সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইউক্রেনে একমত, আমেরিকায় বিভক্ত বিশ্ব

যদি ধরে নেই যে ঠান্ডা লড়াই চলছে তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এ যুদ্ধের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পরপরই এক সংবাদ সম্মেলন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা বলেন। তবে আগ্রাসন শুরু কয়েক দিন পর রাশিয়া বিরোধী নিন্দা একটু কমতে শুরু করে, বিশেষ করে ভারত ও চীন রাশিয়ার এ হামলার বিষয়ে তীব্র কোন প্রতিক্রিয়া জানয়নি। এমনকি আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মিশর থেকেও কোন নিন্দা বা প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২৫ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ব্রাজিলের অবস্থান ছিল নড়বড়ে। পরে মার্কিন চাপের মুখে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ব্রাজিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১১ জন এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। তাই ব্রাজিলের আর কোনও উপায়ও ছিল না। জাতিসংঘ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানানোর পর রাশিয়াকে সহিংসতা বন্ধ করে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করে একত্রে আওয়াজ তোলা থেকে সরে গেল অনেকেই।

এর পরই প্রশ্ন উঠলো রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করার পরও অর্থনৈতিক ও কৌশলভাবে পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের মিত্ররা এক হওয়ার পরও কেন ইউক্রেন ইস্যুতে দ্ব্যার্থহীনভাবে এক হতে পারলো না? খুব ছোট করে যদি এর উত্তর খুঁজি, তাহলে বলা যায়-ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাতের ইউক্রেন নয় আমেরিকার স্বার্থের পাল্লা বেশি ভারী। এটাই মূল কারণ। আর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমেরিকা তার একচ্ছত্র অধিপত্য বিস্তার করে চললেও গত কয়েক বছর চীন ও রাশিয়ার শক্তির কাছে একটু হলেও কাবু হতে হয়েছে। আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রগুলো বা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো আমেরিকা-রাশিয়ার আরেকটি ঠান্ডা যুদ্ধের মুখোমুখি হতে চায় না। আর রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেন দুর্দশার শিকার হলেও আমেরিকা কিন্তু নির্দেষ নয়। 

স্বঘোষিত 'বিশ্ব পুলিশ' এর দায়িত্ব পালন করা আমেরিকা রাশিয়া ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে বিভিন্ন অজুহাতে নাক গলায়। এছাড়া আগ্রাসন, দখলদারিত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আমেরিকার অবস্থানও দ্বিচারী। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হলে আমেরিকা তার মিত্র দেশগুলোর জন্য এক ধরনের নীতির আশ্রয় নেয়, যা থাকে অন্যদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান।

আমেরিকা রাশিয়া যুদ্ধ বাধলে পরিস্থিতি অনেক বেশি উত্তপ্ত হবে এটা না বুঝতে পারার কোন কারণ নেই। কারণ মস্কো ও ওয়াসিংটন নিজ নিজ স্বার্থকে অক্ষন্ন রাখতে মরিয়া হয়ে উঠবে ফলে এর মূল্য দিতে হবে অপরিমেয়। বিশ্ব ভাগ হবে উত্তর ও দক্ষিণে। শুধু তাই নয়, শুরু হবে দ্বিতীয় শীতল যুদ্ধ যার একদিকে থাকবে চীন ও রাশিয়া। আরেক দিকে থাকবে ওয়াসিংটন ও ন্যাটো। যুদ্ধ যদি বাধেই, তার ভয়াবহতা হতে পারে অকল্পনীয়। কারণ বর্তমান বিশ্বের দেশগুলো একে অপরের ওপর নির্ভরশীল ও সংযুক্ত। তাই এই ঠান্ডা শুরু হলে শুধু আমেরিকা বা রাশিয়া নয় প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে। তাছাড়া মানবিক বিপর্যের কথা ভাবলে যুদ্ধ থেকে সরে আসাই হবে কল্যাণের এমনটাই ভাবছে অনেক রাষ্ট্র এমনকি আমেরিকার মিত্রদের ভাবনাও এর বাইরে নয়। তাই অর্থনৈতিক ও কৌশলভাবে পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের মিত্ররা এই যুদ্ধে এক হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধতা করতে পারেনি।

১৯৮০ এর দশকের স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে, বেশিরভাগ রাষ্ট্র নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি বাড়াতে মন দিয়েছে। তারা রাশিয়া বা আমেরিকা, চীন বা ই্‌ইউ এককভাবে কোন এক পক্ষ বেছে নিতে রাজী নন। আর এ যুদ্ধে না জড়ানোর পেছনে ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থও অনেকটা ভূমিকা রাখছে। ভূ-রাজনৈতিক মেরুকরণের ফলে রাশিয়া, চীন বা আমেরিকা কোন পরাশক্তির বিরুদ্ধেই যেতে চাইছে না অনেক রাষ্ট্র। 

গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে দেশগুলোকে তার ছত্রছায়ায় রেখেছে তাদেরকে নিজের সংকটে কাজে লাগাচ্ছে, ফলে অনেক সময় অনেক দেশকে এর জন্য কঠিন মূল্য দিতে হয়। ৯/১১ এর হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডর্জ ডাব্লিউ 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বযুদ্ধের' ঘোষণা দিয়েছিলে। এ সময় তিনি বলেন 'আপনি হয় আমাদের সাথে বা আমাদের বিপক্ষে' এর মাঝামাঝি আর কোনো পথ নেই। অর্থাৎ যারাই আমেরিকার সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরোধী যুদ্ধে অংশ নেবে না তারাই আমেরিকার শত্রু। এ সব পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশিভাগ দেশই আর যুদ্ধে জড়াতে চাইছে না। আবার আমেরিকার শত্রু হতেও চাইছে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, ইরাক এবং উত্তর কোরিয়াকে কালো তালিকার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার পর ইরাকে আক্রমণ চালায়। আমেরিকার স্বার্থ রক্ষায় মিত্রদেশগুলোকে কাজে লাগায়। পরের কয়েক দশকে আমেরিকা তার বিরুদ্ধে যাওয়া দেশগুলোকে কোণঠসা করতে পিছুপা হয়নি। আন্তর্জাতিক বানিজ্যে চীনের প্রশার রোধে আমেরিকা তার বানিজ্যের অংশিদারদের কাজে লাগিয়েছে। এমনকি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘে পেশা করা আমেরিকার প্রস্তাবের বিপক্ষে যারা গিয়েছিলো সেই সকল রাষ্ট্রের নাম ধরে, তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিতে পিছপা হয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। 

আমেরিকা যখন পিছিয়ে পড়ছে চীনের অর্থনীতিকর কাছে, সেই সুযোগে রাশিয়া আগের মতো শক্তি বৃদ্ধির পথে হাঁটছে, ঠিক তখন আমেরিকা মরিয়া নিজের বিশ্ব মোড়লের পদটা ঠিক রাখতে। আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয় আমেরিকা, ইরাকে পরাজয় সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়ায় আমেরিকার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনকে রাশিয়ান সামরিক শক্তির সামনে এভাবে ছেড়ে দেওয়ায় আমেরিকার ওপর বিশ্বাস উঠে গেছে বিশ্বের অনেক দেশের। গত কয়েক দশকে আমেরিকা তার বিশ্বস্তা হারিয়েছে। স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো আমেরিকার মুখোশ গেছে খুলে।

যখন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু হয়, তখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজ দেশের নাগরীককে আশ্বস্ত করেন যে, এ যুদ্ধের ফলে তার দেশের নাগরীককে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এ প্রেক্ষিতে একজন এক বিশ্লেষণ বিদ্রূপের সাথে মন্তব্য করেছেন, 'ইউক্রেনের শেষ সৈন্য থাকা পর্যন্ত, আমেরিকা রাশিয়ার সাথে নড়বে।'

আমেরিকা-রাশিয়া যদি এবার স্নায়ু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তবে বিশ্ব মহামরি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়বে। দারিদ্র ও রোগ মোকাবেলায় বৈশ্বিক সহযোগীতা থেকে সরে আসতে হবে। শুরু হবে অস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের শোডাউন। সংক্ষেপে বলতে গেলে একটি দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধ বাধবে। যার ফলে ভয়ানক মানবিক দুর্ভোগ, অর্থনৈতিক পতন এবং অকল্পনীয় পরিণতিসহ বিশ্ব হয়ে উঠবে একটি সংঘাত ভূমি।

কেএফ/

 

Header Ad

৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী গাড়ি বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করে।

সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরও রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং বেগম জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ড. এনামুল হক চৌধুরী।

২০১৮ সালে কারাবরণ এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৬ আগস্ট স্থায়ী মুক্তির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের এটি প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়ার সঙ্গে ঢাকাস্থ তৎকালীন রাজকীয় সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি সাক্ষাৎ করেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। ফিরোজায় অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাতে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সারাহ কুক।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

সোমবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চিন্ময় দাস আটক হয়েছেন বলে আমরা জানি। উনার নামে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আপনাদের (সাংবাদিক) জানাবেন।

এদিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময়ে পুলিশের ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অ্যালার্ট ছিল। কিন্তু পাবলিক এক্সপেকটেশনের কারণে আমরা আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছি। পুলিশ লাঠিচার্জ করুক, এটাও সরকার দেখতে চায় না।

Header Ad

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চতুর্থ দিনের মত দূরপাল্লার সব পরিবহন বাস বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতি পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী সকল দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে।

এতদিন বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ভারত ফেরত অনেক পাসপোর্ট যাত্রী ১২ কিলোমিটার দূরে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে সাতক্ষীরা রুটের গাড়ি ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।সোমবার থেকে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।

এতে প্রতিদিন ভারত ফেরত হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদের চেকপোস্টে না নিতে দিয়ে গভীর রাতে পৌর বাস টার্মিনালে নামাতে বাধ্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাত থেকে বেনাপোলের দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি।

বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,"আমাদের দাবি-দাওয়া না মানায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি এই রুটে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সোমবার থেকে সাতক্ষীরা রুটও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।"

সাতক্ষীরা কে লাইন পরিবহনের জামতলা কাউন্টার প্রধান আনোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ বলেন,বেনাপোলের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহণের সকল বাস বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন টিকিট বিক্রি করছি না।

এদিকে হঠাৎ করে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। গন্তব্যে যেতে তারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,ট্রেন ব্যবহার করছেন। এতে ভোগান্তি,সময় অপচয়ের পাশাপাশি খরচও বেশি হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্টে কথা হয় ভারত ফেরত যাত্রী নেত্রকোনার জিতেন সাহা, নারায়নগঞ্জের সাদ্দাম হোসেন টিপু, ঢাকার ফজলুর রহমান শেখ, লাল্টু হোসেন ও বিনয় পালের সাথে।

নেত্রকোনার জিতেন সাহা বলেন, তিন জন মিলে একটি প্রাইভেট নিয়ে যশোর যাচ্ছি।সেখান থেকে বাস ধরে বাড়ি যাবো।ভারত থেকে দেশে ফিরে এখন দেখছি 'দূর্ভোগের শেষ নেই'।

যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হওয়ায় কমে গেছে গাড়ির জট। বাস চলাচলে কোন যানজট হয়না। ভারত বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারনে সৃষ্টি হত যানজটের। দূরপাল্লার যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনার দাবী জানান মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু।

বেনাপোলে যানজট নিরসনে পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে সহমত পোষন করে দিনের বাসগুলো ছাড়ছিল সেখান থেকেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধায় রাতের বাস চেকপোস্ট টার্মিনালে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাস যাচ্ছিল পৌর টার্মিনালে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রী পৌর বাস টার্মিাালে নামিয়ে নেওয়া হয়। বাস প্রবেশে দেওয়া হয বাধা। এরই প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক সমিতি। টানা চার দিন দুর পাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধে ভারত বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়ছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। এর সুরাহা চান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত