অস্ট্রিয়ায় বিতর্কিত টিকা আইন আজ থেকে কার্যকর
অস্ট্রিয়ায় টিকাবিরোধী প্রতিবাদ
অস্ট্রিয়ায় আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার বাধ্যতামূলক আইন কার্যকর হলো। দেশটিতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ টিকা না নিলে সম্ভাব্য বড় অঙ্কের জরিমানার মুখোমুখি হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) কোনো দেশে এটি এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ। এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্টে গত ২০ জানুয়ারি এই প্রস্তাব পাস হয়। পরে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভ্যান দার বেলেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এটি আইনে পরিণত হয়। সমালোচনা সত্ত্বেও সরকার এই আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে।
নতুন এই কঠোর আইনের বিরুদ্ধে প্রচারণাকারী ম্যানুয়েল ক্রুটগার্টনার বলেছেন, ইউরোপের আর কোনো দেশেই বাধ্যতামূলক টিকা নীতি চালু নেই।
প্রতিবেশী জার্মানিতে এ উদ্যোগ নিয়েও রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে শেষপর্যন্ত তারা আর এগোতে পারেনি।
অস্ট্রিয়ায় করোনার টিকা না নেওয়া লোকজন বর্তমানে রেস্টুরেন্ট, স্টেডিয়াম ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলোতে যেতে পারছে না। নতুন আইনের কারণে তাদের এখন জরিমানাও গুণতে হবে। জরিমানার পরিমাণ ৬৯০ থেকে চার হাজার ১০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে টিকা নিলে তাদের জরিমানা মওকুফ করা হবে।
এই আইনের আওতায় গর্ভবতী নারী ও যারা চিকিৎসার কারণে এ টিকা নিতে পারবেন না, তারা ছাড় পাবেন। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদেরই বাধ্যতামূলকভাবে টিকা নিতে হবে।
এদিকে এই আইনের বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়ার রাস্তায় হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছে। তারা এই আইনকে উগ্রবাদী ও কট্টর হিসেবে অভিহিত করেছেন।
অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যা ৯০ লাখ। সেখানে এক হাজার ৪০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ১৫ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন।
এর আগে তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতে টিকা বাধ্যতামূলক করেছে। এবার সেই তালিকায় অস্ট্রিয়া যুক্ত হলো।
এসএ/