ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য দ্বিগুণ করার ঘোষণা বেলারুশের
ফাইল ফটো
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো এই ঘোষণা দিয়েছেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘ইউক্রেন সীমান্তে ট্যাকটিক্যাল ব্যাটালিয়ন সংখ্যা পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে দশটি করা হবে। এসব ব্যাটালিয়ন উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ভ্রাম্যমাণ থাকবে। তারা সীমান্তে বেলারুশের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের উস্কানি এবং সামরিক তৎপরতা ঠেকাবে।’
তিনি আরও বলেন, সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ করা হচ্ছে একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ভেতরে যাতে উগ্রবাদী এবং অস্ত্র ঢুকতে না পারে (ইউক্রেন থেকে) সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিবেশী বেলারুশের সরকার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের মিত্র। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ায় বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আকেজান্ডার লুকাশেঙ্কো দমন-পীড়নের জন্যও বেশ সমালোচিত।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে ২ লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল; কিন্তু বরাবরই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ছয় দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ যুদ্ধের সপ্তম দিন। রাজধানী কিয়েভ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা। এ হামলা শুরু পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
সূত্র: বিবিসি
আরএ/