বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

'রিয়াজ উদ্দিন ছিলেন ভালো সাংবাদিক ও ভালো মানুষ'

প্রয়াত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ও ফিনান্সিয়াল হেরাল্ড এর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন ভালো সাংবাদিক, ভালো নেতা ও ভালো মানুষ। তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতা ও সম্পাদকরা।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, 'তারা এমন একজন বাবাকে হারিয়েছেন, পরিবারের এমন একজনকে হারিয়েছেন যাকে নিয়ে, যার পরিচয় নিয়ে তারা গর্ব করতে পারেন। রিয়াজ ভাই বয়সে বড় ছিলেন। তবে আমরা প্রায় একই সময়ে সাংবাদিকতা শুরু করি। পাকিস্তান অবজারভারে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। হোসেন সাহেব ইংরেজি সাংবাদিকতায় অর্থনৈতিক রিপোর্টার হিসেবে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন।'

তিনি বলেন, 'আমরা একসঙ্গে ছাত্রলীগ করেছি। তিনি এসএম হলে থাকতেন। আমি সেই সময়ের জিন্নাহ হল পরবর্তীতে সূর্যসেন হলে থাকতাম।'

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, 'আমাদের সাংবাদিকতায় যে নির্বাচন অর্থাৎ সাংবাদিক ইউনিয়ন সেখানেও আমরা একসঙ্গে একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, এক পর্যায়ে রিয়াজ ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের পথটি দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়। তিনি একটি ধারায় চলে গেলেন। আমরা তারই রেখে যাওয়া যে ধারা তাকে এগিয়ে নিয়ে গেলাম। আমাদের রাজনৈতিক মতে ভিন্নতা থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনে কোনো বৈরিতা আসেনি।'

তিনি আরও বলেন, 'সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমরা এক সময় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক ইউনিয়নের পতাকা নিয়ে আন্দোলন করেছি। কিন্তু আমরা সেই পতাকা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছি, গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আমরা আমাদের নিজেদের পতাকা ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারিনি।'

তিনি বলেন, ৯১-৯২ সালে আমরা বিভক্ত হয়ে গেলাম। শুধু নেতৃর্ত্বের কারণে নয়, আমরা বিভক্ত হলাম রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। একপক্ষ আমরা থেকে গেলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। আরেকটি জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে। এর সঙ্গে ছিল জামায়াত। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এখনও বিভক্তই আছি। এই যে বিভক্তি সেখান থেকে আমরা এখনও বের হয়ে আসতে পারিনি। এর ছায়া বিভিন্ন সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবেও পড়েছে।'

ইকবাল সোবহান বলেন, 'রিয়াজ ভাইয়ের সবচেয়ে বড় যে বৈশিষ্ট্য, তিনি সাংবাদিক ছিলেন। তিনি রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন এবং সম্পাদকও ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন করেছেন, ইউনিয়নের সাংবাদিকদের রুটি রুজির আন্দোলন করেছেন। পরবর্তীকালে তিনি মালিক হয়েছিলেন এবং মালিকদের সংগঠনে যোগদান করেছেন।'

তিনি বলেন, 'আজ তিনি সকল প্রশংসা ও সমালোচনার ঊর্ধ্বে। তিনি প্রেস ক্লাবে ছিলেন, ইউনিয়নে তিনি ছিলেন। সাংবাদিকতায় তিনি ছিলেন। আমরা তার সঙ্গে ছিলাম। তিনি থাকবেন আমাদের মাঝে।'

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ একজন ভালো সাংবাদিক, ভালো মানুষ ও ভালো নেতা ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে অভিভাবক তুল্য ছিলেন। তার অনুপস্থিতি আমরা অনুভব করব।'

সাইফুল আলম বলন, 'আজকে সাংবাদিকতা বিভক্ত নানা পথে, নানা মতে। কিন্তু রিয়াজ ভাই ছিলেন বিভক্ত সাংবাদিকদের অবিভক্ত নেতা।'

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মাসরুর রিয়াজ বলেন, 'বাবা তিনটা বিষয়ে সব সময় বলতেন। শিক্ষা, সততা ও কঠোর পরিশ্রম। এই তিনটা বিষয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন।'

বাবার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বাবা বললেন তার সিডান কার পরিবর্তন করতে চান। বললাম, 'তুমি একটা জিপ কিনে নাও। মায়ের একটু কোমরে ব্যথা। জিপ হলে মায়ের জন্য স্বস্তি হবে।' কিন্তু তিনি রাজি হলেন না। বললেন, 'জীপ চালালে মানুষ ভিন্ন চোখে দেখবে। বলবে, দেখ সাংবাদিক জীপ চালায়।'

মাসরুর বলেন, 'আব্বার জন্য আপনাদের যেকোনো উদ্যোগে আমরা যদি শরিক হতে পারি, সহযোগিতা করতে পারি তাহলে বাবার প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা জানাতে পারব।'

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'তিনি এমন একজন নেতা ছিলেন যে, সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। এমনকি যারা নির্বাচনে তার সঙ্গে হেরে যেতেন তাদেরও আগলে রাখতেন।'

সভাপতির বক্তব্যে এ ক আজাদ বলেন, 'তিনি যখন নিউজ টু ডে থেকে নোয়াব এ আসলেন তখন তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। তার আগে একটু আধটু জানাশোনা ছিল। তিনি চারবার অবিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। তিনি নির্বাচন করতে চাইতেন না। অ্যাসিস্ট করতেন। রিয়াজ ভাই যে সম্মান নিয়ে গেলেন আমাদেরকেও একইভাবে যেতে হবে। রিয়াজ ভাই নিজের সন্তানদের সততার কথা বলতেন। এটা তখনই সম্ভব যখন তিনি সৎ থাকেন।'

নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, যুগান্তর সম্পাক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মাসরুর রিয়াজ।

এনএইচবি/টিটি

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’