নেপাল ভূখণ্ডে চীনের অনুপ্রবেশ
নেপালের পশ্চিমের জেলা হুমলা ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করছে চীন। নেপাল সরকারের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
বিবিসি বলছে, চীনের বিরুদ্ধে নেপালের পক্ষ থেকে এই প্রথম এ ধরনের আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানানো হলো। তবে ফাঁস হওয়া ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে নেপাল সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আর নেপালে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাঠমান্ডুতে অবস্থিত চীনের দূতাবাস। দূতাবাস জানিয়েছে, এ নিয়ে কোনো সংকট নেই। চীন আশা করে নেপালের জনগণ ব্যক্তি বিশেষের ভুয়া প্রতিবেদনে বিভ্রান্ত হবে না।
নেপাল ও চীনের মধ্যে এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে যা হিমালয় পর্বতে। প্রতি এক কিলোমিটার দূরত্বে পিলার দিয়ে দুই দেশের সীমানা চিহ্নিত রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সম্ভাব্য এ অনুপ্রেবেশের খবরে নেপাল সরকার হুমলা জেলায় একটি টাস্কফোর্সও পাঠায়। নেপালের সীমানার ভেতরে চীন স্থাপনা নির্মাণ করেছে এমন তথ্য চাউরও হয়েছিল। তবে টাস্কফোর্স ওই এলাকা পরিদর্শন করে দেখতে পায় সেখানে নেপাল নয়, চীনের ভূখণ্ডে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে নেপালের লালুংজং এলাকা দিয়ে তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। নেপালের ওই অঞ্চলটি হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান কৈলাশ পর্বতের খুব কাছে। ওই অঞ্চলে নেপালি খামারিদের পশুপালনও চীনারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
টাস্কফোর্স দলের সদস্যরা দেখতে পেয়েছেন, সেখানে সীমান্ত পিলারের কাছে বেড়াও নির্মাণ করছে চীন। সেখানে তারা নেপালের অংশে খাল খনন ও সড়ক নির্মাণের চেষ্টা করছে।
কেএফ/