অতীত শারীরিক সম্পর্কের কথা হবু স্বামীকে জানানো যাবে কি?
ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিয়ে সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। বিয়ের আগে প্রেমে পড়েননি বা প্রেম করেনি এমন মানুষের খুঁজে পাওয়া দায়। তবে প্রেম কিন্তু লুকানোর বিষয়।
অনেকে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়। তবে কখনো যদি স্বামীর কাছে তা খোলাসা হয়ে যায় তবে কী ঘটতে পারে। আর তাও যদি হয় বিয়ের আগে হবু স্বামীর কাছে। কিন্তু অতীতে কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়েও বলাটা আসলে কতটুকু যুক্তিসঙ্গত?
তবে সংসার জীবনে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো হবু দম্পতির প্রাক্তন প্রেম এবং শারীরিক সম্পর্কের বিষয়গুলো। অতীতের বিষয়গুলো হবু সঙ্গীকে জানানো কিংবা না জানানোর সিদ্ধান্তটাও পুরোপুরি ব্যক্তিগত। এর ভালো বা খারাপ দুই দিকই রয়েছে।
সম্পর্ক বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই ধরনের বিষয়ে আলোচনার ভালো-খারাপ দিকগুলো নিয়ে এই আয়োজন।
হবু স্বামীকে কিছু বিষয় জানান:
বিবাহিত জীবনটা পুরোটাই চলে বিশ্বাসের ওপরে। বিবাহিত জীবনের আনন্দধারায় গা ভাসিয়ে হয়তো প্রথম কয়েক মাস কিংবা হয়তো কয়েকটি বছরও পার করে দিলেন। একসঙ্গে চলার পথে অনেক বাধা-বিপত্তি, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক তো হতেই পারে। মিথ্যা বলা বা সত্য গোপন করাটা ভবিষ্যতে ‘কাল’ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সেই সম্ভাবনাকেই দূর করে দেয়াই ভালো। সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হবু সঙ্গীকে বিবাহিত জীবন শুরু করার আগেই সবকিছু জানিয়ে দেয়া।
অতীতে প্রেম থাকা স্বাভাবিক:
বর্তমান যুগে বিয়ের আগে কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাই নিজের অতীত স্বীকার করে হবু স্বামীর সঙ্গীর অতীতকে মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আর আপনার স্বীকারোক্তির প্রতি শ্রোতার মনোভাব দেখে তার সম্পর্কে অনেকটা আঁচ করা যায়।
শারীরিক সম্পর্ক:
অতীত সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে হবু সঙ্গীর শারীরিক সম্পর্ক বিষয়ক পছন্দ-অপছন্দগুলো জানা যাবে। কিংবা ধারণা পাওয়া যাবে। শারীরিক সম্পর্ক সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বিশ্বাস গড়া:
সংসার কিংবা ভালোবাসার সম্পর্ক সব কিছুর জন্য দরকার বিশ্বাস। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি অবশ্যই বিশ্বাস থাকতে হবে। নইলে সংসার টেকানো মুশকিল হয়ে যাবে।
জীবনের সুখ-দুঃখ, বেদনা সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে সম্পর্কের মাঝে বিশ্বাসের ভীত আরও শক্ত হবে। প্রকাশ পাবে আপনার সততা। আপনার সঙ্গী যদি আপনার অতীত মেনে নেয় তবে বুঝতে হবে সমঝদার মানুষকেই সঙ্গী হিসেবে পেতে চলেছেন।
হবু সঙ্গীর অনুভূতি:
নিজের অতীত সম্পর্কে জানানোর পর হবু সঙ্গী যদি বিষয়গুলোকে স্বাভাবিকভাবে নেয় তবে বুঝতে হবে মানুষ স্বাধীনচেতা। সে আপনার অতীতকে মেনে নিয়ে আপনি যেমন ঠিক তেমনিভাবেই আপনাকে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
অস্বাভাবিক আচরণ:
তবে হবু সঙ্গী যদি আপনাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কিংবা আপনার অতীতকে সহজভাবে মেনে নিতে না পারে, সেক্ষেত্রে ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসাই শ্রেয়।
সঙ্গীর অনুভূত যাই হোক না কেনো, আপনি কাউকে মিথ্যা বলে কিংবা সত্য গোপন করে ঠকাননি। মনে রাখবেন সত্য মানুষকে চিরদিন জিতিয়ে দেয়।আর মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।