তুমি কী দেখেছো কভু?
টিভিতে সারাক্ষণ আমরা শহীদ মিনারে মানুষের ফুল দেওয়া দেখি। তারও আগের রাতে ১২টার শুরুতেই সবার আগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে বুকের রক্ত ঢেলে দেওয়া, মাথা উড়ে যাওয়া প্রায় রফিকসহ নির্মমভাবে নিহত পাকিস্তানীদের হাতে ভাষা আন্দোলনের সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে অত্যন্ত গর্বের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে, তাদের স্মরণে নিমিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের, সে তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উচ্চতম আসনে বসিয়েছে। সেদিন রাত থেকে পরদিন সারাবেলা ও সবসময়ই এই শহীদ মিনার বাঙালির ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার অপরূপ এক ভুবন হয়ে বেঁচে থাকে। যে কোনো সংগ্রামের শুরুতে সাংস্কৃতিক কর্মীরা শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসেন। সব সংকটে এখানে এসে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন অন্যদের মতো-শিক্ষক, অধ্যাপকরা। আমরা সবসময় খেয়াল রাখি, সেদিক দিয়ে যেতে গর্বে বুক ভরে উঠে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের। এই দেশের ছেলে, বুড়ো সবাই জানেন এই শহীদ মিনারের কথা। তারা সবাই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরকে চেনেন। আনোয়ার হোসেন, রাজ্জাক, ববিতা, রওশন জামিলের ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবিটি দেখেছেন কিন্তু কিভাবে এই শহীদ মিনার একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য সাজে, সেটি কী আমাদের চেনা? আল-আমিন তুষারের সেই ছবিগুলো ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সালের সকালে তোলা। আসুন গল্পের ছবিতে একুশেকে ফুলে সাজানো পেছনের মানুষগুলোকে জানি।
ওএস।