শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমেই যে ৭ কাজ করবেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি, অনেকেরই মতামত। হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার মাত্র চার বছর পর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন তার। নির্বাচনের আগের জনমত জরিপের সব হিসেব-নিকাশ উল্টে দিয়ে মঙ্গলবার মার্কিনিরা আরেকবার বেছে নিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে। এর মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর কমালা হ্যারিসের উত্থানের আশায় গুঁড়েবালি দেখল বিশ্ব; আর শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশটিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল অর্থনীতি, অভিবাসন এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়গুলো। মার্কিন কংগ্রেসে তার রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্সির পাশাপাশি তার দল রিপাবলিকান পার্টি ফের সিনেটেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

বিজয়ী বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছেন, আমরা একটি সহজ মন্ত্রে শাসন করবো: প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রতিশ্রুতি রাখবো। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।

তবে, কিছু ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে এসব লক্ষ্য অর্জন করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এক নজরে দেখে নেয়া যাক ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পরপরই যে সাতটি কাজ করতে চান-

১) অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন: ট্রাম্প প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড়’ অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মেক্সিকো সীমান্তের দেওয়াল সম্পূর্ণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার নির্মাণকাজ তার প্রথম শাসনামলে শুরু হয়েছিল।

২০২৪ সালে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, যদিও পরবর্তীতে তা কিছুটা কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত এই বিশাল আকারের বিতাড়ন কার্যকর করা আইনগত এবং পরিচালনগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে এবং এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে।

২) অর্থনীতি, কর ও শুল্ক নিয়ে পদক্ষেপ: বাইডেন প্রশাসনের সময় বেড়ে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রেসিডেন্টের সরাসরি প্রভাব খুবই সীমিত। তিনি নতুন কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেমন- বকশিস কর, সামাজিক সুরক্ষা কর ও করপোরেশন কর।

ট্রাম্প বেশিরভাগ বিদেশি পণ্যের ওপর অন্তত ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং চীন থেকে আমদানিতে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যেতে পারে।

৩) জলবায়ু সম্পর্কিত বিধিনিষেধ শিথিল: প্রথম প্রেসিডেন্সিতে ট্রাম্প কয়েকশ পরিবেশগত সুরক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিশেষ করে মার্কিন গাড়ি শিল্পকে সাহায্য করার জন্য। তিনি আর্কটিক প্রান্তে তেল খননের পরিকল্পনা করেছেন। এতে জ্বালানি খরচ কমবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

৪) ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা: রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়সম ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করবেন তিনি। তবে কোন পক্ষকে কী ছাড় দিতে হবে, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই পদক্ষেপ পুতিনকে উৎসাহিত করতে পারে।

৫) গর্ভপাত নিষিদ্ধ নয়: কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কে ট্রাম্প জাতীয়ভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার আইনে স্বাক্ষর করবেন না বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, গর্ভপাত নিয়ে আইন তৈরির ব্যাপারে রাজ্যগুলোর স্বাধীনতা থাকা উচিত।

৬) ৬ জানুয়ারি দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা: ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিছু ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।

৭) স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছেন স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনই তাকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র: বিবিসি

Header Ad

সুইজারল্যান্ডে হেনস্তার শিকার উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

সুইজারল্যান্ডে হেনস্তার শিকার উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডে হেনস্তার শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সেখানকার আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হাতে আইন উপদেষ্টার হেনস্তার শিকার হওয়ার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি দেখা যায়, একদল আওয়ামী লীগের সমর্থক ঘিরে ধরেছেন আসিফ নজরুলকে। তার সঙ্গে উত্তেজিত ভাষায় তর্ক করছেন, বারবার প্রশ্ন করছেন, ‘আপনি মিথ্যা বলেছেন।’ এ সময় ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, আসিফ নজরুল বলছেন, ‘আপনি গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?’

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন সূত্রে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজার‌ল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল। গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন। উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত হেনস্তাকারী তাকে বিরক্ত করেছেন।

সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সুইজার‌ল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তাকারীরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় হেনস্তাকারীদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, আইন উপদেষ্টা ব্যক্তিগত কোনো সফরে সুইজার‌ল্যান্ড আসেননি। তিনি আইএলও গভর্নিং বডির মিটিংয়ে এসেছেন। আইএলওতে বাংলাদেশের দুটি মামলা চলছে। সে জন্য উপদেষ্টা এখানে এসেছেন। তিনি আইএলও’র মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেনেভা সময় বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে ফেরার জন্য বিমানবন্দরে প্রবেশের পথে কিছু লোক উপদেষ্টার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন।

এ কর্মকর্তা বলেন, শুনেছি আইন উপদেষ্টা গাড়ি থেকে নামার পর কিছু লোক এসে তাকে ঘিরে ধরে। সঙ্গে দূতাবাসের লোকজন ছিল। ওনাকে প্রটোকল দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে এসে কিছুলোক এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রসঙ্গত, আইএলও’র গভর্নিং বডির বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ছাড়াও শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীও অংশ নেন।

Header Ad

দুপুরে রাজধানীতে বিএনপির র‍্যালি, বক্তব্য রাখবেন তারেক রহমান

দুপুরে রাজধানীতে বিএনপির র‍্যালি। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি করবে বিএনপি। আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালিটি শুরু হবে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

র‍্যালির উদ্বোধন করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাপনী বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি মানিক মিয়া এভিনিউতে র‍্যালির শেষস্থলে উপস্থিত হয়ে কথা বলবেন।

ইতোমধ্যে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীর ঢল নামানোর প্রস্তুতি রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে বড় শোডাউন করবে বিএনপি।

নেতাকর্মীরা জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীতে বড় দুটি সমাবেশ করেছে বিএনপি। সেখানে বক্তৃতায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তবে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সরকার সাড়া না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড। র‌্যালি থেকে নেতাদের কণ্ঠে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে আন্দোলনের ইঙ্গিত আসতে পারে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালি শুরু হবে। এর পর কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শেষ হবে। র‍্যালি শুরুর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হবে। বিএনপি নেতাদের ভাষ্যে, র‍্যালিটি হবে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয়। দীর্ঘ ১৭ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্তির পর নয়াপল্টন থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পথে নেতাকর্মীরা বিজয়োল্লাস করবেন।

দুই মহানগরের নেতারা জানান, ইতোমধ্যে তারা প্রতিটি ইউনিটকে বার্তা দিয়েছেন। থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। দায়িত্বও বণ্টন করা হয়েছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকেও এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। রাখতে হবে ঢাকঢোল, ব্যানার-ফেস্টুন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী স্টিমরোলার উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। এখন তো মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। আশা করছি, র‌্যালি পরিণত হবে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মিলনমেলায়।

Header Ad

১১ বছর আগে জামায়াতের কর্মীকে হত্যা

ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি তাহজীব গ্রেফতার

ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি তাহজীব গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ঝিনাইদহে জামায়াতে ইসলামির কর্মী আবদুস সালাম হত্যার ঘটনায় ১১ বছর পর সম্প্রতি মামলা হয়েছে। সেই মামলার আসামি তিনি।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর থানার মামলায় সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে আজ রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে ঝিনাইদহে জামায়াতে ইসলামির কর্মী আবদুস সালাম হত্যার ঘটনায় ১১ বছর পর গত ২৭ আগস্ট একটি মামলা হয়। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির শ্বশুর ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ঝিনাইদহ-২ আসন (সদর আংশিক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) থেকে তাহজীব আলম সমি ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকার প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বাবা নূরে আলম সিদ্দিকী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছিলেন।

তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির বাবা নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছিলেন।

সাবেক এই এমপি ডোরিন পাওয়ার লিমিটেডের মালিক, যেটিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ‌‘মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড’ নামে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ধলেশ্বরী নদীর প্রবাহ বিঘ্নিত করার অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুইজারল্যান্ডে হেনস্তার শিকার উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
দুপুরে রাজধানীতে বিএনপির র‍্যালি, বক্তব্য রাখবেন তারেক রহমান
ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি তাহজীব গ্রেফতার
হামাস-হিজবুল্লাহর হাতেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমাপ্তি হবে: খামেনি
শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি গণভবনের জাদুঘরে
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু
পদত্যাগ করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করল ভারত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, খাবার হোটেলে জরিমানা
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জামায়াতের অভিনন্দন
২০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
‘দেশের মানুষের কাছে এই মুহূর্তে সংস্কারের চেয়ে নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ’
নিজেকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে ট্রাম্পকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
‘বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে সেভাবেই দেশকে গড়তে হবে’
ভাগ্য খুলতে পারে ২৭তম বিসিএসে বাদপড়াদের
স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের গতি কম? জেনে নিন বাড়ানোর কৌশল
সালমানের পর এবার শাহরুখকে হত্যার হুমকি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হলো বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল, যানজট নিরসনে আশাবাদ
ট্রাম্পের জয়ে বাড়ল ডলারের দর, বিটকয়েনের দামে নতুন রেকর্ড