সাংবাদিক নির্যাতন: তিনজন রিমান্ডে, পাঁচজন কারাগারে
বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েলকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাছাড়া আরও পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ আগস্ট) এই আদেশ দেন আদালত।
একদিন করে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন, কাওছার ভূঁইয়া, মো. সুমন মিয়া ও মো. মাসুম বিল্লাহ।
কারাগারে যাওয়া পাঁচ আসামি হলেন, মো. হাফিজ, মো. মহসিন ভূঁইয়া, মো. মাহবুব হোসেন, মো. আসিফ আকবর ও মো. মাকসুদুল্লাহ।
বুধবার (৩ আগস্ট) আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক রূপ কর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আর আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে তিন আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বাকি পাঁচজনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল বাদি হয়ে ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশনের এই আটজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। রাজধানীর তালতলা এলাকায় ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশনের মেডিকেলের যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও ভিডিওগ্রাফার আজাদ আহমেদ হামলার শিকার হন।
এ সময় ক্যামেরা ভাঙচুর ও ফুটেজ ডিলিট করে দেন হামলাকারীরা। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি আটজনের নাম উল্লেখ করেন।
অভিযোগ পত্রে সাংবাদিক লিখেছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশনের মেডিকেল সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সরবরাহে অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে যাই। তখন আসামিরা আমার সঙ্গে থাকা ভিডিও ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, মোবাইল, মানিব্যাগ ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। এরপর তারা আমাদের এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, গলা চেপে ধরে এবং লাথি মেরে জখম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এছাড়াও ক্যামেরায় ধারণ করা সব ভিডিও ফুটেজও তারা মুছে ফেলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশন। ভিক্টর ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় অনুসন্ধানে যায় ডিবিসি নিউজ।
এমএ/