রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৯৮ জন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, বৃহস্পতি-শুক্রবারের সর্বশেষ অভিযানের পর গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ হাজার ৪৩৬ জনে। এছাড়া অভিযানে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮ জন ফিলিস্তিনি।

নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়েছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শুক্রবারের বিবৃতিতে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলে প্রবেশের পর প্রথমে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে যোদ্ধারা, তারপর ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়।

হামাসকে ‘যথাযথ শিক্ষা’ প্রদান এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আশ্বাসে জাহাঙ্গীর গেট থেকে সরে গেলেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা  

ছবি: সংগৃহীত

চাকরিতে পুনর্বহাল ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকারের সময়ে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া সশস্ত্র বাহিনী সদস্যরা।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান নেয়া সদস্যরা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাস পাওয়ার পর সড়ক ত্যাগ করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে, সকালে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের প্লাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’র ব্যানারে অবস্থান নেন চাকরিচ্যুত স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ‘সামরিক বাহিনী সংস্কার চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ শীর্ষক ব্যানার প্রদর্শন করে জাহাঙ্গীর গেটের বিপরীত সড়কে দাঁড়িয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

আন্দোলনরতদের তিন দফা দাবি হলো-

চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে।
যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনী সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।
যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।

এ সময় জাহাঙ্গীর গেটের সামনের সড়কে যানজট দেখা দেয়। যানবাহনের সারি ঠেকে যায় প্রায় বনানী মোড় পর্যন্ত। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষ।

Header Ad
Header Ad

ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার দায় কমবেশি সবার: গভর্নর

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার দায় কমবেশি সবারই আছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গোল্ডেন জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, ব্যাংক খাতে অর্জন যেমন আছে, তেমনি ব্যর্থতাও আছে। এই ব্যর্থতার জন্য শুধু একক কোনো গোষ্ঠী দায়ী নয়, এক্ষেত্রে সবারই কমবেশি দায় আছে।

আমানতকারী এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে। এ খাত বিকশিত হবে। সেক্ষেত্রে আমানতকারী এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকখাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি আগাতে পারবে না।

রাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হলে এই ব্যাংক খাত পুনর্গঠন করতে হবে জানিয়ে গভর্নর আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পর ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই।

Header Ad
Header Ad

ব্যাংক লুট করছে একটি ইসলামি দল: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগ ব্যাংক লুট ও দখল করেছিল, আর এখন একটি ইসলামি দল ব্যাংক দখল করছে।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটো শ্রমিক দলের পক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন "শেখ হাসিনার আমলে যারা লুট করেছে সেই এস আলমদের উত্তরসূরী হয়ে এখন ব্যাংক দখল করছে অনেকে। বড় বড় কথা বলে বিএনপির নামে কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা করছে।"

রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী উভয়েই জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, "জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চাইছে।"

জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন "ইসলাম মানে তো বার বার মোনাফেকি করা নয়। জনগণের প্রতি অঙ্গীকার থেকে বিএনপি কখনও পিছিয়ে আসেনি।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিএনপি গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনও মাথা নত করেনি এবং ১৯৭১ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত জনগণের জন্য কাজ করেছে।

রিজভী জানান, ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের ফল হলো "জুলাই বিপ্লব।" এই আন্দোলনের সময় ৯৭ জন শ্রমজীবী মানুষের শহীদ হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি তাদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রিকশা-ভ্যান-অটো শ্রমিক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষারসহ অন্যান্য নেতারা।

রিজভীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ব্যাংক লুটের এই অভিযোগের সত্যতা এবং এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আশ্বাসে জাহাঙ্গীর গেট থেকে সরে গেলেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা  
ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার দায় কমবেশি সবার: গভর্নর
ব্যাংক লুট করছে একটি ইসলামি দল: রিজভী
পরপর তিন কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারলো স্বামী  
বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, লাগবে না আবেদন ফি
আমরা ইনভেস্ট করেছি পদ্মা সেতু ও টানেলে, সঠিক জায়গায় নয়: আমীর খসরু  
লিটন নয়, ঢাকার নেতৃত্ব পেলেন থিসারা পেরেরা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নিজেদের করে নিতে চায় বৈষম্যবিরোধীরা: মির্জা আব্বাস
সোমবার থেকে অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা
শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ৯ উপায়
৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রটি লিখিত দলিল হবে: সারজিস  
আবারও শাহবাগ মোড় অবরোধ ট্রেইনি চিকিৎসকদের
শেরপুরে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৫
দেশে আবারও রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা চলছে: ফারুক
বিপিএলের টিকিট না পাওয়ায় মিরপুরে দর্শকদের বিক্ষোভ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জরুরি সংবাদ সম্মেলন
টেলিযোগাযোগ খাতে অস্থিরতা, বাড়বে ইন্টারনেটের দাম
শাকিবের 'প্রিয়তমা' ইধিকার জীবনে প্রেমের নতুন অধ্যায়?
৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু  
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ১৮১ আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত