মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প

বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস ভেঙে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচনে জয় পাওয়ার ৭৭ দিন পর বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাদা বাড়ির মসনদে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্টের শপথ নিয়েছেন তিনি।

এদিকে দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করেন নিয়েছেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে। ফেডারেল সরকারের বেশ কিছু নীতিমালায় পরিবর্তন ও মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন তিনি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল অ্যারেনায় সমর্থকদের সামনেই এই পদক্ষেপ নেন।

পরে ওভাল অফিসে ফিরে আরও কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে একটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব ইস্যুতেও একটি আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলায় অভিযুক্ত দেড় হাজার মানুষকে সাধারণ ক্ষমা করেছেন।

এর আগে, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে শপথ পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার উপস্থিতিতে ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ পাঠ করেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনিই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে ক্ষমতায় বসা প্রেসিডেন্ট।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৭ সালে ক্যাপিটল ভবনের পাশে ন্যাশনাল মলে বিপুল আয়োজনে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বাদ সাধে তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া। সে কারণেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে। ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে একই কারণে ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।

Header Ad
Header Ad

হতাশ হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম: তাসকিন

পেসার তাসকিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা পেসার হিসেবে খ্যাত তাসকিন আহমেদ। বিপিএলে তার দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স সবার নজর কাড়ছে এবং এবারের আসরের সফলতম পেসারও তিনি। বিশেষ করে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর ড্রাফট চলাকালে অনেকেই আশা করেছিলেন যে, তাসকিন পিএসএল-এ খেলার সুযোগ পাবেন। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কোনো দলই তাকে নেয়নি।

তবে পিএসএল ড্রাফটে দল না পাওয়ায় তাসকিন হতাশ নয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তার জন্য এমন পরিস্থিতি নতুন নয়। তাসকিন বলেন, "নাহ, এটি হতাশাজনক নয়। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি নিজের দেশকে ভালোভাবে সেবা দিতে পারি। যেখানেই খেলি, যদি ভালো পারফর্ম করি, সুযোগ অনেক আসবে।"

তিনি আরও যোগ করেন, "এতদিনে যদি হতাশ হতাম, তবে হয়তো গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম। তবে আমি একদমই হতাশ নই। আমার ভাগ্যে যেটা আছে, সামনে আরও অনেক সুযোগ আসবে, ইনশাল্লাহ।"

তাসকিন তার ক্যারিয়ারে তিনবার আইপিএল খেলতে পারেননি, যা তার জন্য হতাশার কারণ হতে পারত। কিন্তু সে সময়ও তিনি হতাশ হননি। তবে তিনি এখনো আশা করছেন যে, ভবিষ্যতে যদি কোনো সুযোগ আসে, তিনি তা কাজে লাগাবেন।

এছাড়া, পিএসএলে দল না পেলেও তাসকিন জানিয়েছেন, পরে যদি অন্য কোনো ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে খেলার সুযোগ আসে, তবে তিনি তা মেনে নেবেন। তবে এ বিষয়ে তার কোনো নিশ্চিত ধারণা নেই, কারণ এ বিষয়ে তার সাথে কোনো আলোচনা হয়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করেন তিনি।

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথমদিনেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন এমন আলোচনা আগেই ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই তিনি এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) ওভাল অফিসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার এক আদেশে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প বলেন, ‘ওহ, এটা একটা বড় পদক্ষেপ।’

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তখনই তিনি এ প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। পরে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সে সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।

বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক এই সংস্থাটিতে বেশি অর্থ দিতে হয়।

এই নির্বাহী আদেশটি যেহেতু ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাই এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে দেশটির আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় শপথগ্রহণের পর বিভিন্ন শহরে ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমবেত হয়ে তাদের প্রতিবাদ জানায়।

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউইয়র্কের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক, শিকাগোর ট্রাম্প টাওয়ার, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের সিটি হলের বাইরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। এই বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান পার্টির নীতির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এর আগে, ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের একদিন আগে, ট্রাম্প এবং তার দলের নীতির প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। ২০১৭ সালে প্রথমবার ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন, তখনও তার বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ হয়েছিল।

সোমবার (২০ জানুয়ারি), স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা), ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল রোটুন্ডায় দ্বিতীয়বারের মতো শপথগ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, এবং এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জেডি ভ্যান্স।

এটি ১৮৯০-এর দশকের পর প্রথমবারের মতো ঘটে, যখন একজন প্রেসিডেন্ট পরাজয়ের পর দ্বিতীয়বার শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সংরক্ষণ, সুরক্ষা এবং রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ ব্যক্তিত্ব যেমন- ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যদিও ২০২০ সালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হতাশ হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম: তাসকিন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন নিপুণ
ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী