শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঠেকানো গেলো না ইমরান খানকে, নির্বাচনের ২ দিন পরই ১২ মামলায় জামিন

ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

ভোটের দুদিন পরই জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রধামন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। শনিবার রাওয়ালপিন্ডির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) ৯ মে দাঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১২টি মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া সফরকে কেন্দ্র করে জোর করে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় পাকিস্তানের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর একের পর এক মামলা দিয়ে ইমরান খানকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বে কোনো রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলার রেকর্ড।

সরকারি গোপন নথি ফাঁসের মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রথমে তোশাখানা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলা নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে থাকলেও তাকে খালাস দেওয়া হয়। তোশাখানা মামলা আদালতে বাতিল হওয়ার পর ইমরান খানকে সাইফার (সরকারি গোপন নথি) মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দুর্নীতি থেকে শুরু করে অবৈধ বিয়ের মামলায় আরো কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত বছরের ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলা এবং সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। এমনকি মূল নেতারাও কেউ বাদ যাননি। অভিযোগ আছে, যারা সামরিক বাহিনীর কথা শুনেছে তারাই কেবল গ্রেফতার করা হয়নি।

ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ খাইবার পাখতুনখাওয়ার নেতা পারভেজ খট্টাক আলাদা দল গঠন করেন। যদিও সেই পারভেজ খট্টাক পিটিআই সমর্থিত নেতার কাছে বড় ব্যবধান হেরেছেন। ইমরান খানকে কেবল কারাগারেই পাঠানো হয়নি, তার বক্তব্য এবং বিবৃতিও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। পিটিআই সমর্থিত সাংবাদিককে বিদেশে গুলি করে হত্যা করা হয়। অনেক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বাসা থেকে। ইমরান খানকে কারাগারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এমনকি প্রথমে তার বাথরুমেও সিসিটিভি বসানো হয়। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর সেখান থেকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তর করা হয়। তাকে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

আদালতের নির্দেশে স্ত্রী বুশরা বিবি এবং কিছু আইনজীবী সাক্ষাত্ করার অনুমতি পান। ইমরান খান কারাগার থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ইমরান খানকে যখন নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়, তখন বিদেশে অবস্থান করা নওয়াজ শরিফকে দেশে এনে একের পর এক মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। এর আগে নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য সরকারি অফিসে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়। ইমরান খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে আদালত কৌশলী রায় দেয়। আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের এক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে। ফলে ইমরান খান নির্বাচন করতে অযোগ্যই থাকেন। এতকিছুর পরও পশ্চিমা বিশ্ব সরকারের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায়নি।

এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই একটা কানাঘুষা ছিল যে, দিন শেষে জিতবেন নওয়াজ শরিফই। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসেবে বলছিলেন যে, শরিফের দিকে দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সুনজর আছে। কিন্তু সমস্ত জল্পনা-কল্পনাকে ছাপিয়ে পিটিআই সমর্থিতদের এমন সাফল্য তথা জয় অপ্রত্যাশিত। পিটিআই প্রার্থীরা ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীকের অধীনে নির্বাচন করতে পারবে না, নির্বাচন কমিশন এরকম একটা আইন জারি করায় এই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

কারণ, দলীয় প্রতীক না থাকা মানে সেটি কোনো স্বীকৃত দল নয়। সেই নিরিখে বর্তমানে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন হচ্ছে সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু কারাবন্দি ইমরান খানকে দমিয়ে রাখা যায়নি। তার সমর্থিতরাই এখন দেশের সবচেয়ে বড় বিজয়ী। অনেকের ধারণা, শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের বিরুদ্ধে সব মামলা হয়তো জামিন, বাতিল বা প্রত্যাহার হবে।

ইতিমধ্যে গতকালই ১২টি মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের জনপ্রিয় এই নেতাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদেও হয়তো আবার দেখা যেতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র ঘোষণার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২৩ সালের জুনে বিসিসি নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। নির্বাচনে দলীয়করণ করে নৌকার পক্ষে কাজ করে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানান তারা।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ২০২৩ সালের বিসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং নিজেকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে আদালতে মামলা করেন ফয়জুল করীম। বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যনালের বিচারক ও সদর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে তিনি মামলার আবেদন করেন। সৈয়দ ফয়জুল করীমের পক্ষে আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন তার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির।

Header Ad
Header Ad

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি: সংগৃহীত

পরিবারের অভাব ঘোচাতে রাশিয়ার পথে পা বাড়িয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যুবক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫)। কিন্তু তার সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি, বরং ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাশিয়া থেকে আকরামের এক সহযোদ্ধা তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে মৃত্যুর খবর জানান।

আকরাম হোসেন আশুগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের দিনমজুর মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ মাস আগে ধারদেনা করে রাশিয়ায় পাড়ি জমান আকরাম। প্রথমে একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করলেও বেতন কম হওয়ায় এক পর্যায়ে দালালের প্রলোভনে পড়ে রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেন তিনি।

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিজের ফেসবুকেও বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। তবে পরিবারের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও আকরাম জানান, আর ফিরে আসার সুযোগ নেই তার।

১৩ এপ্রিল থেকে আকরামের সঙ্গে পরিবার এবং রাশিয়ায় থাকা পরিচিতজনদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৮ এপ্রিল আকরামের এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। তার ইউনিটের আরও কয়েকজন সদস্য একই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

আকরামের মা মোবিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের কণ্ঠ শুনি না বহুদিন, এখন তো আর শোনার সুযোগও থাকল না।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবার সূত্রে জানতে পেরে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রফিককে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বোগদহ কলোনি এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি বুলবুল ইসলাম।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আটক করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা