রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শীতে শরীরে উষ্ণতা দেবে যেসব খাবার

ছবি সংগৃহিত

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। চারদিকে বইছে হিমেল ও শুষ্ক হাওয়া। দেশে এখন হাড়কাঁপানো শীত। এ সময় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ও উষ্ণ রাখতে গরম কাপড় ছাড়াও চাই বিশেষ পুষ্টিকর খাবার। চলুন জেনে নিই কোন কোন খাবার শীতকালে আপনার শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে-

মধু: এটি ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেটের (শর্করা) ঘন উৎস। মধুতে থাকা গ্লুকোজ থেকে সরাসরি অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট তথা এটিপি তৈরি হয়। এই বিপাক প্রক্রিয়ার সময়ই দেহের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তাই শীতে গরম পানি, দুধ ও চায়ের সঙ্গে মধু ব্যবহার করতে পারেন।

ঘি: আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে ঘি দেহের তাপমাত্রা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ঘিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে, যা বিপাকের সময় শরীরে অধিক তাপ ও শক্তি সরবরাহ করে। কিন্তু যাঁদের রক্তে চর্বি বেশি, তাঁরা ঘি বেশি খাবেন না।

মসলা: দেহে তাপ তৈরিতে মসলার ভূমিকা রয়েছে। যেমন মরিচের ক্যাপসেসেন, আদার জিঞ্জারল, গোলমরিচের পিপারিন দেহকে উষ্ণ করে। মসলার এসব উপাদান জিবের রিসেপ্টরগুলো উদ্দীপিত করে, যা দেহে তাপ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। তাই শীতে চায়ে, রান্নায় এ মসলাগুলো ব্যবহার করা ভালো।

জিরা–পানি: জিরা দেহে রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। তাই খাদ্যতালিকায় জিরা–পানি যোগ করতে পারেন।

স্যুপ: দেহ উষ্ণ রাখতে শীতের তাজা রঙিন সবজি, ডাল, বার্লি ও মুরগি দিয়ে স্যুপ খেতে পারেন। এতে আদা, রসুন, গোলমরিচ, চিলিফ্লেক্স ইত্যাদি যোগ করা যায়।

তিল ও শর্ষে: তিল ক্যালসিয়াম ও আয়রনে ভরপুর। গুড় দিয়ে লাড্ডু বা ভেজে তিল খেতে পারেন। শর্ষে দেহের থার্মোরেগুলেশন প্রক্রিয়া উদ্দীপিত করে। শর্ষে ভাঙার সময় মাইরোসিনেজ নামক এনজাইম সক্রিয় হয়, যা এলাইল-আইসোথিওসায়ানেট তৈরিতে সাহায্য করে। শর্ষের এ উপাদান দেহের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

দুধ: এটি সরাসরি না বাড়ালেও পরোক্ষভাবে দেহ উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। গরম দুধে মধু বা ঘি মিশিয়ে, ডার্ক চকলেট বা কোকো পাউডার মিশিয়ে হট চকলেট তৈরি করে খেলে চমৎকার উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়বে। গরম বাটার মিল্কের সঙ্গে ড্রাইফ্রুটস মিশিয়ে খেলেও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।

ডার্ক-চকলেট: এতে কোকোয়া বাটার, কিছুটা ক্যাফেইন থাকে, যা দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়। এর থিয়োব্রোমাইন নামক উপাদান রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেহ উষ্ণ করে। এ ছাড়াও ডার্ক-চকলেটের পিইএ নামক উপাদান মস্তিষ্কের নার্ভাস সিস্টেমের তাপ নিয়ন্ত্রণকারী অংশ উদ্দীপিত করে।

শুকনা ফল: শরীর গরম রাখতে বেশ কার্যকর শুকনা ফল (ড্রাই ফ্রুটস)। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, খেজুর, কিশমিশ বা আখরোট ভালো ফ্যাটের বিশেষ উৎস। শীতপ্রধান দেশগুলোতে নাশতা হিসেবে এসব খাবার প্রাধান্য পায়।

মিষ্টি আলু: শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ এই মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড যার রয়েছে দেহকে নানা ধরণের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীত তাড়ানোর বিশেষ ক্ষমতা।

মাংস: খাসি ও গরুর মাংস শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে তা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।

সবুজ শাকসবজি: শীতকাল মানেই সবজি বাজারে রঙের পরশ! আর সেই রং যাতে আপনার খাবারের প্লেটেও লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই কারণেই প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে গাজর, পালং শাক, বিনস, টমেটোসহ আরও নানা সব সবজিকে।

আদা চা: আদা আমাদের দেহের রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে করে আমাদের দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় ও শীত দূরে পালায়। এই আদা খালি না খেয়ে শীতকালে আদা চা তৈরি করে পান করলে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়াও শীতকালীন সর্দি, ঠাণ্ডা, কাশি দূর করতেও আদা চায়ের জুড়ি নেই।

ডাল বা শস্যদানা: মূলত উচ্চমাত্রার প্রোটিনে সমৃদ্ধ এসব উদ্ভিজ খাবার দেহকে পর্যাপ্ত জ্বালানি দেয়। কাজেই এসব খাবার শীত তাড়াতে খুবই কাজের। মসুর, মুগ বা মাষকলাই, যাই খান না কেন, শীতে একটু বেশি করেই খাবেন। দেহে শক্তি থাকবে, তাপও হারাবে না।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া