শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ ইসরায়েলের জন্য আত্মহত্যার শামিল হবে: সাবেক জেনারেল

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র ওপর আক্রমণ ইসরায়েলের জন্য আত্মহত্যার শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির মেজর জেনারেল অব. আইজ্যাক ব্রিক।

ইসরায়েলি ‘মারিভ’ পত্রিকায় লেখা তার সর্বশেষ কলামে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আইজ্যাক ব্রিক বলেছেন, হিজবুল্লাহর ওপর হামলার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে সম্মিলিত আত্মহত্যার শামিল।

ব্রিক হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ‘আত্মঘাতী’ মিশন সম্পর্কে লিখেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্যালিলিতে হিজবুল্লাহ কী করেছে, সেদিকে তাকালে আমরা মনোযোগ দিলে দেখতে পাব যে, বসতিগুলো গুঁড়িয়ে যাচ্ছে, লোকজন সরে যাচ্ছে, হাজার হাজার একর জমি পুড়ে যাচ্ছে। গাজায় যে চিত্র দেখা গেছে, সেটা আজ ইসরায়েলের উত্তরে দেখা যাচ্ছে। আয়রন ডোম মাসের পর মাস ধরে ড্রোন, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন ডজন ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হজম করার জন্য প্রস্তুত হতে পারি না, যা পরবর্তী যুদ্ধে আমাদের করতে হবে।

ব্রিক ড্রোন মোকাবেলায় ইউক্রেনের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য কিয়েভ ইসরায়েলের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে, সেটাও তুলে ধরেন। তবে ব্রিক বলেন, এতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

ব্রিক বলেন, আমরা যখন একটি স্থানে সেনাবাহিনী রাখতে পারছি না, সেখানে এরপর ছয়টি স্থানে কীভাবে রাখব? আমরা কীভাবে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র সামাল দিব? নিজেদের সুসংগঠিত হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে অবশ্যই যুদ্ধ থেকে বিরতি নিতে হবে। আমরা ২০ বছর ধরে যুদ্ধ করে যেতে পারি না। এই যুদ্ধের জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রয়োজন গাজার যুদ্ধ থেকে বিরতি নেওয়া। এই যুদ্ধ তার উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছে। আমরা যখন অত্যধিক সংখ্যক লোককে বলি দিয়েছি, তখন তারা গোপনে শক্তি বাড়িয়েছে, নিজেদের আবার গড়ে তুলছে। তারা সকল যোদ্ধাকে ফিরিয়ে এনেছে। আমরা নগরীগুলো ধ্বংস করছি, আর দুনিয়া এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখছে। এটা আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

ইসরায়েলি জেনারেল বলেন, সুড়ঙ্গগুলোর ভেতরে তারা পুরো পরিস্থিতি তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। পণবন্দীদের জন্য আমাদের সেখানে এক বা দুই বছরের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি থামি, তবে হিজবুল্লাহও থামবে। আর তখন আমরা আরও চার ডিভিশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারব।

তিনি বলেন, তারা খুবই সঠিক জায়গায় আছে... আমি বলতে পারি, ইসরায়েলি বাহিনী পর্যাপ্ত শক্তিশালী না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্যসহকারে অপেক্ষা করা উচিত, যাতে আমরা তাদের ওপর প্রয়োজনীয় আঘাত হানতে পারি। আজ ইসরায়েলি বাহিনী তো প্রয়োজনীয় আঘাত হানতে পারছে না, অন্যদিকে বাহিনী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে না যে আমরা এখন যদি লেবাননে যুদ্ধ শুরু করি, তবে তা আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেবে। এর মানে হবে এই যে উত্তরের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবে না।

তিনি উপসংহারে বলেন, যারা আজ যুদ্ধ চালাচ্ছে, তারা তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। তারা লাল বাতির মধ্যেও দৌড়াচ্ছে এবং প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অথচ তারা সেনবাহিনীকে গড়তে পারছে না। তারা এখন বিমানের পেছনে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে, অথচ সেগুলো আসবে পাঁচ বছর পর, যেগুলো কোনও প্রাসঙ্গিক হবে না। সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা ৯০ গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি, কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে, সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, ব্যর্থ হয়েছে।

সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়।

তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এটা জাতির প্রতি আমাদের সবারই অঙ্গীকার।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান আজকের বৈঠকে বসার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, যে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসককে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিল বাংলাদেশের জনগণ। হাজারো মানুষের শাহাদাত বরণ ও আহত হওয়ার বিনিময়েই আজকের এই প্রেক্ষাপট।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এনসিপি। যে দলের প্রধান শক্তি ও ভিত্তির জায়গাটা হচ্ছে এই দেশের তরুণরা। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যে বক্তব্য ছিল, আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, ক্ষমতা থেকে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল না। বরং কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষা করবে, এরকম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ছিল।

এনসিপি সংস্কার বলতে মৌলিক সংস্কার বোঝানো হচ্ছে। নাহিদ আরও বলেন, যে সংস্কার করলে রাষ্ট্র কাঠামো গুণগত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হবে। কারণ আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আমাদের সংবিধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ ঘটেছিল। আমাদের সংবিধানে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক কাঠামোর বীজ বপন ছিল। ফলে সেই রাষ্ট্র কাঠামোকে অক্ষুণ্ন রেখে যে ক্ষমতায় যাক, তার ভেতরেও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা থাকবে, স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠার প্রবণতা থাকবে। সেই জায়গায় রাষ্ট্রের সংস্কার, সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা এনসিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যে সুপারিশ আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোতে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা একমত হয়েছি। যে সব জায়গায় আমরা আংশিক একমত বা দ্বিমত হয়েছি, সেখানে আমরা আমাদের সুপারিশ সংক্ষিপ্তভাবে দিয়েছি। আজকে হয়তো আমরা বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ পাবো। সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এনসিপির ভাবনার কথা উল্লেখ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, এইবার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জাতির সামনে, জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন, জুলাই সনদ প্রয়োজন। জাতির সামনে আমাদের সবাই সেই অঙ্গীকার রাখতে হবে যেন আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আরেকটি ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আসবে তার সব রাস্তা আমরা বন্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামো তৈরিতে আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবো।

বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, হাসনাত আব্দুল্লাহ, শামান্তা শারমীন, নাহিদা সারওয়ার নিভা, জাবেদ রাসিন এবং সারোয়ার তুষার।

Header Ad
Header Ad

আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ

ভবিষ্যতে যেন আওয়ামী লীগ আর কোনো মিছিল করতে না পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ‍মুখে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। গত কিছুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যা নিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ও জুলাই আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর দায়ে বিচারের দাবি উঠেছে। শুক্রবার রাজধানীর উত্তরাসহ বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের মিছিলের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার আওয়ামী বিরোধী মিছিলের পর শনিবার রাজধানীর বিমানবন্দরে থানা পরিদর্শনে গিয়ে আ. লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন থানার কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বেলা ১১টা ১০মিনিট নাগাদ রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান তিনি।

এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন চারটি থানা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ ও উত্তরা পূর্ব থানা।

Header Ad
Header Ad

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

শেখ হাসিনা ছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আদালত, প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অথবা তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এনসিবি থেকে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয় ১০ এপ্রিল। এর আগে তাঁদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে নথিপত্রসহ চিঠি পাঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করতে গত বছরের নভেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরকে অনুরোধ করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
অন্যদিকে বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

তবে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। তবে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরানো সহজ হবে না বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় তাঁকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে আবেদন করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। এ ছাড়া ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনের ঘটনায় একটি এবং বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা রয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ একাধিক প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামীকাল রোববার এ মামলায় ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার