পুতিনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক গাড়ি উপহার পেলেন কিম
ছবি সংগৃহিত
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন একটি গাড়ি উপহার পেয়েছেন। আর গাড়িটি তাঁকে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিমের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তিনি গাড়িটি উপহার দিয়েছেন।
গত রোববার উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। এটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের শামিল হতে পারে। উত্তর কোরিয়ায় জাতিসংঘের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা জিম জং উন পরস্পরকে রাইফেল উপহার দিয়েছেন। রাশিয়ার এক স্পেস সেন্টারে এ উপহার দেয়া-নেয়া হয়।
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিম ও পুতিন গত সেপ্টেম্বর মাসে সাক্ষাৎ করেছেন। এর পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরালো হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়াকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার তৈরি গাড়িটি কিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। কেসিএনএর খবরে আরও বলা হয়েছে, কিমের বোন পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কিম ও পুতিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নিদর্শন এই গাড়ি।
তবে গাড়িটি কেমন বা গাড়িটি কীভাবে রাশিয়া থেকে আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে ওই প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। গাড়ি নিয়ে কিমের অনেক কৌতূহল রয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্ত পরিষদের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে কিম কীভাবে বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ি ব্যবহার করেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ধারণা করা হয়, কিমের সংগ্রহে থাকা গাড়িগুলো বেশির ভাগই বিদেশ থেকে পাচার করা।
কিমের উচ্চমূল্যের বিলাসবহুল গাড়ির বিশাল সংগ্রহ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কারণ, তাকে মার্সিডিজ-মেবাচ এস৬০০, রোলস-রয়েস ফ্যান্টম ও লেক্সাস এলএক্স ৫৭০ এবং বিলাসবহুল কিছু মডেলের গাড়িতে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে।
উত্তর কোরিয়ায় গোলা, রকেট ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া সরবরাহ করে বলে দাবি করে পশ্চিমারা। তবে উত্তর কোরিয়া এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে ক্রেমলিন কখনো স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।