সর্দি-কাশিতে যেভাবে মুধ খেলে বেশি উপকার
ছবি সংগৃহিত
সর্দি-কাশির সমস্যা বছরের এই সময়ে বেশি দেখা দেয়। কারণ এসময় আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে বাড়তে থাকে ঠান্ডার পরিমাণ। আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তনের সঙ্গে সব সময় আমাদের শরীর খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। এর ফলে খুসখুসে কাশি, সর্দি ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেয়। সর্দি-কাশির সমস্যা সারাতে মধুর ব্যবহার বেশ পুরনো। তবে সঠিক উপায়ে না খেলে কাঙ্ক্ষিত উপকার মিলবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্দি-কাশি সারাতে মধু খাওয়ার সঠিক উপায়-
১. মধু ও লেবু
আপনার চায়ের সঙ্গে মেশান মধু। এরপর তাতে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এবার সেই চা পান করে নিন। এতেই আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যাবে। কারণ চা এবং লেবুরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এফেক্ট রয়েছে যা এ ধরনের সমস্যা কমানোর কাজে সাহায্য করে।
২. চা ও মধু
এক কাপ চায়ে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। ব্যস, তাহলেই সর্দি, কাশি নিপাত যাবে। কারণ মধুর পাশাপাশি চা এবং লেবুরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এফেক্ট রয়েছে যা কিনা এইসব সমস্যা কমানোর কাজে দ্রুত মতো কাজ করে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলে এই পানীয়ের কাপে চুমুক দিতে ভুলবেন না যেন।
৩. গরম পানিতে মধু
সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে এলে তা মিশিয়ে নিন এক চা চামচ মধু। এবার সেই মিশ্রণটুকু খেয়ে নিন। এভাবে খেলেই উপকার মিলবে। এতে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে আসবে। সেইসঙ্গে বুকে কফ জমে থাকলে তাও বের করে দিতে কাজ করবে। তাই সুস্থ থাকার জন্য এই সময়ে গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
৪.তুলসীর সঙ্গে মধু
সকালবেলায় কয়েকটি টাটকা তুলসী পাতা এক চামচ মধুতে মিশিয়ে টুক করে গিলে নিতে পারেন। কিংবা তুলসী পাতার রস করে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে গলায় ঢালুন। সর্দি, কাশির মতো সমস্যা আর পিছু নিতে পারবে না। এমনকী বাড়বে আপনার ইমিউনিটিও।
৫.মধু ও আদা
একটা ছোট আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। তারপর সেই টুকরোগুলো এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। কিংবা এই মিশ্রণ পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। তাতেই কমবে কাশির প্রকোপ। উঠে আসবে বুকে জমে থাকা কফ।
৬. প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু
অন্য কোনো ভেষজ না পেলে প্রতিদিন সকালে শুধু মধুই খেয়ে নিন এক চা চামচ। এতেই কমবে আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা। এমনকী বৃদ্ধি পাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যে কারণে কমবে সংক্রমণের ভয়। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।