খাবার নিয়ে অল্প গল্প
প্রতিটি মানুষকে বেড়ে ওঠা ও স্বাস্থ্যকর শরীর ধরে রাখার জন্য খেতে হয়। তবে আমাদের শিশু, ছোট ছেলেমেয়ে, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-যুবক, পূর্ণবয়স্ক ও বয়স্ক নাগরিক হিসেবে আলাদা পুষ্টির চাহিদা আছে। যেমন ছোট বাচ্চাদের প্রতি চার ঘন্টা পরপর তারা স্বাভাবিক খাবার খেতে পারার আগ পর্যন্ত খাওয়াতে হয়। একটি কিশোর-কিশোরী হিসেবে তারা দিনে তিনবার করে খাবার গ্রহণ করে। ভালো খাবারের টিপস বা পরামশগুলো হলো-
১. দিনে তিনবার খাবার গ্রহণ করতে হবে যেকোনো নিজে খেতে পারেন এমন মানুষকে। এই সময়গুলো হলো সকাল, দুপুর ও রাত। এই তিনবেলা খাবার গ্রহণ করতে হয়।
২. খেয়াল রাখতে হবে রাতের খাবার খুব বেশি আকারে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়।
৩. অনেক বেশি খাওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে আমাদের সবাইকে। সেগুলোর মধ্যে আছে ফলাদি, শাকসবজি, ওজন বাড়ায় না এমন খাবারগুলো।
৪. চর্বিহীন খাবার যেমন খেতে হবে, তেমনি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হাঁস বা মুরগির মাংস, মাছ, শিম, কড়াই বা মটরশুটি, ডিম, বাদাম স্বাস্থ্যকর খাবারের অংশ।
৫. যেসব খাবারে কম চর্বি আছে, তেমন খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখা উত্তম। সেভাবে চর্বি কমায় এমন খাবারগুলোও খেতে হবে।
৬. মানুষের শরীরে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। তেমন খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। সেজন্য লবণ ও চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে।
৭. খাবারের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বেশি না খেয়ে কম খাওয়া মানুষের জন্য ভালো। তাতে শরীর ভালো থাকে।
৮. বারবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নিয়ম করে খেতে হবে।
৯. ফলমূল খেতে শরীর ভালো থাকে।
১০. ফল, শাকসবজি খেতে অতিরিক্ত ওজনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১১. পানীয় না খেলে খাবারের পেছনে খরচ কমে। আজেবাজে পানীয় শরীরের জন্য ভালো নয়।
১২. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়ার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন। তাতে ওজন বাড়ে।
১৩. কারো মধ্যে রাগ বা অবসাদ থাকলে খাবার খেতে বসা কোনো সমাধান নয়।
১৪. শিশুদের চিনিওলা স্যানকস খাবার খেতে দেওয়া কোনো ভালো কাজ নয়। এটি তাদের সারাজীবনের অভ্যাস হয়ে যেতে পারে ও তারা বিপদে পড়তে পারে।
১৫. গরমের দিনগুলো বেশি খেয়ে পেট ভরানোর অভ্যাস ভালো নয়।
১৬. শাকসবজিময় খাবার খাওয়ার অভ্যাস একটি ভালো জীবনযাপনের রীতি। তাতে ওজন কমে।
১৭. তবে ভেজিটারিয়ানদেরও খেয়াল রাখতে হবে তারা খাবারের মাধ্যমে যথেষ্ট ভিটামিন গ্রহণ করছেন কী না? মিনারেল ও আয়রন অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে না তো?
ওএস।