শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

চীনে ইসলামি ধাঁচের শেষ মসজিদটিরও গম্বুজ উচ্ছেদ

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক আবহের বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা চীনের সর্বশেষ প্রধান মসজিদটি তার গম্বুজ হারিয়েছে। আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে এর মিনারগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দেশটির মুসলমানদের উপাসনালয়গুলোকে চাইনিজ স্টাইলে করার জন্য একটি সরকারি প্রচারণা সমাপ্ত হলো। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের ছোট্ট শহরের সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদ।

গত বছর পর্যন্ত ২১ হাজার বর্গমিটারের মসজিদ মভনটির মাথায় টাইলসের সবুজ গম্বুজ ছিল। একটি অর্ধচন্দ্র, চারটি ছোট গম্বুজ ও উঁচু মিনারের সমন্বয়ে সজ্জিত ছিল এটি। ২০২২ সালের স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যায়, মসজিদের প্রবেশপথটি উজ্জ্বল কালো টাইলস দিয়ে তৈরি একটি বড় অর্ধচন্দ্র এবং তারা দিয়ে সজ্জিত।

অথচ এ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে দেখা যায়, মসজিদের গম্বুজটি সরানো হয়েছে এবং হান চীনা স্টাইলের প্যাগোডার ছাদ দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মিনারগুলো ছোট করে প্যাগোডা টাওয়ারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কেবল অর্ধচন্দ্র এবং তারা টাইলসের একটি ক্ষীণ চিহ্ন দৃশ্যমান রয়েছে, যা একসময় মসজিদের সামনের ছাদকে চিহ্নিত করেছিল।

শাদিয়ান থেকে ১০০ মাইলের কম দূরত্বে অবস্থিত ইউনানের আরেক ঐতিহাসিক মসজিদ নাজিয়াং-এও সম্প্রতি সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামিক বৈশিষ্ট্যগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

২০১৮ সালে চীন সরকার 'ইসলামের সিনিফিকেশন' নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে। পরিকল্পনার একটি অংশ ছিল 'বিদেশি স্থাপত্যশৈলী' প্রতিরোধ করা এবং ইসলামী স্থাপত্যগুলো চীনা বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ করা। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ফাঁস হওয়া একটি মেমোতে দেখা গেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে 'আরও ভেঙে ফেলার এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলার' নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ রুসলান ইউসুপভ বলেন, এই বড় দুটি মসজিদ চীনা 'ইসলামের সিনিফিকেশন' অভিযানের সাফল্যকে নির্দেশ করে। গ্রামে থাকা আরব রীতির ছোট ছোট মসজিদ অবশিষ্ট থাকলেও স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে সিনিকাইজেশনের বিরোধিতা করা কঠিন হবে।

চীনের প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ হান্নাহ থেকার বলেন, মসজিদ সিনিকাজেশন অভিযান 'প্রদেশ বাই প্রদেশ' এগিয়ে গেছে। বেইজিংয়ের অন্যতম দূরবর্তী প্রদেশ ইউনানকে সর্বশেষ সিনিকাজেশন অভিযান চালানো হয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক চীনা হুই কর্মী মা জু বলেন, চীনা সরকারের এই সংস্কার 'ধর্ম ও জাতিসত্তা ধ্বংস করার একটি স্পষ্ট বার্তা'।

মিং রাজবংশের সময় একটি বিদ্রোহে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে পিপলস লিবারেশন আর্মি এই অঞ্চলে হুই মুসলমানদের বিদ্রোহ দমন করে। সে সময় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে সরকারি সহায়তায় গ্র্যান্ড মসজিদটি পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়।

সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীর মতো করে শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটির নকশা করে তৈরি করা হয়েছিল। এটিতে তিনটি প্রার্থনা কক্ষ এবং ১০ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে।

হুই একটি চীনা মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘু, যাদের বেশিরভাগই পশ্চিম চীনে বাস করে। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি হুই মানুষ আছেন, যা উইঘুরদের সমান জনগোষ্ঠী।

মসজিদগুলোর পুনঃনির্মাণের বিরোধিতাকারী একজন হুই মুসলিম বলেন, শাদিয়ান মসজিদ শুধু সাদিয়ান নয়, সব মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা বড় ক্ষতি।

চীন ছেড়ে চলে যাওয়া এক মুসলিম ব্যক্তি নিজের নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা কেবল আমাদের শেষ মর্যাদাটুকু রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কারণ, শাদিয়ান ও নাজিয়াইং ছাড়া দেশের প্রতিটি মসজিদকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।

স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি গ্র্যান্ড মসজিদে আনা আরেকটি পরিবর্তন হলো, ভবনের সামনের অংশে সোনার প্রলেপযুক্ত আরবি লেখার নিচে নতুন করে 'চীনা অক্ষর' যুক্ত করা হয়েছে। চীনা লেখাটি হলো: 'সর্বোচ্চ সত্যের রাজকীয় প্রাসাদ'- যা একটি তাওবাদী শব্দ। এর আগে লেখাটি সাদিয়ানের মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না।

ধর্ম নিয়ে লেখা বই 'দ্য সোলস অব চায়না'র লেখক ইয়ান জনসন বলেন, এই মসজিদের দুঃখজনক ইতিহাস- বিশেষ করে হান উগ্র জাতীয়তাবাদের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়েছিল। এখন নতুন করে মসজিদটির পুনর্গঠন ও পুনঃনামকরণ স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলার আরেকটি প্রচেষ্টা।

২০১৪ সালে চীন সরকার উইঘুরদের বিরুদ্ধে 'কঠোর' অভিযান শুরু করে, যারা মূলত জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাস করে। নীতিগুলোর মধ্যে নিপীড়নমূলক নজরদারি ব্যবস্থা এবং ইসলামী বিশ্বাসের বিস্তৃত প্রকাশের জন্য কঠোর শাস্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অভিযানের ফলে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক মিলিয়ন উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু বিচারবহির্ভূত আটক বা বন্দির শিকার হয়। জাতিসংঘ সে সময় বলেছিল, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হতে পারে। চীন সরকার চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় বলে তার নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছে।

আর ২০১৮ সাল থেকে ইসলামি স্থাপত্যের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে চীন সরকারের অভিযানের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৮ সাল থেকে চীনজুড়ে ২ হাজার ৩০০টি মসজিদের তিন-চতুর্থাংশ পরিবর্তন বা ধ্বংস করা হয়েছে। গত বছর নাজিয়াইং মসজিদে পরিকল্পিত সংস্কারের প্রতিবাদে শত শত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অবশেষে বিক্ষোভ দমন করা হয় এবং সংস্কার কাজ এগিয়ে যায়। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ