকে প্রায় ৩০০,০০০ মানুষ চলে গেছে। এর পর ইসরায়েল রাফার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়।

রাফাহ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ফরিদ আবু ইদা নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা কোথায় যাব জানি না।’ সূত্র : আল জাজিরা ও এএফপি

নিজের রেকর্ড ভেঙে ২৯ বার এভারেস্ট জিতলেন রিতা শেরপা

কামি রিতা শেরপা। ছবি: সংগৃহীত

নিজের রেকর্ড নিজে ভেঙে ফের বিশ্ব ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন নেপালের কামি রিতা শেরপা। বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ২৯ বার জয় করেছেন তিনি।

কামি রিতা শেরপা। ছবি: সংগৃহীত

রবিবার (১২ মে) ২৯তম বার এভারেস্ট জরে করে নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন রিতা শেরপা। খবর বিবিসির

রিতা শেরপার অভিযাত্রী সংগঠক সেভেন সামিট ট্রেকসের মিংমা শেরপা এ তথ্য নিশ্চিতহ করেছেন। তিনি জানান, রোববার সকালে কামি রিতা পর্বত চূড়ায় পৌঁছে ২৯ বারের রেকর্ডটি গড়েন।

১৯৯৪ সালে প্রথম ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার (২৯ হাজার ২৯ ফুট) উচ্চতার চূড়ায় আরোহণ করেন কামি রিতা শেরপা। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই তিনি এভারেস্টে আরোহণ করেন।

‘এভারেস্টম্যান’ নামে পরিচিতি রিতা শেরপা দুই দশকের বেশি সময় ধরে এভারেস্ট অভিযানে গাইড হিসেবে কাজ করছেন।

৫৪ বছর বয়সি কামি রিতা শেরপা। গত সপ্তাহে এভারেস্টে ওঠার বেস ক্যাম্প থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দেন। লেখেন- বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ায় ২৯তম বারের মতো ওঠার জন্য আবার এসেছি।

২০১৮ সাল থেকে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্টে ওঠার খেতাব ধরে রেখেছিলেন। তখন তিনি ২২তমবারের জন্য এভারেস্টে আরোহণ করেছিলেন। তিনি আগের অন্য দুই শেরপার সঙ্গে পর্বতারোহণের এই রেকর্ড ভাগাভাগি করেছিলেন। তারা দুজনই অবসর নিয়েছেন।

কিন্তু গত বছর নেপালের আরেক পর্বতারোহী, ৪৬ বছর বয়সি পাসাং দাওয়া শেরপা ২৬তমবারের মতো এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়ে কামি রিতার ২৬তম রেকর্ডকে স্পর্শ করেন। এরপর গত বছর কামি রিতা দুবার এভারেস্টে উঠে ২৭তম ও ২৮ তম বারের মতো রেকর্ড গড়েন।

বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় আলাউদ্দিন খান (৭৫) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। নিহত আলাউদ্দিন খান উপজেলার অর্জুনা গ্রামে মৃত মাজম আলীর ছেলে।

সোমবার (১৩ মে) সকাল ১১টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার অর্জূনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


অর্জুনা ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশ সদস্য স্থানীয় অর্জুনা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সড়কের পাশ দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে একটি গরুবাহী ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সে ঘটনাস্থলে গুরুত্বর আহত হয়ে সড়কের উপর পরে যায়।

এরপর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে টাঙ্গাইল যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খাদেমুল ইসলাম জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, নিহতের খবরটি জানতে পেরেছি। তবে, এনিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত মিসরের
নিজের রেকর্ড ভেঙে ২৯ বার এভারেস্ট জিতলেন রিতা শেরপা
বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশ সদস্য
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মা পেলেন জিপিএ ৪.৫৪, মেয়ে ২.৬৭
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় নিহত ১৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা মঙ্গলবার দুপুরে
চূড়ান্ত রায়ের আগে ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকারের ৫ বছর কারাদণ্ড
শূন্য রানে আউট হয়েও বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাবর আজম
স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
আওয়ামী লীগ পালানোর দল নয়: ওবায়দুল কাদের
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হতে পারে ২৬ মে
রাজধানীতে ২৩ জন গ্রেপ্তার
এসএসসি পাস করেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র পরীক্ষার্থী রুবিনা
আবারও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, হাসপাতালে বাংলাদেশী যুবক
আবারও দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস
মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশী অভিবাসী আটক
রাতেই কুবুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ