শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন ক্যারোলিন লেভিট

হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি পদে ক্যারোলিন লেভিটকে মনোনয়ন দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৭ বছর বয়সি লেভিট হবেন মার্কিন ইতিহাসে হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি।

সব ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই পদে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে যোগ দেবেন লেভিট।

এর আগে, হোয়াইট হাউসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন রন জিয়েগলার। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব নেওয়ার সময় রনের বয়স ছিল ২৯ বছর। খবর রয়টার্সের।

ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ক্যারোলিন দক্ষ ও দৃঢ়চেতা একজন মানুষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের পারদর্শিতা তিনি দুর্দান্তভাবে প্রমাণ করেছেন। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ও আমেরিকান জনগণের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবেন।

প্রসঙ্গত, সদ্য অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন ক্যারোলিন লেভিত। এর আগে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সহকারী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এ ছাড়া কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিকেরও যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যারোলিন। নতুন প্রশাসনে এলিসকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প।

Header Ad

জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ

প্রতীকী ছবি

সারা বিশ্বে প্রজনন হার ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে, যতোটা কমবে বলে অনুমান করা হয়েছিল তার চাইতেও দ্রুত কমছে। চীনে জন্মহার হ্রাস আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে একের পর এক দেশে জন্মের হার পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক নেমে গিয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়ও জন্মহার প্রত্যাশার চেয়ে বেশ নাটকীয় হারে কমছে।

মানুষ যে শুধু আগের চাইতে কম সন্তান ধারণ করছে তাই নয়, একইসঙ্গে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে অনেকেই এখন আর সন্তান নিচ্ছে না। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা সন্তান নিতে চাইলেও তাদের সেই সক্ষমতা নেই। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পুরুষদের।

নরওয়েতে ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে পাঁচ শতাংশ পুরুষ সবচেয়ে কম আয় করেন, তাদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার অন্তত ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ উপার্জনকারীদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার মাত্র ১১ শতাংশ—তবে এই ব্যবধান গত ৩০ বছরে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।

রবিন হ্যাডলির বয়স যখন ত্রিশের কোটায়, তখন তিনি বাবা হতে প্রবল আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি, তবে উত্তর ইংল্যান্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তিনি টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার হিসেবে চাকরি করতেন। তার বয়স যখন ২০ এর কোটায় তখন তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে তিনি একটি সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি বন্ধ্যাত্বে জড়িয়ে পড়ে অর্থ পরিশোধ করতে তিনি এতোটাই হিমশিম খেয়েছেন যে নতুন করে কোন সম্পর্ক গড়ার সামর্থ্য তার ছিল না। অন্যদিকে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের অনেকেই বাবা হয়ে যেতে দেখে তার মধ্যে এক ধরনের শূন্যতার অনুভূতি জন্ম নেয়।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, বাচ্চাদের জন্য জন্মদিনের কার্ড বা নতুন বাচ্চাদের জিনিসপত্র দেখেই আমার মনে হতো আমি কারো বাবা নই, এবং আমি বাবা হতে চাই৷ এর সঙ্গে অনেক কষ্ট জুড়ে আছে। নিজের এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি পুরুষদের সন্তানহীনতার বিষয়ে একটি বই লিখতে অনুপ্রাণিত হন। যখন তিনি বইটি লিখেছিলেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এমন নানা কিছুর সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে - অর্থনীতি, জীববিজ্ঞান, নানা ঘটনা প্রবাহ, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন।

তিনি লক্ষ্য করেছেন যে বার্ধক্য এবং প্রজনন বিষয়ে তিনি যা কিছু পড়েছেন তার বেশিরভাগেই সন্তানহীন পুরুষদের কথা অনুপস্থিত- জাতীয় পরিসংখ্যানেও তাদের জায়গা হয়নি। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

সামাজিক বন্ধ্যত্ব বৃদ্ধি:

সামাজিক বন্ধ্যাত্বের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, সন্তান ধারণের জন্য সম্পদের অভাব বা সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা না হওয়া। কিন্তু এর মূলে অন্য কিছু রয়েছে বলে মনে করেন ফিনল্যান্ডের পপুলেশন রিসার্চ ইন্সটিটিউটের একজন সমাজবিজ্ঞানী এবং জনসংখ্যাবিদ আনা রটকির্চ।

তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপ এবং ফিনল্যান্ডে ‘ফার্টিলিটি ইনটেনশন’ বা প্রজননের উদ্দেশ্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। আমরা সন্তান ধারণের বিষয়টিকে যেভাবে দেখি তাতে তিনি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন।

এশিয়ার বাইরে, ফিনল্যান্ডে সন্তানহীনতার হার সবচেয়ে বেশি। অথচ ফিনল্যান্ড তাদের কমতে থাকা জন্মহারের সঙ্গে লড়াই করতে ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে শিশুবান্ধব নীতি প্রণয়ন করে। যেটি কিনা বিশ্বের অন্যতম শিশুবান্ধব নীতি হিসেবে স্বীকৃত।

এখানে বাবা মায়ের ছুটিতে উদারনীতি নিশ্চিত করা হয়েছে, শিশুর যত্ন যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করা হয়, নারী-পুরুষরা যেন ঘরের কাজে সমানভাবে অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়। এরপরও ২০১০ সাল থেকে দেশটিতে শিশু জন্মহার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পায়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলেছেন, বিয়ের মতো, সন্তান ধারণকে একসময় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে দেখা হত। কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরপরই বিয়ে করে দ্রুত সন্তান নিয়ে নিতেন। কিন্তু আজকাল বিষয়টি উল্টে গিয়েছে। এখন সবাই জীবনের অন্যান্য লক্ষ্যগুলো অর্জনের পর সন্তান ধারণের কথা ভাবে।

এই অধ্যাপক ব্যাখ্যা করেন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মনে করে যে একটি সন্তান হলে তাদের জীবনে অনিশ্চয়তা যোগ হবে।
ফিনল্যান্ডে, তিনি দেখেছেন যে সবচেয়ে ধনী নারীদের নিজের ইচ্ছার বাইরে সন্তানহীন হওয়া আশঙ্কা কম। অর্থাৎ তাদের ইচ্ছা আছে সন্তান নেওয়ার কিন্তু পারছেন না-এমনটা বেশি হয় না। তারা সন্তানহীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিজ ইচ্ছাতেই নেন।

অন্যদিকে, নিম্ন-আয়ের পুরুষদের অনিচ্ছা স্বত্বেও সন্তানহীন অবস্থাতেই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। অতীতের সাথে বর্তমানে ঠিক এই জায়গাতেই বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

পুরুষতন্ত্রের সংকট:

পুরুষদের জন্য, সন্তান নেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়ার পেছনে আর্থিক অনিশ্চয়তা একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। একে সমাজবিজ্ঞানীরা ‘দ্য সিলেকশন এফেক্ট’ বা ‘বেছে নেওয়ার প্রভাব’ বলে থাকে। যেখানে নারীরা সঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় একই সামাজিক শ্রেণীর বা তার চেয়ে উঁচু শ্রেণীর কাউকে খুঁজে থাকেন।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, আমি বুঝতে পারি যে, আমি আমার আওতার বাইরে হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম। আমার সম্পর্ক ত্রিশের কঠোয় ভেঙে গিয়েছিল। আমার মনে হয়, আমার এই অবস্থার জন্য ‘বেছে নেয়ার প্রভাব’ একটি বড় কারণ হতে পারে।

প্রায় ৪০ বছর বয়সে তার বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়। এই নারী তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনে সাহায্য করেছেন। সে না থাকলে, আমি এখন যেখানে আছি সেখানে থাকতাম না। যখন তারা সন্তান ধারণের কথা ভাবছিলেন তখন তাদের বয়স চল্লিশের কোঠায় এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাপী ৭০ শতাংশ দেশে নারীরা শিক্ষাদীক্ষায় পুরুষদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যাকে ‘দ্য মেইটিং গ্যাপ বা’ ‘সঙ্গমের ব্যবধান’ বলে অভিহিত করেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী মার্সিয়া ইনহর্ন। ইউরোপে, এখন একটি বড় সংখ্যক পুরুষ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিচ্ছেন না। তাদেরই নিঃসন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

এসব সমস্যা থেকে বেড় হওয়ার উপায় কী?

হ্যাডলির মতে, প্রজনন নিয়ে সব ধরনের আলোচনাই হয় শুধুমাত্র নারীকে ঘিরে। এবং জন্মহার বাড়াতে যে নীতিগুলো প্রণয়ন করা হয় সেগুলো ডিজাইন করা হয় অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ পুরুষদের বাদ দিয়েই।

রবিন হ্যাডলি বলেছেন, আমাদের আরও ভাল তথ্য দরকার। যতক্ষণ না আমরা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো তার আগ পর্যন্ত এটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে সেটা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবো না।

তথ্য উপাত্তের বাইরেও প্রজনন সংক্রান্ত সব আলোচনাতেই পুরুষ অনুপস্থিত। যেখানে কিনা নারীদের প্রজনন নিয়ে সচেতনতা দেখা যাচ্ছে।

নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে-এটি যে ভাববার বিষয় সেটা নিয়েও সচেতনতা বাড়ছে। কিন্তু পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে এমন কোন আলাপ হয় না। কিন্তু সত্যি হলো নারীদের মতো পুরুষদেরও একটি জৈবিক ঘড়ি আছে, হ্যাডলি বলেছেন, গবেষণার দেখা গিয়েছে যে ৩৫ বছরের পরে শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমতে থাকে।

তার মতে, এই অদৃশ্য গোষ্ঠীটিকে (পুরুষ) দৃশ্যমান করা সামাজিক বন্ধ্যাত্ব মোকাবেলার একটি উপায়। আরেকটি হতে পারে অভিভাবকত্বের সংজ্ঞা প্রসারিত করা। যেসব গবেষকরা সন্তানহীনতার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তারা সকলেই একটি বিষয় আগ্রহের সাথে উল্লেখ করেছেন যে সন্তানহীন লোকেরা এখনও শিশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিহেভিয়েরাল ইকোলজিস্টরা একে অ্যালোপ্যারেন্টিং বলে থাকে বলে জানিয়েছেন অ্যানা রটকির্চ। অ্যালোপ্যারেন্টিং হল শিশুদের জন্মদাতা বাবা-মা ছাড়া যখন অন্য কেউ তার যত্ন করে। সেটা শিশুর বেবিসিটার, পালক বাবা-মা, দাদা-দাদী হতে পারেন। মানব বিবর্তনের বেশিরভাগ সময়ে একটি শিশুর এমন একাধিক পরিচর্যাকারী ছিল।

ড. হ্যাডলি তার গবেষণায় যে নিঃসন্তান পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তার স্থানীয় ফুটবল ক্লাবে নিয়মিত দেখা হতো। ওই ব্যক্তি এমন এক পরিবারের কথা বলেছেন যেখানে ছোট দুই ছেলের একটি স্কুল প্রজেক্টের জন্য দাদা-দাদীর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাদের দাদা-দাদীর কেউই ছিলেন না। তখন ওই ব্যক্তি তাদের সারোগেট দাদা হিসাবে আবির্ভূত হন এবং ওই ঘটনার কয়েক বছর পরে, ও শিশুরা তাকে ফুটবলে খেলতে দেখে "হাই দাদা" বলে ডাক দেয়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলছেন, আমি মনে করি বেশিরভাগ নিঃসন্তান পুরুষেরা আসলে এভাবে শিশুদের যত্ন নিয়ে থাকেন বা যত্ন নিতে পারদর্শী কিন্তু তাদের এই বিষয়টি অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনে এর প্রতিফলন না থাকলেও এটি সত্যিই জরুরি।

Header Ad

যেভাবে শাহরুখের দেখা পেলেন বাংলাদেশি ভক্ত

শাহরুখের দেখা পেলেন বাংলাদেশি ভক্ত। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অগণিত ভক্ত। বাংলাদেশেও এই অভিনেতার ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বছরের ৩৬৫ দিনই প্রিয় তারকাকে দেখতে শাহরখের বাড়ি মান্নাতের সামনে ভিড় জমায় তার ভক্তরা। কেউ কেউ ভাগ্যক্রমে অভিনেতার দেখাও পেয়ে যান। তেমনি এবার শাহরুখের দেখা পেলেন তার এক বাংলাদেশি ভক্ত।

সম্প্রতি স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে এসেছেন বাংলাদেশি শাহরুখ ভক্ত তামজিদ ইসলাম জারির। তবে তিনি একা নন। তার সঙ্গে আরও পাঁচজন ছিল বাংলাদেশের। প্রিয় নায়কের সাক্ষাৎ পেয়ে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জারির।

শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসের ২ তারিখে ছিল শাহরুখের জন্মদিন। এদিন ভক্তদের আয়োজনে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা। পরিকল্পনা করে যেখানে আগেই গিয়ে উপস্থিত হন জারির। তিনি ‘এসআরকে বাংলাদেশ সিএফসি’র সাংগঠনিক সম্পাদক।

দেশে ফিরে স্বপ্নের নায়কের দেখা পাওয়া প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে নিজের আবেগের কথা জানান জারির। তিনি বলেন, শাহরুখ খান আমার স্বপ্নের নায়ক। তার সান্নিধ্য পাওয়া এক জনমের সৌভাগ্য! আর এই স্বপ্ন পূরণে আমাকে সাহায্য করেছেন আমাদের ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি কাজী শাহাদত এবং সহসভাপতি সুমাইয়া শরীফ অপি। প্রথমেই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

জারির আরও বলেন, গত ৩১ অক্টোবর মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে উড়াল দিই আমি। সেখানে পৌঁছানোর পর সোজা মান্নাতে চলে যাই তার সৌন্দর্য দেখতে। অবশেষে ‘এসআরকে দিবস’ (২ নভেম্বর) অনুষ্ঠানের পাস পেয়ে ভীষণ খুশি হয়ে যাই। যখন আমি অডিটোরিয়ামে ঢুকলাম এবং পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘কিসকা হ্যায় হ্যায় তুমকো ইন্তেজার মেই হু নাহ’ শুনলাম, তখন আমি কাঁদতে শুরু করে দিই।

শাহরুখের সাক্ষাৎ পাওয়ার মুহূর্তটি নিয়ে জারির বলেন, আবার যখন আমি শাহরুখকে মঞ্চে প্রবেশ করতে দেখলাম, আমি আবার আবেগে ভেসে গেলাম। আমি অনুষ্ঠানটির প্রতিটি সেকেন্ড এবং শাহরুখ স্যারের বক্তৃতা উপভোগ করেছি। অবশেষে আমাকে তার সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবি তোলার জন্য মঞ্চে ডাকা হলো। ওই মুহূর্তে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এটা আমার সঙ্গে ঘটছে। তার পাশে বসার আগে আমি তার হাতে আমার হাত বাড়িয়ে দিলাম এবং তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমার হাত ধরলেন, যা আমার জন্য সত্যিই একটি চমৎকার মুহূর্ত ছিল। তারপর আমি তাকে বললাম, ‘স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি’- জবাবে তিনি বললেন, বসে পড়। এরপর আমরা একটি ছবি তুললাম।

তিনি বলেন, অনুষ্ঠান ছাড়ার আগে আমাকে শাহরুখ স্যারের পক্ষ থেকে খাবারে সঙ্গে দুটি উপহার দেওয়া হয়েছিল। উপহার দুটি ছিল ব্লুটুথ নেকব্যান্ড (হেডফোন) এবং শাহরুখ স্যারের স্বাক্ষরসহ তার একটি ছবি।

 

শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড বাদশাকে কাছ থেকে দেখে এসে জারির বলেন, আমার কাছে একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব শাহরুখ। কীভাবে মানুষের সঙ্গে বিনয়ী হতে হয়, কীভাবে নম্র হতে হয়, এবং বিশেষত কীভাবে পৃথিবীজুড়ে মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয় তা শাহরুখের কাছেই শেখা যায়।

Header Ad

ইউটিউবারের কাছে হারলেন বক্সিং কিংবদন্তি মাইক টাইসন

ছবি: সংগৃহীত

মাইক টাইসন ২০০৫ সালে সর্বশেষ বক্সিং রিংয়ে নেমেছিলেন। ১৯ বছর পর আবারও ফিরলেন তিনি লড়াইয়ে। তবে এবার প্রথাগত কোনো প্রতিপক্ষ নয়, তার সামনে ছিলেন এক ইউটিউবার, জেক পল। তবে তার বিপক্ষেও জিততে পারেননি বক্সিংয়ের কিংবদন্তি।

টাইসনের সঙ্গে পলের বয়সের পার্থক্য ৩১ বছরের। ২০০৫ সালে যখন অবসরে যাচ্ছেন টাইসন, তখন পলের বয়স মোটে ৮ বছর। সেই পলই আজ সকালে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন। তবে বয়সের ছাপটাকে জয় করতে পারেননি টাইসন। হেরেছেন সরাসরি ব্যবধানে।

যুক্তরাষ্ট্রের আর্লিংটনে এটিএন্ডটি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুজন মুখোমুখি হয়েছিলেন। সে লড়াইয়ে বয়সের কারণে ৫৮ বছর বয়সী টাইসন স্বাভাবিকভাবেই পিছিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডের পরেই খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে ৬টি ম্যাচে হেরেছিলেন টাইসন। সেই তিনি এই লড়াই শেষে হারেন ইউটিউবার পলের কাছে।

এমন কিছু আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল। ম্যাচের আগে সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি যদি হেরে বসেন, তাহলে কী হবে? সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকের দিকে আগুনঝরা চোখে তাকান টাইসন, এরপর চড় মেরে বসেন পলকে। সেই তিনি আজকের ম্যাচে হারের পর জড়িয়ে ধরেন পলকে।

১৯৮৫ সাল থেকে পেশাদার বক্সিং শুরু করা টাইসন বিখ্যাত ছিলেন তার রিংয়ের দাপটের জন্য। যে কারণে তাকে বক্সিংয়ের ‘লৌহমানব’ও বলা হয়। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। মাত্র ২০ বছর ৪ মাস ২২ দিন বয়সে ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ বক্সার হিসেবে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন টাইসন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ
যেভাবে শাহরুখের দেখা পেলেন বাংলাদেশি ভক্ত
ইউটিউবারের কাছে হারলেন বক্সিং কিংবদন্তি মাইক টাইসন
উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা নিয়োগে আলোচনা হয়নি : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নবান্ন উৎসবে মুখরিত চারুকলা
পল্লবীতে ২ ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৫ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
পরিচালকের নেশা মিশ্রিত চকোলেট খেয়ে বিপাকে অভিনেত্রী
ডেনমার্ককে খাদের কিনারায় রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন
হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন ক্যারোলিন লেভিট
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন
আসছে আদর-বুবলীর ‘পিনিক’
ভারতের হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ১০ শিশুর মৃত্যু
স্যামসন-তিলকের জোড়া সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতল ভারত
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমুদ্র যোগাযোগ চালু, ভারতের উদ্বেগ
শেখ হাসিনা ফেরার চেষ্টা করলে রাশিয়া পাঠিয়ে দেবো: হাসনাত আব্দুল্লাহ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
শনিবার ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মহানবী (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারতে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা