শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চীনে ইসলামি ধাঁচের শেষ মসজিদটিরও গম্বুজ উচ্ছেদ

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক আবহের বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা চীনের সর্বশেষ প্রধান মসজিদটি তার গম্বুজ হারিয়েছে। আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে এর মিনারগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দেশটির মুসলমানদের উপাসনালয়গুলোকে চাইনিজ স্টাইলে করার জন্য একটি সরকারি প্রচারণা সমাপ্ত হলো। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের ছোট্ট শহরের সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদ।

গত বছর পর্যন্ত ২১ হাজার বর্গমিটারের মসজিদ মভনটির মাথায় টাইলসের সবুজ গম্বুজ ছিল। একটি অর্ধচন্দ্র, চারটি ছোট গম্বুজ ও উঁচু মিনারের সমন্বয়ে সজ্জিত ছিল এটি। ২০২২ সালের স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যায়, মসজিদের প্রবেশপথটি উজ্জ্বল কালো টাইলস দিয়ে তৈরি একটি বড় অর্ধচন্দ্র এবং তারা দিয়ে সজ্জিত।

অথচ এ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে দেখা যায়, মসজিদের গম্বুজটি সরানো হয়েছে এবং হান চীনা স্টাইলের প্যাগোডার ছাদ দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মিনারগুলো ছোট করে প্যাগোডা টাওয়ারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কেবল অর্ধচন্দ্র এবং তারা টাইলসের একটি ক্ষীণ চিহ্ন দৃশ্যমান রয়েছে, যা একসময় মসজিদের সামনের ছাদকে চিহ্নিত করেছিল।

শাদিয়ান থেকে ১০০ মাইলের কম দূরত্বে অবস্থিত ইউনানের আরেক ঐতিহাসিক মসজিদ নাজিয়াং-এও সম্প্রতি সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামিক বৈশিষ্ট্যগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

২০১৮ সালে চীন সরকার 'ইসলামের সিনিফিকেশন' নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে। পরিকল্পনার একটি অংশ ছিল 'বিদেশি স্থাপত্যশৈলী' প্রতিরোধ করা এবং ইসলামী স্থাপত্যগুলো চীনা বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ করা। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ফাঁস হওয়া একটি মেমোতে দেখা গেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে 'আরও ভেঙে ফেলার এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলার' নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ রুসলান ইউসুপভ বলেন, এই বড় দুটি মসজিদ চীনা 'ইসলামের সিনিফিকেশন' অভিযানের সাফল্যকে নির্দেশ করে। গ্রামে থাকা আরব রীতির ছোট ছোট মসজিদ অবশিষ্ট থাকলেও স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে সিনিকাইজেশনের বিরোধিতা করা কঠিন হবে।

চীনের প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ হান্নাহ থেকার বলেন, মসজিদ সিনিকাজেশন অভিযান 'প্রদেশ বাই প্রদেশ' এগিয়ে গেছে। বেইজিংয়ের অন্যতম দূরবর্তী প্রদেশ ইউনানকে সর্বশেষ সিনিকাজেশন অভিযান চালানো হয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক চীনা হুই কর্মী মা জু বলেন, চীনা সরকারের এই সংস্কার 'ধর্ম ও জাতিসত্তা ধ্বংস করার একটি স্পষ্ট বার্তা'।

মিং রাজবংশের সময় একটি বিদ্রোহে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে পিপলস লিবারেশন আর্মি এই অঞ্চলে হুই মুসলমানদের বিদ্রোহ দমন করে। সে সময় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে সরকারি সহায়তায় গ্র্যান্ড মসজিদটি পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়।

সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীর মতো করে শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটির নকশা করে তৈরি করা হয়েছিল। এটিতে তিনটি প্রার্থনা কক্ষ এবং ১০ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে।

হুই একটি চীনা মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘু, যাদের বেশিরভাগই পশ্চিম চীনে বাস করে। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি হুই মানুষ আছেন, যা উইঘুরদের সমান জনগোষ্ঠী।

মসজিদগুলোর পুনঃনির্মাণের বিরোধিতাকারী একজন হুই মুসলিম বলেন, শাদিয়ান মসজিদ শুধু সাদিয়ান নয়, সব মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা বড় ক্ষতি।

চীন ছেড়ে চলে যাওয়া এক মুসলিম ব্যক্তি নিজের নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা কেবল আমাদের শেষ মর্যাদাটুকু রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কারণ, শাদিয়ান ও নাজিয়াইং ছাড়া দেশের প্রতিটি মসজিদকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।

স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি গ্র্যান্ড মসজিদে আনা আরেকটি পরিবর্তন হলো, ভবনের সামনের অংশে সোনার প্রলেপযুক্ত আরবি লেখার নিচে নতুন করে 'চীনা অক্ষর' যুক্ত করা হয়েছে। চীনা লেখাটি হলো: 'সর্বোচ্চ সত্যের রাজকীয় প্রাসাদ'- যা একটি তাওবাদী শব্দ। এর আগে লেখাটি সাদিয়ানের মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না।

ধর্ম নিয়ে লেখা বই 'দ্য সোলস অব চায়না'র লেখক ইয়ান জনসন বলেন, এই মসজিদের দুঃখজনক ইতিহাস- বিশেষ করে হান উগ্র জাতীয়তাবাদের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়েছিল। এখন নতুন করে মসজিদটির পুনর্গঠন ও পুনঃনামকরণ স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলার আরেকটি প্রচেষ্টা।

২০১৪ সালে চীন সরকার উইঘুরদের বিরুদ্ধে 'কঠোর' অভিযান শুরু করে, যারা মূলত জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাস করে। নীতিগুলোর মধ্যে নিপীড়নমূলক নজরদারি ব্যবস্থা এবং ইসলামী বিশ্বাসের বিস্তৃত প্রকাশের জন্য কঠোর শাস্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অভিযানের ফলে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক মিলিয়ন উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু বিচারবহির্ভূত আটক বা বন্দির শিকার হয়। জাতিসংঘ সে সময় বলেছিল, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হতে পারে। চীন সরকার চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় বলে তার নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছে।

আর ২০১৮ সাল থেকে ইসলামি স্থাপত্যের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে চীন সরকারের অভিযানের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৮ সাল থেকে চীনজুড়ে ২ হাজার ৩০০টি মসজিদের তিন-চতুর্থাংশ পরিবর্তন বা ধ্বংস করা হয়েছে। গত বছর নাজিয়াইং মসজিদে পরিকল্পিত সংস্কারের প্রতিবাদে শত শত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অবশেষে বিক্ষোভ দমন করা হয় এবং সংস্কার কাজ এগিয়ে যায়। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম