টেলিভিশন সাংবাদিককে পুলিশের হেনস্তা
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন নাগরিক টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সাইদ আরমানকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
রবিবার দুপুরে জাতীয় সংসদের মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন দক্ষিণপ্লাজা এলাকা থেকে লাইভ টেলিকাস্টের সময় রিপোর্টার সাইদ আরমানের হাত থেকে বুম কেড়ে নেন শাহীন নামে পুলিশের এক সদস্য।
তিনি সংসদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। পরে তার সঙ্গে আরও একজন যোদ দেন। এ ঘটনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ও বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) পৃথক বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
নাগরিক টেলিভশনের রিপোর্টার সাইদ আরমান জানান, রবিবার বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগ করেন। এই রিপোর্ট করার জন্য সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দেশের সবগুলো গণমাধ্যমকর্মী সংসদ এলাকায় উপস্থিত হন। দুপুর দুইটায় সরাসরি লাইভ করার সময় শাহীন নামে এক কনস্টেবল সাইদ আরমানের হাত থেকে বুম কেড়ে নেন এবং রিপোর্টারকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
সাইদ বলেন, ওই কনস্টেবলকে বারবার বুঝানোর পরও তিনি কথা না শুনে আমাকে হেনস্তা শুরু করেন। একপর্যায়ে বলেন, এখানে লাইভ করতে হলে সংসদ সচিবালয়ের পাস লাগবে।
জবাবে তিনি বলেন, এটা সংসদের বাইরে। এখান থেকে আরও অনেক বেসরকারি টেলিভিশন লাইভ করেছে। তারপরও মন গলেনি ওই পুলিশ সদস্যের। একপর্যায়ে টেলিভিশনের লাইভ বন্ধ করতে বলে বুমটি নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ বক্সে। সেখানে কর্তব্যরত এসআই নাজমুলও সাইদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এ বিষয়ে নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক শাহনাজ শারমীন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশ অতিউৎসাহিত হয়ে আমাদের রিপোর্টারকে হেনস্তা করেছে। যা লাইভেই দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ওই কনস্টেবলের আচরণ ছিল উদ্দেশ্যমূলক। তার এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।
এনএইচবি/এমএমএ/