ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার দাবি সম্পাদক পরিষদের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।
একইসঙ্গে মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম বাবলুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাসহ এই আইনে সংবাদকর্মীদের নামে যতগুলো মামলা হয়েছে, অবিলম্বে সেসব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে পুনরায় দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ ও দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
এর ধারাবাহিকতায় এই আইনের ২৫(২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোয় সম্পাদক পরিষদ গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
গত ২৯ মার্চ পরিষদ এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরও দুঃখজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে শামসুজ্জামান শামসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম বাবলুর বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ এই আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের সংবাদপত্র শিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে বিধি সংশোধনের কথা বলেছিলেন এবং সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু তার আশ্বাসের পরও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলোকে আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি। আমরা এই কাজগুলোকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার হুমকির স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করি।'
সম্পাদক পরিষদ প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস এবং দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম বাবলুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাসহ এই আইনে সংবাদকর্মীদের নামে যতগুলো মামলা হয়েছে, অবিলম্বে সেসব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে পুনরায় জোরালো দাবি জানানো হয়।
এমএমএ/