রাতের খাবারে কি ওটস খাওয়া উচিত?
পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ওটস আগে কেবল পশুদের খাবার ছিল। পরে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেন, ওটসে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যেমন- ফাইবার, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি-৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে এতে বিদ্যমান। ফাইবার থাকার কারণে এটি খেলে সহজেই পেট ভরে যায়। যার কারণে বার বার ক্ষুধা পায় না। সাধারণত সকালের নাস্তায় এটি বেশি খাওয়া হয়।
সকালের খাবারে ওটসের উপকারিতা সবার জানা। কিন্তু সেই ওটস যদি রাতে খান, তা হলে কী হতে পারে?
কেউ কেউ আছেন, যারা দিনের যেকোনো সময়ে ওটস খেয়ে থাকেন। সকালে দইয়ের সঙ্গে ওটস তো, রাতে আবার ওটস দিয়ে তৈরি করে ফেলেন খিচুড়ি।
চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, ওটস খাওয়ার কোনো বিশেষ সময় নেই। সকাল, দুপুর বা রাতের খাবার- যেকোনো সময়ে ওটমিল খাওয়া যেতে পারে।
অর্থাৎ, রাতে ওটস খেলে কোনো ক্ষতি নেই। নিশ্চিন্তে নৈশভোজে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন এ খাবার। কিন্তু রাতে ওটমিল খেলে বিশেষ কোনো উপকার আছে কি?
ওটসে থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে। এতে হালকা আচ্ছন্ন ভাব আসে শরীরে। তাই পেট ভরে ওটস খেয়ে বিশ্রাম নিলে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়।
সাইকোলজি টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই খাবারের প্রভাবে শরীরে ইনসুলিনও তৈরি হয়। সেই ইনসুলিনের প্রভাবে ট্রিপটোফ্যান পৌঁছায় মস্তিষ্কে। সেখানে গিয়ে তার থেকে সেরোটনিন তৈরি হয়। সেরোটনিন হলো সেই পদার্থ, যার মাধ্যমে ঘুম, মনের ভাব, ব্যথা-বেদনার অনুভূতি নিয়ন্ত্রিত হয়।
সেরোটনিন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হলে উদ্বেগ-অবসাদ কম থাকে। আর ঘুম ভালো হয়।
সুতরাং, বলা যায়, রাতের খাবারের তালিকায় নিশ্চিন্তে রাখতে পারেন ওটস। যাদের রাতে ঘুম ভালো হয় না তাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক এটি।
/টিটি