হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি চালায় সেনাবাহিনী: নাগাল্যান্ড পুলিশ
হত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালায় বলে নাগাল্যান্ড পুলিশের এফআইআরের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এফআইআরের বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানে যাওয়ার সময় পুলিশের কোন সহায়তা চায়নি বা থানায় জানায়নি। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্য স্পষ্ট।
এএফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কয়লা খনির শ্রমিকেরা কাজ শেষে গাড়িতে করে তিরু থেকে অটিং গ্রামে ফিরছিলেন। তিরু ও অটিং গ্রামের মধ্যবর্তী লংখাও এলাকায় পৌঁছানোর পর কোনো উসকানি ছাড়াই সেনাবাহিনী তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর অন্তত ১৩ জন নিহত হয়।
নাগাল্যান্ড পুলিশ তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে যায়। সেনা সদস্যরা মরদেহগুলো অন্য আরেকটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখতে পায় তারা। এতে তারা ক্ষুব্ধ হলে সহিংসতা শুরু হয়। এ সময় এলাকাবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১ সদস্য।
এই ঘটনার জেরে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। মন জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ডের-এনএসসিএন বিদ্রোহী ভেবে তারা গুলি চালিয়েছিল।
অন্যদিকে, স্থানীয়দের দাবি নাগাল্যান্ডে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানের সময় প্রায়ই নিরীহ গ্রামবাসীরা সেনা সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
কেএফ/