নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে চীন
ইউক্রেন ছাড়তে শুরু করেছেন চীনা নাগরিকরা। ইউক্রেনের চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) কিয়েভে চীনের দূতাবাস জানিয়েছে, গতকালই চীনা নাগরিকদের প্রথম দলটি ইউক্রেন ছেড়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই দলে মূলত শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা কিয়েভ থেকে মলডোভা হয়ে দেশে ফিরবে।
চীন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করার বেশ কিছু অর্থ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, একটি সম্ভাবনা হলো–বেইজিং প্রাথমিকভাবে মনে করেছে রাশিয়াকে আগেভাগে হতাশ না করাটা জরুরি। আরেকটি হলো–চীন হয়তো ভেবেছিল, রাশিয়া এত দ্রুত ইউক্রেন দখল করে নেবে যে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার দরকার পড়বে না।
আরেকটি ভয়াবহ সম্ভাবনা হলো–চীন হিসেব করে দেখেছে রাশিয়ার আগ্রাসন খুব বেশি ভয়াবহ হতে যাচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার বাহিনী। তবে ইউক্রেন সামরিক বাহিনী ও গেরিলা প্রতিরোধে তা এখনো পূর্ণ রুশ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আর এ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৪০ মাইল দীর্ঘ রাশিয়ার একটি সামরিক গাড়ি বহর। কিয়েভের উত্তরাঞ্চলে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্যাটেলাইটে এই দীর্ঘ সেনা বহরের চিত্র ধরা পড়েছে। মার্কিন বেসরকারি কোম্পানি মাক্সার এই ছবি ধারণ করেছে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
পাঁচ দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ যুদ্ধের ষষ্ঠ দিন। রাজধানী কিয়েভ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা। এ হামলা শুরু পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
এসএ/