সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছ থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় থাকতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দফায় দফায় চিঠি ও নির্দেশনা দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সই করা একটি আধা সরকারি পত্রও পাঠানো হয়েছে। সবশেষ সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে বলা হয়, উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে কমেছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে তা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করেছে। এ ছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত একটি আধা সরকারি পত্র পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় উপাচার্যের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত ১ ডিসেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা একটি চিঠিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানান। এরপর ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়।
এর আগে ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। এতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।