আজ 'বেস্ট ফ্রেন্ড' দিবস
আজ আজ 'বেস্ট ফ্রেন্ড' দিবস। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
বন্ধু মানে আনন্দ, হাসি, সুখ, দুঃখের অংশীদার। প্রতিটি মানুষের একাধিক বন্ধু আছে। এই বন্ধুদের মধ্যেও একজন হয়ে ওঠে সবার সেরা। বিশ্বাস, প্রতিশ্রুতি রক্ষা একজন আরেকজনের জীবনে হয়ে ওঠে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’। আজ ৮ জুন, ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ডে বা ঘনিষ্ঠ বন্ধু দিবস।
প্রিয় বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর উদ্দেশ্যেই পালন করা হয় এই দিনটি। আপনার জীবনে তার ভূমিকা কতখানি, তা মনে করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমেই আপনি পালন করতে পারেন এই দিনটি।
গবেষণা বলছে, প্রতি ১২ জনে একজন হয় আজীবনের, হয় পরম বন্ধু। আবার একই সময়ে মানুষের দুইয়ের অধিক ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ থাকে না। ঠিক যেন প্রেমের মতোই ব্যাপার। একসঙ্গে যেমন একাধিক প্রেম চলে না, তেমনই দুইয়ের অধিক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও হয় না।
বন্ধুত্বের কথা বলতে গিয়ে চলে এল প্রেম। খাঁটি বন্ধুত্বের বিচারে প্রেম নেহাত মামুলি সম্পর্ক, প্রেমের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেও এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। সত্যিই তো, প্রথাগত প্রেম, মায়া, স্নেহ, মোহ—এসব অনুভূতির চেয়ে সহস্র গুণ শক্তিশালী অনুভূতির নাম বন্ধুত্ব। প্রেম ফুরিয়ে যায়। চূড়ান্ত ধ্বংসস্তূপে ঠেলে দেয় কখনো। বন্ধুত্ব ফুরায় না। ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলে আনে। বিপদে বুক পেতে দেয়। দুর্গম পথে হাত ধরে রাখে শক্ত করে। ডুবে যাওয়ার মুখে আগলে ধরে রাখে।
একজন সত্যিকারের বন্ধু মানে সেই স্বচ্ছতম আয়না, যার সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়েও নিজের ভেতরটাকে দেখা যায়। তুমুল হাহাকারে জড়িয়ে ধরে চোখের জলে ভাসিয়ে দেওয়া যায় বন্ধুর বিশ্বস্ত কাঁধ।
আপনিও দিবসটি পালন করতে পারেন। বন্ধুকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। সিনেমা দেখা যেতে পারে। সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করা যেতে পারে। বন্ধুকে তাঁর প্রিয় কিছু উপহার দিতে পারেন। বন্ধুকে বলা হয়নি কখনো, এমন না বলা জমিয়ে রাখা কথামালায় সাজিয়ে চিঠি লিখতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুকে নিয়ে আবেগঘন, মজাদার কিংবা স্মৃতিময় ছবি, লেখা, ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।
১৯৩৫ সালের ৮ জুন এই দিনটিকে পালন করার স্বীকৃতি দেয় মার্কিন কংগ্রেস। আগস্ট মাসের প্রথম রোববার জাতীয় বন্ধুত্ব দিবস এবং ৮ জুন বিশ্ব বেস্ট ফ্রেন্ড দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করে তারা। সেই সময়ে এই দিবসটি জনপ্রিয় না হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সম্প্রতি এই দিনটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বজুড়ে।