আবারও লকডাউনে অস্ট্রিয়া
ইউরোপে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। লাগাম টানতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বিভিন্ন দেশ। অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং ইতালিতে নতুন বিধিনিষেধ জারির ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা নেমে এসেছেন রাস্তায়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অস্ট্রিয়া আবারও লকডাউন দিয়েছে।
রবিবার (২১ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে লোকজনকে বাড়িতে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এটি অস্ট্রিয়ার চতুর্থ দফা জাতীয় লকডাউন।
কর্তৃপক্ষ জনগণকে ব্যায়াম ও খাবার কেনাকাটাসহ প্রয়োজনীয় কাজগুলো বাড়িতে থেকে করার নির্দেশ দিয়েছে।
রেস্তোরাঁ, বার, সেলুন, থিয়েটার এবং অপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোর দরজা বন্ধ রাখতে হবে। এ লকডাউন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন, ১০ দিন পর করোনা পরিস্থিতি পুনরায় মূল্যায়ন করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্প্রতি ইউরোপে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। টিকা নিশ্চিত করা, মাস্ক পরা এবং কোভিড পাসসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অস্ট্রিয়া। ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক ড. হান্স ক্লুগ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, কঠোরভাবে এ নিয়মগুলো মেনে না চললে আগামী বসন্তের মধ্যে আরও অর্ধ মিলিয়ন মৃত্যুর রেকর্ড হতে পারে।
অস্ট্রিয়া প্রথম ইউরোপীয় দেশ, যে কোভিড টিকা গ্রহণকে একটি আইনি বাধ্যবাধকতায় পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছে। এই আইনটি ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হবে।
আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি ঠেকাতে আরোপিত নতুন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেবে সরকারি কর্মীদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।
ইতালিতে কর্মস্থল, বিভিন্ন ভেন্যু এবং গণপরিবহনে ‘সবুজ পাস’ সনদ চালু করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রোমেও কয়েক হাজার মানুষের বিক্ষোভ হয়েছে।
টিটি/এসএ/