রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণ করবে দুবাই, যা যা থাকবে?

ছবি সংগৃহিত

আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনালের কাজ শেষ হয়ে গেলে এটি বছরে ১৬০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীর পাশাপাশি ১২ মিলিয়ন টন মালামাল পরিবহণ করতে সক্ষম হব। এক দশকেরও বেশি আগে দুবাই প্রথমবারের মত বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর হিসেবে আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনালের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল।

২০১৩ সালের অক্টোবরে বুদাপেস্ট থেকে আগত উইজ এয়ার এ৩২০ প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট হিসেবে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (যা দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল নামেও পরিচিত) পৌঁছে খবরের শিরোনাম হয়েছিল।

দুবাই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত নতুন এই 'গ্রিনফিল্ড' বিমানবন্দরটিকে ভবিষ্যতে বিশ্বের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর বানানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল (ডিএক্সবি) এবং নতুন বিমানবন্দরটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনালের কাজ শেষ হয়ে গেলে এটি বছরে ১৬০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীর পাশাপাশি ১২ মিলিয়ন টন মালামাল পরিবহণ করতে সক্ষম হবে। .

এটি বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হবে যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা ইন্টারন্যাশনালের তুলনায় প্রায় ৬৩ মিলিয়ন বেশি যাত্রী পরিবহনে সক্ষম হবে।

প্রাথমিক যাত্রীবাহী ফ্লাইটের প্রায় এক দশক পরে এবং মহামারির জন্য ১৩ বছর পরেও দুবাইয়ের নতুন বিমানবন্দরটির কাজ এখনো চলমান।

'ভবিষ্যতের এয়ারপোর্ট'

২০২৩ সালে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত 'দুবাই এয়ার শো' বিমানবন্দরটি সম্পর্ক কিছু চমকপ্রদ ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি এটার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা কৌতূহলও তৈরি করতে সক্ষম হয়।

দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী পরিচালক পল গ্রিফিথস সিএনএনকে জানিয়েছেন, "আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা এবং পরিকল্পনা মেটাতে ডিএক্সবিকে সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সকল সম্ভাব্যতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলতে থাকবে।"

গ্রিফিথস আরো জানিয়েছেন, "পরিকল্পনা হল, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং মাধ্যমে ডিএক্সবির বর্তমান ক্ষমতা সর্বাধিক করা।"

তিনি বলেছেন, ডিএক্সবির বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন যাত্রী ধারণ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে সেটিকে ১২০ মিলিয়নে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো বলেন, "আমরা আমাদের বিমানবন্দরকে আরও বড় করে তুলছি কারণ আরও বেশি লোক এটি ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। ২০২৩ সালে আমাদের ধারণা অনুযায়ী প্রায় ৮৬.৮ মিলিয়ন মানুষ এটি ব্যবহার করেছে। আমরা ধারণা করছি, ২০২৪ সালে প্রায় ৮৮.২ মিলিয়ন এবং ২০২৫ সালে প্রায় ৯৩.৮ মিলিয়ন যাত্রী এটি ব্যবহার করবে।"

গ্রিফিথস নির্দিষ্ট কোন সময়ের কথা না বললেও জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজন হতে পারে অধিক ব্যস্ততার জন্য। তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার পাশাপাশি এটিকে 'রোমাঞ্চকর সম্ভাবনা' বলে অভিহিত করেছেন।

দুবাই এয়ার শোতে গ্রিফিথস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তারা ইতোমধ্যেই নতুন বিমানবন্দরের জন্য ডিজাইন তৈরি করেছেন। এয়ার শোতে সবাইকে বিমানবন্দরের যে বড় মডেলটি দেখানো হয়েছিল, সেটি কিছুটা পুরনো হলেও সেটি থেকে নতুন বিমানবন্দরে ছয়টি রানওয়ে এবং তিনটি বড় টার্মিনাল থাকার বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।

নতুন বিজনেস মডেলের আবির্ভাব

বিমানবন্দরটি দুবাই সাউথ নামে একটি বড় প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু হবে। প্রকল্প অনুযায়ী, দুবাইয়ের ঠিক দক্ষিণে মরুভূমির ১৪৫ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন শহর তৈরি করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

এই নতুন পরিকল্পনার কিছু অংশ ইতোমধ্যেই আকার নিতে শুরু করেছে। এখানে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকা মিলিয়ে আটটি অঞ্চল বানানো হবে যার প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি সহ অন্য কাজের জন্য বরাদ্দ করা

বিমানবন্দরটিকে পুরো পরিকল্পনার কেন্দ্রে রেখে একটি সম্পূর্ণ 'অ্যারোট্রোপলিস' বানানো হবে। সম্প্রতি ৯৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এমিরেটস ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার সহ দুবাইয়ের বিমান চলাচল এবং মহাকাশ শিল্প ইকোসিস্টেমের আয়োজক মোহাম্মদ বিন রশিদ (এমবিআর) এরোস্পেস হাব এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

স্থানীয় বৃহত্তর বিমান পরিবহণ সংস্থা এমিরেটস এবং এটির ছোট অংশীদার ফ্লাইদুবাই পূর্বের দুবাই ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে নতুন বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হলেই বড় পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপটি দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও কবে সেটি ঘটবে তা এখনো অনিশ্চিত।

ইংল্যান্ডের সারে ইউনিভার্সিটির বিমান পরিবহণ ব্যবস্থাপনার প্রোগ্রাম লিডার নাদিন ইতানির মতে, এমিরেটসের ডিডব্লিউসিতে তে স্থানান্তরিত হওয়া মানে এর সাথে অনেক কিছু স্থানান্তর করা।

তিনি বলেন, "এটি বৈশ্বিক বিমান ভ্রমণ এবং বৈশ্বিক বাজারের বদলে যাওয়া গতিশীলতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি কৌশলগত পুনর্বিন্যাস"

এই অঞ্চলে বর্তমানে নতুন এবং বড় বিমানবন্দরগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য একটি প্রতিযোগিতা চলছে এবং এতে কেউ পিছিয়ে থাকতে চায় না।

এই অঞ্চলের বিমান সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের অংশ হতে চায় এবং যেই শহরকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালায় সেই শহরকে বাণিজ্যের জন্য বড় করে তুলতে চায়৷ পাশাপাশি ভ্রমণের জন্য শহরকে একটি ভালো গন্তব্য হিসেবে প্রস্তুত করতে চায়। এর জন্য নতুন এবং চমকপ্রদ বিমানবন্দর একটি ভালো প্রচেষ্টা।

২০১৪ সালে উদ্বোধন করা কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দুবাইয়ের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী এবং এটি বার্ষিক ৬০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহণ করতে আগ্রহী।

এই অঞ্চলে আরো বড় বড় বিমান বন্দর চালু হয়েছে এবং অনেক বিমানবন্দরকে বেশী যাত্রী ধারণ করতে পারার জন্য নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১৮ সালে ওমানের মাস্কাটে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নতুন বিমানবন্দরের উদ্বোধন, ২০২১ সালে বাহরাইনে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নতুন টার্মিনাল তৈরি এবং সম্প্রতি ২০২৩ সালের নভেম্বরে আবুধাবির ৭ লক্ষ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে নির্মিত নতুন টার্মিনাল 'এ' যেটি একসাথে ৭৯টি বিমান পরিচালনা করতে সক্ষম।

উপসাগরের উত্তর প্রান্তে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিখ্যাত ব্রিটিশ আর্কিটেকচারাল ফার্ম ফস্টার+পার্টনার্স দ্বারা ডিজাইন করা একটি নতুন টার্মিনাল তৈরি করছে যা প্রাথমিকভাবে প্রতি বছর ২৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহণ করার ক্ষমতা রাখবে। ভবিষ্যতে এটি দ্বিগুণ করে ৫০ মিলিয়ন পর্যন্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুবাইয়ের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলেরও কম দূরত্বে অবস্থিত শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বার্ষিক ২০ মিলিয়ন যাত্রী ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

সৌদি আরব ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে একটি বিশাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ করছে যা দেশটির বিমান যোগাযোগকে এগিয়ে নিতে এবং এটিকে বিশ্বের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটিতে পরিণত করবে। এটি বাস্তবায়নে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

তাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে শীর্ষ স্থানে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা আগের চেয়ে আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।

Header Ad

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসের ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন, ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্যাডার ও নন ক্যাডার মিলিয়ে ১৮১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Header Ad

শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার

শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর আগে শপথ নিতে দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভুঞা।

শপথ নেওয়া চার কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি, সার্চ কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সিইসি ও চার কমিশনারের পরিবারের সদস্যরা।

গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।

পরে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ওই তালিকা থেকে ৫ জনকে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।

Header Ad

দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণীদের সুরক্ষায় যেখানে সারা বিশ্ব তৎপর সেখানে বিষ প্রয়োগ করে কুকুর হত্যা করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অভিজাত আবাসিক এলাকা জাপান গার্ডেন সিটিতে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিনোদন দুনিয়ার অনেক তারকারা। এ তালিকায় আছেন জয়া আহসান, তৌহিদ আফ্রিদি ও জ্যোতিকা জ্যোতির সহ আরও অনেকে। তবে এবার নিন্দার পাশাপাশি থানায় জিডি করলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।

অভিনেত্রী শনিবার (২৩ নভেম্বর) মোহাম্দপুরের আদাবর থানায় জিডি করেছেন জিডির আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা আপনার থানার অন্তর্গত জাপান গার্ডেন সিটিতে বসবাসকারী ও বাংলাদেশের প্রাণী অধিকার কর্মীরা জানতে পারি যে, জাপান গার্ডেন সিটিতে আবাসিক এলাকায় বিষ প্রয়োগে ১০টি পথ কুকুর ও ১টি বিড়াল হত্যা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে নওশাবা বলেন, মানুষের সঙ্গে এমন কিছু হলে আমরা মানববন্ধন করি, বিচার চাই। কিন্তু পশু-পাখিরা তো বোবা প্রাণী। ওদের কোনো সমস্যা হলে ওরা নিজেদের জন্য কিছু করতে পারে না। সে জায়গা থেকে আমরা দায়িত্ববান যারা আছি, তাদের উচিত এসব নিষ্ঠুরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে করছি। আশা করছি সাধারণ সচেতন নাগরিক যারা আছেন তারাও এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করবে এবং মানুষের মতো ওদের যে একটা বাঁচার নিশ্চয়তা সেটা নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে আমরা জিডি করেছি। পরবর্তীতে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়, সেক্ষেত্রে আমরা মামলার দিকে যাব।

জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে। আর এই অমানবিক কাজটি করেছে জাপান গার্ডেন সিটি বিল্ডিং কমিটির লোকজন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরাও। এ ঘটনায় বিচারের দাবির পাশাপাশি প্রাণীকল্যাণ আইনের প্রয়োগ ঘটানোর আহ্বানও জানাচ্ছেন অনেকে

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি