ফেলোশিপ পেলেন মানিক ও শাহীন
কৃষি অর্থনৈতিক বিষয়ক সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ পেলেন বাংলাদেশি দুই সাংবাদিক।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার মানিক মুনতাসির ও কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন কে গত ২৮ নভেম্বর ডেনমার্কের হার্নিং শহরের মেসেজসেন্টারে (এমসিএইচ) ফেলোশিপের সনদ প্রদান করা হয়।
এ ফেলোশিপের সনদ ও আর্থিক মূল্যের ডামি তুলে দেন আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব এগ্রিকালচারাল জার্নালিস্ট (আইএফএজে) প্রেসিডেন্ট ও সুইডেনের খ্যাতনামা কৃষি সাংবাদিক লীনা জোহানসন।
ফেলোশিপের অংশ হিসেবে ডেনমার্কে আয়োজিত অ্যাগ্রোমেক প্রদর্শনীতে মানিক, শাহীনসহ ২১ দেশের ফেলোরা অংশ নিচ্ছেন। এটি ইউরোপীয় অঞ্চলের বৃহৎ অ্যাগ্রো প্রদর্শনী। এ ছাড়া, তারা এর অংশ হিসেবে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেনসহ নরডিকভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন কৃষি ও এগ্রোফার্ম, সোলার প্যানেল সিস্টেম প্রদর্শনীতে ৫১টি দেশ অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ডেনমার্কস্থ ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত মিখাইল ভিদোনিক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির প্রধান ও অ্যাগ্রোম্যাকের চেয়ারম্যান স্টেন এন্ডারসেন। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে এ বছরের জন্য বিশ্বের ২১ জন বেষ্ট খামারী, কৃষক ও কৃষি বিষয়ক সাংবাদিককে অ্যাগ্রোমেক অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলীয় অঞ্চলের বাছাই করা কৃষি অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের এ ফেলোশিপ দেয়া হয়েছে।
ডেনমার্কের বায়োগ্যাস, ফার্মিং, ডেইরী, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, উৎপাদন পদ্ধতি ফেলোশিপপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের সরেজমিন বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখানো হচ্ছে।
মানিক মুনতাসির বাংলাদেশ প্রতিদিনে ১৩ বছর ধরে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত৷ এর আগে ভোরের ডাক, যুগান্তরে কাজ করেছেন। গত ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের (অ্যামচেম) ফ্রন্টলাইনার অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। পেডরোলো সেরা কৃষি লেখক অ্যাওয়ার্ড জিতেন ২০১৪ সালে। পেশাগত কাজের পাশাপাশি তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অর্থ সম্পাদক ছিলেন ২০১৭/২০১৮ সালে।
পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চার সঙ্গে জড়িত। তার তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। গত বইমেলায় প্রবন্ধ বিষয়ক বই মুখোশের আড়ালে মুখোশ মেলায় প্রকাশিত হয়।
সাহানোয়ার সাইদ শাহীন কালের কন্ঠের আগে প্রায় এক যুগ বণিক বার্তায় সাংবাদিকতা করেছেন।
এনএইচবি/এমএমএ/