বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চিকিৎসা পেতে হলে ভারতীয় পতাকাকে 'প্রণাম' করতে হবে!

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির এক চিকিৎসক সম্প্রতি একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, যা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসক শিখর বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা করবেন, তবে এজন্য তাদের ভারতীয় পতাকায় প্রণাম করতে হবে এবং তারপর তার চেম্বারে প্রবেশ করতে হবে।

শিখর বন্দোপাধ্যায় নামের এই চিকিৎসক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “বাংলাদেশে আমাদের পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে। যা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমি রোগীদের ফিরিয়ে দিতে চাই না। কিন্তু যারা আমাদের দেশে আসবে তাদের আমাদের পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে।”

পশ্চিমবঙ্গের নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের স্পেশাল মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত এই চিকিৎসক আরও বলেছেন, “আমি যে সরকারি হাসপাতালে কাজ করি সেখানে কোনো রোগীকেই আমি ফেরাতে পারব না। কিন্তু শিলিগুড়িতে আমার ব্যক্তিগত চেম্বারে আমি জাতীয় পতাকা ঝুলিয়েছি। সেখানে একটি বার্তাও যুক্ত করেছি। যারা আমার মাতৃভূমির পতাকাকে সম্মান জানাবে না তারা আমার কাছ থেকে চিকিৎসাও প্রত্যাশা করতে পারে না।”

পতাকার ওপর থাকা বার্তায় লেখা রয়েছে, ‘ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা আমাদের মাতৃসম। এই পতাকাকে প্রণাম করে চেম্বারে প্রবেশ করবেন। বিশেষত বাংলাদেশ থেকে আগত রোগীরা প্রণাম না করলে এখানে রোগী দেখা হবে না।’

চন্দ্রনাথ অধিকারী নামের অপর এক চিকিৎসক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, তিনিও যে সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন সেখানে সবাইকে চিকিৎসা দেবেন। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে কোনো বাংলাদেশি রোগীকে তিনি দেখবেন না।

Header Ad
Header Ad

তাবলিগ ইস্যুতে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী তাবলিগ জামায়াতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও মর্মাহত প্রকাশ করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

পাশাপাশি, তিনি তাবলিগ জামায়াতের নেতৃত্বকে বিভেদ ভুলে ঐক্যের পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, যাতে ইসলামের শান্তি ও সৌহার্দ্যের বার্তা অক্ষুণ্ণ থাকে।

মাওলানা আজহারী তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সময় আউস ও খাযরাজ গোত্র শত বছরের শত্রুতা ভুলে নবীজির তাওহিদের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে এক ঘণ্টার মধ্যেই পরস্পর ভাই ভাই হয়ে গিয়েছিল। তারা শিখেছিল, বড়ত্ব কেবল আল্লাহর জন্য, আর মানুষের উচিত আল্লাহর ইচ্ছার সামনে নিজেদের সমর্পণ করা।

তিনি বলেন, নবীজির এই শিক্ষাই বর্তমান সময়ে তাবলিগ জামায়াতের সাথীদের জন্য প্রাসঙ্গিক। নেতৃত্বের উচিত দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে উম্মাহ স্পিরিটকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে আসা।

আজহারী সতর্ক করে বলেন, তাবলিগ জামায়াতের এ বিভক্তি বাংলাদেশের মুসলিমদের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমগুলো ইতোমধ্যেই এ ঘটনাকে বিতর্কিত করে ইসলামি আন্দোলনগুলোকে দুর্বল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

তিনি আত্মসমালোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাবলিগ জামায়াতের সাথীদের মাঝে ‘এক উম্মাহ’ ধারণাটি যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হওয়াই আজকের এই সংঘাতের মূল কারণ। অন্যান্য দেশে তাবলিগ জামায়াতের কার্যক্রম ভিন্ন মতাদর্শের মধ্যেও সংঘাতহীনভাবে পরিচালিত হয়। কারণ তারা উম্মাহর স্বার্থকে বড় করে দেখে।

মাওলানা আজহারী শামের মুসলিমদের উদাহরণ টেনে বলেন, শামে একাধিক গ্রুপ ভিন্ন মতাদর্শ থাকা সত্ত্বেও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। বাংলাদেশের মুসলিমদেরও উচিত দলীয় স্বার্থকে ছাড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মুসলিম স্বার্থ রক্ষা করা।

তাবলিগের সাথীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আল্লাহর নামে সংযত হোন। মুসলিম ভাইয়ের রক্ত ঝরানো কখনোই নবীজির উম্মতের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করুন। নবীজি আসাবিয়্যাত বা গোত্রীয়তার ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। তাই এ ধরনের প্রবণতা থেকে দূরে থাকুন।

সবশেষে মাওলানা আজহারী তাবলিগ জামায়াতের মুরুব্বিদের প্রতি ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের ইসলামি ঐক্য রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়। তাই দ্রুত এই সংঘাত নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিন।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের জন্য ৬ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীহ

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের জন্য চার থেকে ছয় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি উপলক্ষ্যে মহাখালী কড়াইল বস্তি বনানী ৫ নম্বর রোডে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন ময়দানে এক সভায় তিনি একথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ সরকারের প্রধান ও প্রথম কাজ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আর সেজন্য কিছু আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং মাঠের সংস্কার দরকার। আমরা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে বের করেছি, এক্ষেত্রে সংস্কারে চার থেকে ছয় মাস বেশি সময় লাগার কথা নয়।

তিনি বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুরোপুরি ফিরে আসা দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক। ভোটের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে, তাই যত দ্রুত সম্ভব, সংস্কার সেরে ভোটের আয়োজন করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে যেন কোনো কৌশল প্রয়োগ না করা হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানাচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউলের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক

জিয়াউল আহসান। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধান দলের নেতৃত্ব দেবেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। দলের বাকি দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক রনজিৎ কুমার কর্মকার ও উপসহকারী পরিচালক মো. জাবেদ হোসেন সজল।

জিয়াউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি অর্থ পাচারে জড়িত। তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন গত ১৯ অগাস্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, জিয়াউল আহসান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশন এই বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের ধারাবাহিকতায় গত ৬ অগাস্ট জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সবশেষ তিনি টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব-২ এর উপঅধিনায়ক হন।

ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।

কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে।

পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হকার শাহজাহানকে হত্যার অভিযোগে ঢাকার নিউ মার্কেট থানার মামলায় ১৫ অগাস্ট রাতে খিলক্ষেত থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তাবলিগ ইস্যুতে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
নির্বাচনের জন্য ৬ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউলের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক
দিনাজপুরে অর্ধকোটি টাকার নিষিদ্ধ ট্যাবলেটসহ আটক ২
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
শামা ওবায়েদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
প্রধান উপদেষ্টা মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন
সাকিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ
এবার ভারতীয় পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের হুমকি
কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের দুই বছর আজ
কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জোবায়েরপন্থিদের
অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে ছিটকে পড়ল 'বলী’
অনুমোদন পাওয়া ভেন্যু বাতিল, অনিশ্চয়তায় ফোক ফেস্ট
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত নিজেদের প্রভু মনে করে: রিজভী
গঠন হচ্ছে ‌‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
ইজতেমা ময়দান এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
পূর্বাচলের লেক থেকে সুজানার পর বন্ধু কাব্যের মরদেহ উদ্ধার