নাগাল্যান্ড নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
নাগাল্যান্ডে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপরে ভুল করে গুলি চালানোর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রতিরক্ষা সচিব, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং নাগাল্যান্ডের মুখ্য সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে নোটিশ পাঠালো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট।
রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে নাগাল্যান্ড সরকারের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট -এর তদন্ত রিপোর্টও। অন্যদিকে, এ দিন সংসদে দাঁড়িয়ে নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর গুলিতে গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তাঁর দাবি, ভুল বোঝাবুঝিতেই প্রাণ গিয়েছে ১৩ জন নিরীহ গ্রামবাসীর। তাঁদের পরিচয় বুঝতে না পেরেই গুলি চালিয়েছিল সেনাবাহিনী।
শাহ বলেন, জঙ্গি সন্দেহে গুলি চালিয়েছিলেন জওয়ানরা। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরেই তাঁরা গুলি চালায়। প্রথমে গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন জওয়ানরা। কিন্তু গাড়িটি থামেনি। তাই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল বাহিনী। তাঁরা ভেবেছিল সেটা জঙ্গিদের গাড়ি।
বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, শনিবার রাতে মন জেলার ওটিং গ্রামের কাছে জঙ্গি ভেবে ভুল করে খনি শ্রমিকদের গাড়িতে গুলি চালিয়েছিল সেনা। অভিযানে ছিলেন, সেনার ২১ জন কমান্ডো। তাঁদের গুলিতে গাড়ির আট যাত্রীর ছ’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত দু’জনকে সেনারাই হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন তিনি।
গুলি চালনার পরই সেনাঘাঁটিতে হামলা হয় বলেও উল্লেখ করেন শাহ।গ্রামবাসীদের হামলায় এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু ঘটেছে বলেও জানান তিনি। শাহ জানান, এক মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশ করবে বিশেষ তদন্তকারী দল। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক কোহিমায় গিয়েছেন।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই বিবৃতি শোনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা আশা করেছিলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন৷ কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাঁর বিবৃতিতে সে সবের উল্লেখ নেই, তাই কার্যত আমরা হতাশ হয়েছি।"