৬ হাজার রুশ সেনাকে খতম করা হয়েছে: জেলেনস্কি
জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। এই ছয়দিনে রাশিয়ার ছয় হাজার সেনাকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার (০২ মার্চ) এমন দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও তার এই দাবিকে নাকচ করেছে রাশিয়া।
খারকিভ এবং কিয়েভকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে ঢোকার চেষ্টা করছেন রুশ সেনারা। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ইউক্রেনীয় সেনা এবং সাধারণ নাগরিকের যৌথবাহিনী একটি নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছে তাতে এই দুই শহরের ভেতরে ঢুকতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে রুশ সেনাদের।
প্রায় ৬৪ কিমি দীর্ঘ কনভয় নিয়ে কিয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় সেনাকে নাস্তানাবুদ করতে ক্রমাগত খারকিভ এবং কিয়েভে বোমাবর্ষণ করছে রুশ বায়ুসেনা। পাল্টা জবাব দিচ্ছে জেলেনস্কির বাহিনীও।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে ২ লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল; কিন্তু বরাবরই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ছয় দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ যুদ্ধের সপ্তম দিন। রাজধানী কিয়েভ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা। এ হামলা শুরু পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
সূত্র: আল-জাজিরা
আরএ/