বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভারতে কাজের খোঁজে যাওয়া ৪১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ভারতে ৪১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার সাহেবনগর সীমান্ত এলাকা থেকে ৪১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন বলে জানায় পুলিশ। লম্বা সময় ধরে কাজ না থাকায় বাংলাদেশে ফিরছিলেন তারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকদের মধ্যে চেন্নাইয়ে কাজ করছিলেন দু’জন। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সময় আটক হন তারা। তাদের মধ্যে ৪০ জন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। বাকি এক জনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বিএসএফের সহযোগিতা ও রানিতলা থানার টিম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাহেবনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। তারপরেই তাদের আটত করে। এদের কারো কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল না। দালালের হাত ধরে এরা সবাই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকে দুজন চেন্নাই কাজে যায়।

এছাড়া বিভিন্ন জন বিভিন্ন জায়গায় কর্ণাটক বা অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৪৪/১৪সি ফরেন অ্যাক্টে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। এফআইআর দায়েরের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল।

পুলিশের দাবি, তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তারা অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই।

আরও জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ২ বছর ধরে অবৈধভাবে যাতায়াত করছিলেন এই ৪১ জন। কখনো কানাপাড়া, কখনো চরলবনগোলা তো কখনো রানিনগরের কাতলামারি, লালগোলার বিরামপুর দিয়ে এ দেশে ঢুকেছেন তারা।

পুলিশের সূত্রে খবর, ভগবানগোলা থানার দুই ব্যক্তি এবং মুর্শিদাবাদ থানার এক ব্যক্তির সাহায্যে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাজ পেতেন ওই বাংলাদেশিরা। কিন্তু বর্ষার সময়ে কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। ঠিকমতো মজুরিও পাচ্ছিলেন না। তাই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ৪১ জন। সেইমতো সোমবার বাংলাদেশি যুবকরা একত্রিত হয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটত করে।

তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার লালবাগ মহুকুমা আদালতে তোলা হয়। একসঙ্গে ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিক আটক হওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা

লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের লামায় তংঙঝিরি ত্রিপুরা পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে পুড়ে যাওয়া ঘর পুনর্নির্মাণসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তারা গেছেন এবং সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা করেছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

প্রেস উইং আরও জানান, এ ঘটনা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার আজই তংঙঝিরি যাবেন।

পুলিশ সদর দফতর জানায়, লামা থানার তংঙঝিরি ত্রিপুরা পাড়ায় ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরাদের ১৬টি ঘরে আগুন দেয়। এতে আনুমানিক প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা

সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টারা। ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বুধবার মধ্যরাতে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ছয় ঘণ্টাব্যাপী অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সকালে তা নিয়ন্ত্রণে এলে সেখানে যান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ঘুরে দেখেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারপাশ ঘুরে দেখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী, গণপূর্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান খান, শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, পুলিশ প্রধান বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দুই মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। ১৯টি ইউনিটের সাড়ে ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে তাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, সড়ক পরিবহন সেতু বিভাগের অফিস রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আগুনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দাফতরিক কাগজপত্র পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে।

এদিকে, আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় সোহানুজ্জামান নয়ন নামে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। পানির পাম্প থেকে লাইনের সংযোগ দিতে সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় সোহানুজ্জামান নয়ন আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় ট্রাকচালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী কর্মকর্তা

নৌ বাহিনীর সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার (পিও) আমিনুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে লাগা আগুন পরিকল্পিত হতে পারে। কারণ আগুনটা লেগেছে ছয় তলা, নয় তলার পাশাপাশি মাঝেও। এভাবে বিভিন্ন স্থানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন কখনো লাগে না। এটা পরিকল্পনা মাফিক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-বাহিনীর সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার (পিও) আমিনুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহায়তায় নৌ-বাহিনীর একটি টিম মোতায়েন করা হয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমিনুল ইসলাম বলেন, "যেখানে আগুন লেগেছে, সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা এখনো সবকিছু সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারিনি, তবে তা করব। নৌ-বাহিনীর টিম এখানে কাজ করছে।

পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ডের সন্দেহের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শর্ট সার্কিটের আগুন সাধারণত এক জায়গা থেকে শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আগুন একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে লেগেছে, যা অস্বাভাবিক।

এর আগে, মধ্যরাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। তবে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করে।

এদিকে, আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় সোহানুজ্জামান নয়ন নামে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, পানির পাম্প থেকে লাইনের সংযোগ দিতে সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় সোহানুজ্জামান নয়ন আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা
সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী কর্মকর্তা
বগুড়া কারাগারে সাবেক এমপি রিপুর ‘হার্ট অ্যাটাক’, আনা হয়েছে ঢাকায়
নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল ২ পর্যটকের লাশ
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ আটক ১৬
রাফসানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জেফার
সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে বোমা হামলায় ৫ সাংবাদিক নিহত
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সচিবালয়ে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে যা জানালেন ফায়ারের ডিজি
শেখ হাসিনাকে ভারত কি ফেরত পাঠাবে? আল–জাজিরার প্রতিবেদন
সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত
৬ ঘণ্টা পর সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সচিবালয়ের আগুন লাগা ভবনে রয়েছে যেসব মন্ত্রণালয়
মধ্যরাতে সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয়তলা
চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৩ পাচারকারী আটক
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধানবোঝাই ট্রাকের ধাক্কা, চালক-হেলপার নিহত
কুবির আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা
টাকার বিনিময়ে ভোট দিলে জুলুমের শিকার হবেন: সারজিস আলম