বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা পরিবহনমন্ত্রীর

দক্ষিণ কোরিয়া পরিবহনমন্ত্রী পার্ক সাং-উ। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করবেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী পার্ক সাং-উ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন।

গত, ২৯ ডিসেম্বর জেজু এয়ার পরিচালিত একটি বিমান মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিস্ফোরণ হলে ১৭৯ জন নিহত হন।

মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ (২৯ ডিসেম্বর) রোববার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ানে পৌঁছেছিল। এ সময় বিমানটি রানওয়ে দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে রানওয়ের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

দেশটির পরিবহনমন্ত্রী পার্ক সাং-উ একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমি এই বিপর্যয়ের দায় এড়াতে পারি না।’

তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তিনি একটি সঠিক সময় বের করবেন এবং পদত্যাগ করবেন। এছাড়া মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের অবতরণ ব্যবস্থা আরও নিরাপদ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এদিকে দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ গত সপ্তাহে জেজু এয়ার এবং মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অপারেটরে অভিযান চালায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ইঞ্জিনগুলোর একটিতে পাখির পালক পাওয়া গেছে বলে জানান প্রধান তদন্তকারী লি সেউং-ইওল।

এর আগে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল পাখির আঘাতে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

এদিকে সোমবার বিমান বিধ্বস্তে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার পুনরুদ্ধার এবং কারণ বিশ্লেষণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রওনা হয়েছেন দুজন কোরিয়ান তদন্তকারী।

২৯ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরা বিমানটিতে ছয়জন ক্রুসহ মোট ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে শুধু দুজন যাত্রী বেঁচে যান। বাকি সবাই বিমান বিধ্বস্তে নিহত হন। গত কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

Header Ad
Header Ad

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি: পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আদালতের এজলাস কক্ষ

আগুনে পুড়ে গেছে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষে আগুন লেগে পুড়ে গেছে, এ ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রাতভর বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা ঘটে, তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ভোরে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

লালবাগ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, "আমরা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। আগুনে এজলাস কক্ষের চেয়ার, টেবিল, এসি এবং অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।" তবে, আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন যে, ভোরে বহিরাগতরা এসে আদালতের এজলাস কক্ষে আগুন দিয়েছে। এই আগুন লাগানোর ঘটনায় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন যে, তাদের আন্দোলনের প্রতি প্রশাসনের নাকালতা থেকেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত থেকে শিক্ষার্থীরা আলিয়া মাদ্রসা মাঠে অবস্থান নেন এবং বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালেই তারা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকা, যেমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড়, পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার ও বকশীবাজার অরফানেজ রোড ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক হলে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার কাজ চলমান থাকলে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বলেছেন, বিভিন্নবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।

Header Ad
Header Ad

টুইটারের পর এবার লিভারপুল কিনছেন ইলন মাস্ক!

ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার অধিগ্রহণের পর এবার ক্রীড়াঙ্গনেও মনোযোগ দিয়েছেন টেসলা এবং স্পেস এক্সের সিইও ইলন মাস্ক। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খ্যাতনামা ক্লাব লিভারপুল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই তথ্যটি সরাসরি জানিয়েছেন ইলন মাস্কের বাবা, ইরল মাস্ক।

তবে, লিভারপুলের বর্তমান মালিকের পক্ষ থেকে এই আগ্রহের প্রতি কোনো আনুষ্ঠানিক সাড়া পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লিভারপুলের মালিকরা ইলন মাস্কের ইচ্ছার প্রতি তেমন আগ্রহী নন।

লিভারপুল নিয়ে ইলন মাস্কের আগ্রহের কথা তার পরিবারের সদস্যরাই প্রথম জানিয়েছেন। ইলনের বাবা ইরল মাস্ক নিজেই জানিয়েছেন যে, "ইলন যদি লিভারপুলের মালিক হতে পারতেন, তবে তিনি খুব খুশি হতেন। তবে এর মানে এই নয় যে, তিনি লিভারপুল কিনে নিচ্ছেন। তিনি শুধু বলেছেন, যদি সম্ভব হয়, তবে এটি তার জন্য ভালো হবে।"

লিভারপুল কেন? এর উত্তরও পাওয়া গেছে ইলন মাস্কের পিতার কথায়। তিনি বলেন, "ইলনের ঠাকুমা লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাছাড়া আমাদের সেখানে আত্মীয়-স্বজনও রয়েছে। সুতরাং, লিভারপুলের সঙ্গে আমাদের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।"

এদিকে, ইলন মাস্কের আগ্রহের বিষয়টি সত্যিই বাস্তবে পরিণত হবে কিনা, সেটি এখনো অনিশ্চিত। তবে একেবারে অবাস্তবও নয়, কারণ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির জন্য ক্রীড়াঙ্গনে এমন বিশাল একটি বিনিয়োগ নতুন কোনো ব্যাপার নয়।

Header Ad
Header Ad

এবার শপিং কমপ্লেক্সের স্ক্রিনে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’

ছবি: সংগৃহীত

এবার শেরপুর জেলা শহরের একটি শপিং কমপ্লেক্সের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে উঠল।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর টাউন হল সংলগ্ন ‘রাজ ক্রোকারিজ অ্যান্ড গিফট শপ’-এর ডিসপ্লে বোর্ডে এ লেখা ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় শপিং কমপ্লেক্সের মালিক ও কর্মচারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের ছেলে রাজু মিয়া (৩৯) এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী একই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ (১৯)।

স্থানীয় জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শপিং কমপ্লেক্সটির ডিজিটাল বোর্ডে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এবং জয় বাংলা স্লোগান লেখা ওঠে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং শেরপুর পৌর ছাত্রদলের নেতারা ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের স্লোগান প্রদর্শিত হওয়ায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও একজন কর্মচারীকে আটক করে।

শেরপুর পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব খালিকুজ্জামান সিদ্দিকী আসিফ বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে বিচরণ করতে ভয় পায়। এ জন্য তারা আত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে। তার অংশ হিসেবেই গোপনে আঁতাত করে এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এভাবে কাপুরুষের মতো রাজনীতি হয় না। রাজনীতি করতে হলে মাঠে আসতে হবে। আমরা শেরপুর পৌর ছাত্রদল নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠনকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেরপুর জেলা কমিটির সংগঠক আরাফাত রহমান বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠনের স্লোগান ডিজিটাল স্ক্রিনে চালানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটা অবশ্যই একটি পরিকল্পিত ঘটনা। ফ্যাসিবাদী যে চক্রটি ছাত্রদের ওপর নির্মমভাবে গুলি করেছে তারাই এ কাজটি করেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

শেরপুর সদর থানার ওসি মো. জুবায়দুল আলম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়েছি। দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি: পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আদালতের এজলাস কক্ষ
টুইটারের পর এবার লিভারপুল কিনছেন ইলন মাস্ক!
এবার শপিং কমপ্লেক্সের স্ক্রিনে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’
স্বামীর ফোন তল্লাশি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, হতে পারে কারাদণ্ড
শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা: হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শেখ পরিবারকে প্লট বরাদ্দ: ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক
সাভারে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া, শুরু হয়েছে চিকিৎসা
বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে তিন ধাপ পেছালো বাংলাদেশ, শীর্ষে কোন দেশ?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার মার্টিন গাপটিল
সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
একনেক সভায় ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর কম্বল বিতরণ
এস আলমের দুই ছেলসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্যের অমূল্য হাতিয়ার ‘স্টোরিটেলিং’
৩২ কোটি টাকার তদবির বাণিজ্য নিয়ে যা বললেন সমন্বয়ক রাফি
ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ!
ব্রাজিল থেকে এলো না ৪৯৫ টাকা কেজি মাংস
এ বছর থেকেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি শুরু: শিক্ষা উপদেষ্টা