বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বেক্সিমকো, কনফিডেন্স ও দারাজ জাগোর সঙ্গে ১০ লাখ মাস্ক বিলালো

সাকিব হাসান শুভ

‘জাগো ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশের গরীব মানুষদের সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তরুণ-তরুণীদের একটি সামাজিক আন্দোলন। যাকাত কাযক্রম, বিনামূল্যে শিক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাটি দ্রারিদ্রতার দুষ্ট চক্র ভেঙে দিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

তারা অন্যান্য বেসরকারী উন্নয়ন ও সামাজিক সংস্থাগুলোর মতো কাজ করছেন ‘কোভিড-১৯’ রোগের বিপক্ষে। এই রোগের নতুন ধরণ অমিক্রনের আক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেশের সবাইকে মাস্ক পরার অপরিহার্যতা আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে-কার্যক্ষেত্রে দারুণভাবে খেয়াল করেছেন। ফলে এই মাসের ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ফাউন্ডেশনটির স্বেচ্ছাসেবীদের প্লাটফর্ম ‘ভলান্টিয়ার্স ফর বাংলাদেশ’ এক বিশেষ সামাজিক উদ্যোগ সম্পন্ন করেছে।

তিন দিনে ‘ভলান্টিয়ার্স ফর বাংলাদেশ’ সারা বাংলাদেশ জুড়ে ব্যস্ত রাজপথ, গণ-পরিবহন, ওভার ব্রিজ, বাস স্টপেজসহ বেশি জনসমাগম হয় এমন স্পটগুলোতে ১০ লাখ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছেছেন। কোভিড-১৯ মহামারি রোগের হাত থেকে বাঁচার যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা ‘আপনার মাস্ক কোথায়?’ কাযক্রমটি সম্পন্ন করেছেন সফলভাবে।

৩১ জানুয়ারি ১০ লাখ মাস্ক বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় বিতরণ ও সঠিকভাবে পরা এবং ‘কোভিড-১৯’ মহামারি রোগটির হাত থেকে বাঁচতে কী, কী করতে হবে-বারবার মনে করিয়ে দিয়ে তাদের সচেতনতার প্রচারাভিযানটি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কমিউনিকেশন ম্যানেজার তানভীর মুযাদ্দিদ।

তিনি বলেছেন, “আমাদের দীর্ঘ শ্রমের বিনিময়ে করা এই প্রচারাভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল, সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘কোভিড-১৯’ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। দুই বছর ধরে তারা যে সংগ্রাম করে চলেছেন মহামারি এই রোগটির বিপক্ষে বিশ্বজুড়ে, আমাদের বাংলাদেশেও সেটিকে এই পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থাগুলোর পাশাপাশি জাগো ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রয়োগে নিয়ে আসা। আমরা কেবল সামাজিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং সচেতনতাই বাড়িয়ে তুলিনি, মহামারি রোগটির নতুন ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, বাঁচার তাগিদে মাস্ক পরতে মানুষের আচরণগত উন্নতিতে কাজ করেছি।”

তানভীর মুযাদ্দিদ জানিয়েছেন, পারম্পরিক অংশীদারিত্বের এই কাযক্রমে জাগোকে সাহায্য করেছেন সিএসআর খাতে কটি বিখ্যাত বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান-‘বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’, ‘কনফিডেন্স’ গ্রুপ ও , অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠান ‘দারাজ’ ।

তিনি জানিয়েছেন, শেষ দিনে রাজধানী ঢাকার গুলশান-২, বনানী-১১, মহাখালীর ‘কাকলী’, ‘কারওয়ান বাজার’ ও ‘ধানমন্ডি’র মতো উন্নত এলাকাগুলোর ব্যস্ত সড়কগুলোতে ‘আপনার মাস্ক কোথায়?’ কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা হয়েছে।

তানভীর মুযাদ্দিদ বলেছেন, ‘অন্যান্য বারের চেয়ে এই আয়োজনের পার্থক্য ও ভালো দিক এই ছিল যে, আমাদের তরুণ, তরুণী স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে দারাজ, কনফিডেন্স ও বেক্সিমকোর কর্মকতা ও কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন।’

তিনি জানিয়েছেন, ‘সেখানে তারা অনেক কাজ করেছেন এবং আমাদের কাজগুলোর উচ্চ কন্ঠে প্রশংসা করেছেন।’

জাগো ফাউন্ডেশন বলেছে, স্বেচ্ছাসেবকরা ঢাকার বিভিন্ন মসজিদেও শেষ দিনে এবং সবসময় সাধারণ পথচলতি এবং গরীব মানুষদের মধ্যে মাস্ক বিলিয়েছেন। তাদের করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে অনুরোধ করে উপায়গুলো বলেছেন।

এই বিষয়ে দারাজ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রধান বিপনন কর্মকতা তাজদিন হাসান বলেছেন, ‘আমরা কাজে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িয়েছি এই কারণে যে, আমাদের ব্রান্ডের মূল উদ্দেশ্য হলো, অনলাইনে বাণিজ্যের শক্তিকে ব্যবহার করে স্থানীয়দের উন্নয়ন ঘটানো, তাদের কাছে আধুনিক পণ্য ও সেবাগুলোকে পৌঁছে দেওয়া এবং তরুণ, তরুণীদের কাজের ব্যবস্থা করা।’

তিনি বলেছেন, ‍‌“তবে এই মুহূতে কোভিড-১৯ মহামারি রোগের অমিক্রন ভাইরাসে বিশ্বের লাখ, লাখ মানুষ আক্রান্ত। তাতে অনলাইনে ব্যবসা করা আমরাও ক্ষতিগ্রস্থ। প্রায় সর্বত্র রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে, ফলে উদ্বেগপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে আবারও চলে যাচ্ছি সবখানে সবাই। তাতে বাঁচতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আমরা ‌‘ভলান্টিয়ার্স ফর বাংলাদেশ'কে সার্বিকভাবে সহযোগিতাই শুধু নয়, নিজেরাও অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সমাজগুলোকে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি। আমরাও মাস্ক দিয়েছি, নিজেরা কাজ করেছি। এভাবে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা বজায় রাখতে অংশীদার হয়েছি।"

কনফিডেন্স গ্রুপের আয়োডিনযুক্ত লবনসহ আরো ভালো, ভালো সামাজিক উদ্যোগ আছে বাংলাদেশে। তাদের বোর্ড মেম্বারাও এই মহৎ কাজে যোগ দিতে পেরে খুশি, “আমরা মনে করি ‘কোভিড-১৯’ মহামারির বিরুদ্ধে লড়ার এ এক সাশ্রয়ী ও সেরা সমাধান। মৌলিক কোভিড বিরোধী প্রটোকল অনুসরণ করে গত ২ বছর ধরে ১ শতাংশেরও কম সংক্রামণে আমাদের কর্মীদের নিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এই সময়াবলীর মধ্যে আমরা যে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছি, মাস্ক পরা অন্যতম। ভলান্টিয়ার্স ফর বাংলাদেশ এবং অন্যদের সঙ্গে থেকে আমরা আমাদের ব্যবসার সামাজিক অঙ্গীকারও পূরণ করতে পেরেছি।”

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলেছেন “কোভিড-১৯’ রোগের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। মাস্ক ভাইরাসটির সংক্রমণ বন্ধ করতে পারে। জীবন বাঁচাতে পারে। তাই আমরা তাদের সহযাত্রী হয়েছি।"

জাগো সূত্রে জানানো হয়েছে, এই কার্যক্রমটিও এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস বা টেকসই উন্নয়ন)’র লক্ষমাত্রাগুলো অর্জনে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং তার সরকারের ‘বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১’ পূরণ করতে এভাবেও তরুণ-তরুণীদের উৎসাহী, সক্রিয় অংশগ্রহণ হচ্ছে। তাতে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

মূল প্রতিষ্ঠান জাগো ফাউন্ডেশনের প্রধান করভি রাকসান্দ সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, “করোনাভাইরাস আরো অনেক দিন থাকতে পারে। আমাদের কাছের, দূরের ও প্রিয়জন-সবাইকে নিরাপদ, সুস্থ রাখতে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করাই ভালো। প্রত্যেককে মাস্ক পরতে, হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে ও ভিড় এড়াতে আমি আবার অনুরোধ করছি।’

ওএস।

 

 

 

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত