ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জাতিসংঘের
ছবি সংগৃহিত
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অধিকারকে অস্বীকার করা অগ্রহণযোগ্য। ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনকে সবার স্বীকৃতি দিতে হবে।
শনিবার উগান্ডায় জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের এক সামিটে তিনি এ কথা বলেন। খবর এএফপি।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় আয়োজন করা হয় এই সামিট। এতে গুতেরেস বলেন, ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান মেনে নিতে অস্বীকৃতি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার অধীকারকে অস্বীকার করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
গুতেরেস আরও বলেন, এসব দাবিকে স্বীকৃতি না দেয়ার মতো অবস্থান অনির্দিষ্টকালের জন্য যুদ্ধকে প্রলম্বিত করবে। এটা হবে বিশ্বের শান্তি, নিরাপত্তার জন্য বড় রকমের হুমকি। বৃদ্ধি পাবে মেরুকরণ। সর্বত্র চরমপন্থিরা উজ্জীবিত হবে।
তিনি আরো বলেছেন, এই ধরনের অবস্থান সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করবে, যা বিশ্ব শান্তির জন্যে হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। এছাড়া এ কারণে মেরুকরণ এবং সর্বত্র এর দ্বারা চরমপন্থীরা উৎসাহিত হবে। যা বিশ্বের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরাইলও গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করে।
গাজায় ইসরাইলী হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ হাজার ৯২৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় লোকদের বসবাসের অমানবিক পরিস্থিতি তৈরির নিন্দা জানিয়েছে। কারণ ইসরাইলি হামলায় অসংখ্য বাস্তুচ্যুত লোক গাজায় মানবেতর দিনযাপন করছে।
এ প্রেক্ষিতে সোমবার গুতেরেস অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলের প্রধান মিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। তারাও সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।
কিন্তু সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বৈধতায় তার বিরোধিতার কথা। এর ফলে তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকেও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।