জাতীয় স্তরে অভিষেকই থাকছেন মমতার সেনাপতি
পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মাঝেও তৃণমূলের দল গোছানোর মূল দায়িত্ব থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের ছেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেকই থাকছেন। সেই সঙ্গে মমতা আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে ভিত শক্ত রেখেই অন্য রাজ্যে পা বাড়াবে দল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংগঠন আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের মনোমালিন্যের খবর আসে। আইপ্যাক উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিজেদের পাট চুকিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। এই বিতর্কে মমতা নিজেই বিব্রত হয়েছেন। শঙ্কিত হয়েছেন। তবে ভোটের রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। মমতার সঙ্গেও হয়তো আইপ্যাকের বন্ধন এখনই ছিন্ন হচ্ছে না। তা বোঝা যায় সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের ছাপ ফেলতে তৃণমূল নেতৃত্বের মরিয়া অবস্থান থেকেই।
গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক বৈঠকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি গঠিত হয়েছিল। ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই কর্মসমিতির সদস্যদের তালিকা দিতে হবে। সে কারণেই তড়িঘড়ি নতুন করে পদাধিকারীদের বেছে নেন মমতা। বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যসভায় জাতীয় মুখপাত্র হচ্ছেন সুখেন্দু শেখর রায়। লোকসভায় দায়িত্বে থাকবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উত্তর-পূর্বে থাকছেন সুস্মিতা দেব, মুকুল সাংমা ও সুবল ভৌমিক। উত্তরপ্রদেশের আহ্বায়ক হয়েছেন রাজেশ ত্রিপাঠী। অপরদিকে অশোক তানওয়ার হরিয়ানার আহ্বায়ক হন। তা ছাড়া দলের অর্থনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করার ভার যশবন্ত সিনহা, অমিত মিত্রদের উপর।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কালীঘাটের বৈঠকে অন্য রাজ্য থেকে এদিন উপস্থিত ছিলেন লুইজিনহো ফেলেইরো, অশোক তানওয়ার, সুস্মিতা দেব, রাজেশ ত্রিপাঠী, সুবল ভৌমিকরা। এর আগে লুইজিনহো ফেলেইরোকে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি করা হলেও এবারের তালিকায় তার নাম ছিল না। তবে গোয়া এবং ত্রিপুরায় দলের কাজের প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জানান, বাংলায় সংগঠন অটুট রেখে বাকি রাজ্যগুলোতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে মমতা পৃথক ভাবে জানান যে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ও পঞ্জাবে ভোটে লড়বে তৃণমূল। এই আবহে আগেভাগেই ছক কষতে চাইবেন মমতা। আর তার সেনাপতি থাকছেন অভিষেক, যিনি প্রশান্ত কিশোর ও আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন।
এসএ/