১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে
ছবি: সংগৃহীত
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কেজরিওয়াল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, এই অভিযোগ তুলে ইডি তাঁর ১৫ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানায়।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার সংবাদ ওয়েবসাইট লাইভ লর প্রতিবেদনে ইডির আইনজীবীদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘কেজরিওয়াল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না এবং বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন।’ তাই তারা আদালতের কাছে কেজরিওয়ালকে আরো ১৫ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন।
সোমবার কেজরিওয়ালকে আদালতে তোলা হলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি যা করছেন, তা দেশের জন্য ভালো নয়।’
এর আগে রবিবার ইন্ডিয়া জোটের সভায় কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতাও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির দিকে আঙুল তোলেন। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে, আম আদমি পার্টি কোন পথে হাঁঁটে, সেদিকে তাকিয়ে ভারত।
আর্থিক অপরাধসংক্রান্ত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দিল্লির এএপি সরকারের মদ নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে যোগ থাকার কারণে কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করে। তিনি ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডির হেফাজতে ছিলেন।
১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে ২০২৪ লোকসভা ভোট। ইডি হেফাজতে থাকার এমন নির্দেশের ফলে স্বভাবতই লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে আম আদমি প্রধান। তিহার জেলে পাঠানো হবে তাঁকে।
তবে জেলে যাওয়ার আগে স্ত্রী সুনীতা এবং দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশী ও সৌরভ ভরদ্বাজের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চলছে নানা সমালোচনা।
জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মন্তব্য করেছে। দিল্লিতে নিযুক্ত এই ২ দেশের দূতাবাসের শীর্ষ কূটনীতিকদের ডেকে এ ধরনের মন্তব্যে তীব্র আপত্তিও জানিয়েছে ভারত। সূত্র : দ্য ওয়াল