তারুণ্য ধরে রাখতে যে কাজগুলো প্রতিদিনই করেন নীতা আম্বানি
ছবি সংগৃহিত
ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনীতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির স্ত্রী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তিনি রাজকীয়ভাবে জীবন যাপন করেন। সকাল থেকে রাত্রিতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কোটি কোটি টাকার জিনিস ব্যবহার করেন।
কিছুদিন আগে অনন্ত প্রাক্-বিয়ে নিয়ে মেতে ছিল পুরো মিডিয়া। উপস্থিত হয়েছিল বলিউডের প্রথম শ্রেণির তারকারা। এত সব তারকার ভিড়েও আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন নীতা আম্বানি। ষাটের কোঠায় পা দিয়েও নিজের ফিটনেস ও সৌন্দর্য, দুই-ই ধরে রেখেছেন তিনি।
মুকেশ আম্বানি তার ব্যবসার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝেমধ্যেই খবরের আলোচনায় আসেন। তার স্ত্রী নীতাও কম যান না, অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত তিনি। পৃথিবীতে এমন কোন লাক্সারি বস্তু নেই যা তিনি ব্যবহার করেন না। এভাবে রোজকার মতো লাইমলাইটে থাকেন তিনি।
৬০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও নীতার চেহারার গ্ল্যামার অটুট। কোনো উঠতি নায়িকা লজ্জা পাবে নীতা আম্বানির লাস্যের কাছে। নীতা আম্বানির জীবনযাপন অবশ্য সাধারণ মানুষের কাছে আলোচ্য বিষয়। পরনের দামি শাড়ি থেকে বহুমূল্য হ্যান্ডব্যাগ অথবা তার জুতো বা ঘড়ি প্রায়শই আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। তিনি যা করেন সব মেপে মেপে।
নিজের রূপকে সুস্থ রাখতে তিনি ভরসা করেন স্ট্রিক্ট রুটিনের ওপর। অনেকে মনে করেন যে, নীতা আম্বানির এই গ্ল্যামার গ্লো শুধুই কোনো বড় ব্র্যান্ডের কসমেটিকস ব্যবহারের জন্য। কিন্ত আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, শুধুই কোনো ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করেই এই গ্লো পাওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য একটি রুটিন মেনে চলেন তিনি। তার রুটিন দেখলে চমকে যাবেন সবাই।
নীতা প্রতিদিন রাত ১০-১১ টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন এবং ভোর ৫ টায় উঠে যান। তার দিন শুরু হয় শরীর চর্চার সাথে। তারপর ব্রেকফাস্ট করেন তিনি। এর মধ্যে তার খাবারের তালিকায় থাকে বিটরুটের জুস। সারা দিন এরকমই হেলদি খাবার খেতেই পছন্দ করেন তিনি। কোনরকম ফাস্টফুড ছুঁয়েও দেখেননা। ৬০ পেরিয়েও আজও তিনি লাস্যময়ী আর এভাবেই তিনি তার যৌবন ধরে রেখেছেন।
অন্তত দুই বেলা বিটের জুস পান করেন নীতা আম্বানি। বিটের জুস যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনই স্টেমিনা ধরা রাখতে সহায়তা করে। আর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে বিটের বিকল্প নেই।
নীতা আম্বানির মতে, তার সৌন্দর্যের রহস্য পানি। প্রতিদিন যখনই সময় পান, পানি পান করেন, পান করেন ডাবের পানি। যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে। ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
দিনে যত কাজের চাপই থাকুক, শরীরচর্চায় বিন্দুমাত্র ভুল করেন না তিনি। নিয়ম করে যোগব্যায়াম করেন। যোগব্যায়ামের পর সাঁতার। সাঁতার খুবই ভালো ব্যায়াম। শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উপকৃত হয়। রক্ত চলাচলের ব্যবস্থা ভালো থাকে। কার্ডিও দিয়ে শরীরচর্চা শেষ করেন তিনি।
সবুজ শাকসবজির বেশ বড় ভক্ত নীতা। প্রতিদিনের খাবারে সবুজ শাকসবজি থাকা চাই-ই চাই। বিশেষ করে ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি–জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়া রাতের খাবারে তাঁর জন্য থাকে বিশেষ শাকসবজির স্যুপ। টাটকা খাবার, শাকসবজি খান নীতা।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাইরের খাবার খান না তিনি। চিনি ছাড়া ঘরে বানানো খাবারই তার পছন্দ।