প্রায় দুই বছর পর সীমান্ত খুলল অস্ট্রেলিয়া
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ রাখা আন্তর্জাতিক সীমান্ত প্রায় দুই বছর পর খুলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্থানীয় সময় সোমবার সীমান্ত খুলে দেয় দেশটি। তবে কোভিড টিকা নেওয়া পর্যটকেরাই শুধু দেশটিতে যেতে পারছেন। খবর বিবিসির।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া ২০২০ সালের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ অস্ট্রেলিয়া যেখানে করোনা পরিস্থিতে বেশ কঠোরভাবেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
গত বছরের শেষ থেকে কিছু অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও অন্যান্যদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিলেও বাকিদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। সোমাবার সিডনী বিমান বন্দরে ৫০ হাজার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতারনের কথা রয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সীমান্ত খুলে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন দ্বীপরাজ্য তাসমানিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ একটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ দিন, যে দিনের জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। মহামারির শুরুতে যেদিন আমি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিলাম, সেদিন থেকেই আমি এ দিনের অপেক্ষায় ছিলাম।’
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির জন্য পর্যটন একটি অনেক বড় খাত। ছয় হাজার কোটির বেশি মার্কিন ডলারের এ খাতের ওপর অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি অনেকটা নির্ভরশীল। দেশটির মোট কর্মশক্তির প্রায় পাঁচ শতাংশ পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চে দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে খাতটি ধুঁকছিল।
সোমবার সীমান্ত খোলার দিন সিডনি বিমানবন্দরে ছিলেন পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রী ড্যান তেহান। পর্যটকদের তিনি দেশটির ঐতিহ্যবাহী খাবার উপহার হিসেবে দেন। সেখান থেকে সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে বলেন, ‘এখানে এখন পার্টি চলছে, গান চলছে, মানুষের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত একটু পর নাচবে তারা।’
কেএফ/