শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শামসুজ্জামানের মুক্তিসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএসপিপির

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী। তারা অবিলম্বে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আজ যেখানে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই সেখানে সাধারণ নাগরিকের অবস্থা যে কতটা ভয়াবহ তা সহজে অনুমেয়।

পেশাজীবী নেতারা বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম চরম দুর্দিন অতিক্রম করছে। সরকার, সরকারি দল, আমলাতন্ত্র ও প্রভাবশালী মহল গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার ,সাংবাদিক হত্যা, ঠুনকো অজুহাতে গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া এখন নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় অন্তত ৫৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কড়া সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক নির্যাতনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ভিন্নমত ও সরকারের সমালোচনা দমনে এই আইনের নজিরবিহীন অপপ্রয়োগ চলছে। এই আইনে অভিযুক্তরা যখন আদালতে যাচ্ছেন, তখন তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। নিপীড়নমূলক এই আইনের ১৪টি ধারাই যেহেতু জামিন অযোগ্য, তাই এটা একটা সাংঘাতিক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে। নিপীড়নমূলক এই আইনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাজার বিধান রাখা হয়েছে ১৪ বছর। আমাদের দেশে মৃত্যুদণ্ড বাদ দিলে কোনো খুনির সাজা হয় ১৪ বছর। সাংবাদিকদের অপরাধ কী এত জঘন্য যে তাকে খুনের মামলার আসামির সমান সাজা দিতে হবে? আমরা মনে করি, এসব করা হচ্ছে সাংবাদিকদের কলম ও নাগরিকদের কণ্ঠ থামিয়ে দেওয়ার জন্য। যাতে সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ব্যর্থতার কথা গণমাধ্যম প্রকাশ করতে না পারে এবং এ নিয়ে জনগণ বিশেষ করে বিরোধী দল প্রতিবাদ বা সমালোচনা করতে না পারে।

দুই নেতা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কবলে পড়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার যখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা, তেমনি পরিস্থিতিতে একের পর এক কালা কানুনের খড়্গ ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এমন কোনো পন্থা নেই যা অবলম্বন করা হচ্ছে না! আজ বাংলাদেশে সাংবাদিকদের যেন 'মু্খে সেলাই', 'হাতে কড়া' আর 'পায়ে ডান্ডাবেরি' পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমালোচনার সীমারেখা এতটাই টেনে দেওয়া হয়েছে যে, সমালোচনার সময় কয়েকজন ব্যক্তির নাম ভুলেও মুখে বা কলমে আনা যাবে না। তারা যতই অপকর্ম বা ভুল করুক সমালোচনা করা যাবে না। তাদের সমালোচনা মানেই জেলে যেতে হবে না হয় নির্যাতিত হতে হবে। এমনকি জীবনও যেতে পারে। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদুদ্দীন মোস্তাফা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

সরকারের এমন চণ্ডালনীতির কারণে বাংলাদেশে এক 'ভয়ের সংস্কৃতি' তৈরি হয়েছে। যার ফলে অনেকে স্বাধীনভাবে তাদের মনের কথা বলতে পারছে না। বহু সাংবাদিককে দেশান্তরি হতে হয়েছে। লেখার স্বাধীনতা না থাকায় এবং নিপীড়নের ভয়ে অনেক সাংবাদিক পেশা পরিবর্তন করছে। একইভাবে বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ায় মানুষকে এখন ভেবে চিন্তে কথা বলতে হচ্ছে। ভয়ের কারণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় এখন মড়ক ধরেছে। ফলে দুর্নীতি ও লুটপাট আজ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ দিন দিন মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

মিডিয়ার কণ্ঠরোধের সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার পাশাপাশি বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্য নামামুখী চাপ এবং বিধিনিষের বেড়াজালে সাংবিধানিক এ অধিকার মলাটবদ্ধ নথিতে রূপান্তরিত হয়েছে। অতীতে যখনই গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর আঘাত এসেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে। এবার গণমাধ্যম কেন জানি "এক অসহায় আত্মসমর্পণ" করে বসে আছে! যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিবৃতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল এবং সরকারকে নিপীড়নের পথ পরিত্যাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক