সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোটে মোদির চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতেছেন ২২৪ প্রার্থী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফল বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে কিন্তু তার সবকটিরই কেন্দ্রে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি। তার কারণ, বিজেপি এই নির্বাচন তারই নামে লড়েছে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে লাগাতার তৃতীয়বার জিতে তিনি সংসদে পৌঁছেছেন। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ওই একই আসন থেকে লড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে মোদির ঝুলিতে থাকা ভোটের ব্যবধান অন্যান্য বারের তুলনায় কম।

২০১৯ গত লোকসভা ভোটে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন, যা এইবার কমে ১ লক্ষ ৫২ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে মোদির বিপরীতে দাঁড়ানো কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৫৭টি ভোট। আর নরেন্দ্র মোদির ঝুলিতে রয়েছে ৬ লক্ষ ১২ হাজার ৯৭০টি ভোট।

ভোটের এই ব্যবধান এভাবেও বিশ্লেষণ করা যেতে পারে যে, লোকসভার ৫৪২টি (বাকি একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন বিজেপির মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল) আসনের মধ্যে ২২৪টি আসনে জয়ী প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রী মোদির থেকেও আরও কতটা বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

এই ২২৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১১২টি এমন আসন রয়েছে যেখানে অন্য দলের প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান বারাণসীতে মোদির জয়ের মার্জিনের চেয়ে বেশি। আবার বিজেপিরও এমন ১১২ জন প্রার্থী রয়েছেন যারা নরেন্দ্র মোদির তুলনায় বড় ব্যবধানে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

এদিকে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৫২টি আসন পেলেও এইবার সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯তে। দলের নেতা রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি এবং কেরালার ওয়ানাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই দুটি আসনেই রাহুল গান্ধী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন।

বিরোধী দলের অনেক পরিচিত নেতাই আছেন যারা এই লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। জিতেছেন বড় ভোটের ব্যবধানেও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাইপো ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক ব্যানার্জী ডায়মন্ড হারবার আসনে ৭ লক্ষ ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

এই একই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকে নেতা এম কে কানিমোঝি, এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ ইয়াদব, আম আদমি পার্টির নেতা গুরমিত সিং, ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির সুপ্রিয়া সুলে এবং কয়েকজন নির্দলীয় প্রার্থীও।

নরেন্দ্র মোদি বনাম বিজেপির অন্য প্রার্থীরা:

গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই এমন একাধিক নেতা রয়েছেন যারা নরেন্দ্র মোদির চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন এবং একই সঙ্গে তাদের নিকটতম প্রার্থীর চেয়ে ভোটের ব্যবধানও বড়। এই তালিকায় ১১২ জন বিজেপি প্রার্থী আছেন। এই নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে নামটা চর্চায় রয়েছে সেটা হলো মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি ওই রাজ্যের বিদিশা আসন থেকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ৮ লক্ষ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

বিজেপির আরেক হেভি ওয়েট প্রার্থী অমিত শাহ গুজরাটের গান্ধীনগর লোকসভা আসনে ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর আসনে ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মহেশ শর্মা। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের গুনা আসনে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ভোটে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

গুজরাটের পোরবন্দর আসনে ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ভোটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়েছেন মনসুখ মাণ্ডভিয়া। আর মহারাষ্ট্রের মুম্বই উত্তর আসনে পীযূষ গোয়েল বিরোধী প্রার্থীকে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ভোটে হারিয়ে জিতেছেন। হেমা মালিনী তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ভোটে। তিনি জিতেছেন উত্তরপ্রদেশের মথুরা আসন থেকে।

নরেন্দ্র মোদি বনাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী:

জওহরলাল নেহরু ছাড়া ভারতের আর কোনও প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার নির্বাচনে জিততে পারেননি। ভারতে এখন পর্যন্ত ১৮টি লোকসভা নির্বাচন হয়েছে এবং নরেন্দ্র মোদীসহ ১৪ জন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। জওহরলাল নেহরুই একমাত্র নেতা যিনি এই দেশে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন। ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও প্রায় ১৬ বছর এই পদে ছিলেন। এছাড়া মনমোহন সিংও ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জওহরলাল নেহরু যেবার তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হন, সেই বছর নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর লোকসভা আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩৩.৪৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন।

এখানে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান শতাংশের নিরিখে তুলনা করা হচ্ছে কারণ ভোটারের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। যার অর্থ হলো জওহরলাল নেহরুর জমানায় একটা নির্বাচনি কেন্দ্রে যতজন ভোট দিতেন তার তুলনায় এখন একটা কেন্দ্রে বহুগুণ বেশি ভোটার রয়েছে।

১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। ওই লোকসভা নির্বাচনে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মেদক আসন থেকে ভোটে লড়েছিলেন। সেই সময় তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৪৯.৩৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ীও তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি জওহরলাল নেহরু বা নরেন্দ্র মোদির মতো পরপর তিনটে নির্বাচনে জিততে পারেননি। যে বার তৃতীয় দফায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, সেইবার অটলবিহারী বাজপেয়ী লক্ষ্ণৌ আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১৬.৩৯ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি।

এবার নরেন্দ্র মোদি এই লোকসভা নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১৩.৪৯ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

তবে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন কংগ্রেসের রকিবুল হুসেন। আসামের ধুবড়ী আসন থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রার্থী বদরুদ্দিন আজমলকে ১০ লক্ষ ১২ হাজার ৪৭৬ ভোটে পরাজিত করেছেন।

এই প্রসঙ্গে একটা বিষয় উল্লেখ করতেই হয়, এবং সেটা হলো মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জয়ী প্রার্থীর পর দুই নম্বরে রয়েছে 'নোটা' বা নান অফ দ্য অ্যাবাভ। এই আসনের ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এটিই দেশের একমাত্র আসন, যেখানে ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৪ জন নোটার বোতাম ব্যবহার করেছেন।

একজন ভোটার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে নোটা-র বোতাম তখন ব্যবহার করেন যখন তিনি তার কেন্দ্রে যে প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন তাদের একজনকেও ভোট দিতে চান না।

ইন্দোরে জয়ী প্রার্থী শঙ্কর লালওয়ানি এবং নোটার মধ্যে ব্যবধান ১০ লক্ষ ৮ হাজার ৭৭। তবে যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কথা বলা হয়, তাহলে এই আসনে জয়ের ব্যবধান ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২। কারণ বহুজনসমাজ পার্টির সঞ্জয় সোলাঙ্কি পেয়েছেন ৫১ হাজার ৬৫৯টি ভোট।

আর এই লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম জয়ের ব্যবধান ছিল মুম্বাই উত্তর পশ্চিম আসনে। শিবসেনার রবীন্দ্র ওয়াইকার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে) অমল কীর্তিকরকে মাত্র ৪৮ ভোটে পরাজিত করেছেন। সূত্র: বিবিসি

Header Ad

মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপির নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কোনো থানায় মামলা না নিলে সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এক মিনিটেই বরখাস্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়রি দেন।

বৈঠকে একজন রিকশাচালক দাবি করে বলেন, তাকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় রোববার ও এর আগে একদিন মারধর করা হয়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আপনি মামলা করেননি কেন? মামলাযোগ্য হলে অবশ্যই ওসিদের মামলা নিতে হবে। মামলা না নিলে সেই থানার ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে।

চাঁদাবাজির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলন, রিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরীবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার আর রক্ষা নেই। গরীবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা।

চাঁদাবাজি বন্ধে কমিটি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রিকশাচালকরা থানার ওসিকে নিয়ে কমিটি করেন। কমিটি চাঁদাবাজি বন্ধে কাজ করবে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে দুটি রিকশাচালকদের সংগঠন ডিএমপি সদর দপ্তরে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে রিকশাচালকরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, পেটের দায়ে অটোরিকশা মূল সড়কে উঠতে হয়। কিছু এলাকার গলিতেও ঢুকতে দেওয় না। এজন্য বাধ্য হয়ে আমরা মূল সড়কে উঠে পড়তে হয়। আমাদের সহযোগিতা করলে উপকৃত থাকতাম।

Header Ad

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।

দণ্ডিত মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (২৬) ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বাঘেরকান্দা এলাকার বাসিন্দা।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে নগরীর পাঁচলাইশ থানার মাদ্রাসাতুল মদিনায় হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করেন অভিযুক্ত বাবু। তিনি ওই মাদ্রাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন। এ ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা আসামি বাবুর বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষককেও অভিযুক্ত করেন ভিকটিম শিক্ষার্থীর বাবা।

পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি বাবু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad

বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ

ছবি: সংগৃহীত

সুখবরটা এসেছিল গত সেপ্টেম্বরেই। গেল সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে ডাক পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারকে দলে নিয়েছে হোবার্ট হ্যারিকেন্স। তবে দলে ডাক পাওয়ার পর থেকেই শঙ্কা ছিল রিশাদের খেলা নিয়ে। তবে সুখবর মিলেছে রিশাদের। আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোবার্টে খেলার অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন তিনি।

বিগ ব্যাশে ডাক পাওয়ার পর থেকেই শঙ্কা ছিল রিশাদ হোসেনের খেলা নিয়ে। মূলত জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি এবং বিপিএলের কারণে রিশাদের বিগ ব্যাশে খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। তবে সেই শঙ্কা এখন আর নেই। ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোবার্টে খেলার অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন এই ক্রিকেটার।

বিগ ব্যাশ থেকে ফিরে ২৯ ডিসেম্বরই ফরচুন বরিশালে যোগ দেবেন রিশাদ। তবে এর আগে বিগ ব্যাশে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে রিশাদ হোসেনের সামনে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট।

বিগ ব্যাশে রিশাদের দলে রয়েছে বড় বড় তারকা ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ম্যাথু ওয়েড ও টিম ডেভিড এই দুজনকে সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন রিশাদ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ন্যাথান এলিস ও বেন ম্যাকডারমটকেও তিনি পাবেন সতীর্থ হিসেবে।

বিগ ব্যাশে কোচ হিসেবে রিশাদ পাবেন জেফ ভনকে। অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের দলটির হেড অব স্ট্র্যাটেজির দায়িত্ব পালন করবেন তাসমানিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিকেটার রিকি পন্টিং।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা